বয়াতির চলচ্চিত্রে আশীষ খন্দকারের একক অভিনয়
Published: 7th, May 2025 GMT
নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন তরুন নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি। চলচ্চিত্রের নাম ‘একটি কালো ঘোড়া (দ্য স্পিরিচ্যুয়াল ব্ল্যাক হর্স)’। এতে একক অভিনয় করবেন গুনী অভিনেতা আশীষ খন্দকার।
মানব সভ্যতার শুরু থেকে মানুষ যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন প্রাণীর ব্যবহার করে। ঘোড়ার ব্যবহার তখন থেকেই, যুদ্ধ অথবা মালামাল পরিবহন কিংবা কৃষিকাজ, ঘোড়া অন্যতম মাধ্যম। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় দীর্ঘদিন ধরে ঘোড়া সহযোগী ভূমিকা পালন করছে, বিশেষ করে দুর্গম বালুচর তথা উত্তরবঙ্গের তিস্তা নদীর পাড়ে। যেখানে পানিশূন্যতায় তৈরি হওয়া বালুমাটির অঞ্চলে অন্য যানবাহন ব্যবহার করা সম্ভব নয়। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঘোড়ার ব্যবহার অনেক কমে গেছে। কিন্তু এ ঘোড়ার সঙ্গে যারা দীর্ঘদিন জড়িত, তাদের কাছে ঘোড়া অন্নদাতা। এ রকমই একটা কালো ঘোড়ার গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হবে বলে জানিয়েছন নির্মাতা। বর্তমানে চলচ্চিত্রটির প্রি-প্রোডাকশন চলছে। এ বছরের শেষ দিকে মুক্ত দৈর্ঘের এ চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণ শুরু হবে বলে নির্মাতা জানিয়েছেন।
চলচ্চিত্রটি নিয়ে বয়াতি বলেন, ‘তিস্তার অববাহিকায় দীর্ঘদিন ন্যায্য পানি না পাওয়ায় এখানকার মানুষ ফসল ফলাতে পারছে না। আবার পানির অভাবে মাইলের পর মাইল রাস্তা আধুনিক যানবাহন ব্যবহার করা যাচ্ছে না। উত্তরবঙ্গের এসব অঞ্চলে মানুষ ঘোড়া দিয়ে তাদের উৎপাদিত ফসল ও মানুষ পারাপার করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে ও ভৌগোলিক সীমারেখার কারণে প্রকৃতি হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। একটি কালো ঘোড়া চলচ্চিত্রে আমরা এ বিষয়গুলো তুলে ধরতে চাই। এ রকম একটি চলচ্চিত্রে আশীষ খন্দকারের মতে, একজন অভিনেতাকে নিতে চেয়েছি। তিনি এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে রাজি হয়েছেন। আশা করছি, দর্শক ভালো গল্পের একটি সিনেমা উপহার পেতে যাচ্ছেন।’
কাজটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত আশীষ খন্দকার। তিনি বলেন, ‘বয়াতির সঙ্গে ইতোপূর্বে টিয়ার গপ্পো [স্বল্পদৈর্ঘ্য] ও নয়া মানুষ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। পরিশ্রম ও মেধার সমন্বয়ে সে দারুণ কাজ করতে চায়। একটি কালো ঘোড়া তার একটি নিরীক্ষাধর্মী কাজ। এতে থাকছে আমার একক অভিনয়। আমার সঙ্গী একটি ঘোড়া। আমি বিশ্বাস করি, চলচ্চিত্রটিতে সে যে মানবিক বিষয়টি তুলে ধরতে যাচ্ছে, তা দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া ফেলবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে উড়িয়ে সিরিজ সমতায় দ. আফ্রিকা
অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরে এসেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ঝলক দেখালেন কুইন্টন ডি কক। তার ঝলমলে ইনিংসের কল্যাণে ফয়সালাবাদে পাকিস্তানকে একেবারে পাত্তাই দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের বড় জয়ে সমতায় ফিরেছে প্রোটিয়ারা।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৯ উইকেটে ২৬৯ রানের সংগ্রহ গড়ে। জবাবে ৫৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ম্যাথু ব্রিটজকের দল। এই জয় দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। এর চেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড তাদের আছে কেবল ২০২৩ বিশ্বকাপে চেন্নাইয়ে (২৭১ রান)।
রান তাড়ায় ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ছিল দারুণ আগ্রাসী। পাকিস্তানি বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন ডি কক ও তার সঙ্গীরা। পুরো ইনিংসে দলীয়ভাবে আসে ১১টি ছক্কা। যা পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের ওয়ানডে ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। ১১৯ বলের ঝলমলে ইনিংসে ১২৩ রান করে ম্যাচসেরা হন ডি কক।
রান তাড়া করতে নেমে লুহান প্রিটোরিয়াস ও ডি ককের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮১ রান, যা দলের ভিত্তি গড়ে দেয়। ৪০ বলে ৪৬ করা প্রিটোরিয়াস মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর ডি ককের সঙ্গে ক্রিজে আসেন টনি ডি জর্জি। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ১৫৩ রানের দারুণ পার্টনারশিপ। এই সময় পাকিস্তানি বোলারদের ওপর চলে নির্দয় ব্যাটিং। ফাহিম আশরাফ ডি কককে ফেরালেও তখন দক্ষিণ আফ্রিকা জয় থেকে মাত্র ৩৬ রান দূরে। ডি ককের ব্যাট থেকে আসে অসাধারণ ২২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
৬৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে জর্জও দলীয় সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখেন। শেষ পর্যন্ত ব্রিটজকের সঙ্গে কাজ সারেন ডি কক। নিশ্চিত করেন সহজ জয়।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভয়াবহ সূচনা করে পাকিস্তান। মাত্র ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন তিন টপ-অর্ডার ফখর জামান (০), বাবর আজম (১১) ও মোহাম্মদ রিজওয়ান (৪)। প্রোটিয়া পেসার নান্দ্রে বার্গার ও করবিন বশ তাদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান।
চতুর্থ উইকেটে সায়েম আইয়ুব ও সালমান আলি আগা মিলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। যা কিছুটা ভরসা ফেরায় স্বাগতিক শিবিরে। ৬৬ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন সায়েম। এরপর আবার ধস নামে ব্যাটিংয়ে। ৩০ ওভারেই পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ১৩০/৫।
শেষ দিকে সালমান আগার ৬৯ (১০৬ বলে) ও মোহাম্মদ নওয়াজের ঝড়ো ৫৯ (৫৯ বলে) রানে দল কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। ফাহিম আশরাফও যোগ করেন ১৮ বলে ২৮ রান। তবে সেটি দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
প্রোটিয়াদের বোলারদের মধ্যে নান্দ্রে বার্গার নেন ৪ উইকেট। পিটার ৩টি ও বশের ঝুলিতে যায় ২ উইকেট।
এই জয়ে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। আগামী শনিবার একই ভেন্যুতে সিরিজের শেষ ম্যাচটি পরিণত হলো এক অঘোষিত ফাইনালে। যেখানে দুই দলই মরিয়া থাকবে ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে।
ঢাকা/আমিনুল