নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন তরুন নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি। চলচ্চিত্রের নাম ‘একটি কালো ঘোড়া (দ্য স্পিরিচ্যুয়াল ব্ল্যাক হর্স)’। এতে একক অভিনয় করবেন গুনী অভিনেতা আশীষ খন্দকার। 

মানব সভ্যতার শুরু থেকে মানুষ যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন প্রাণীর ব্যবহার করে। ঘোড়ার ব্যবহার তখন থেকেই, যুদ্ধ অথবা মালামাল পরিবহন কিংবা কৃষিকাজ, ঘোড়া অন্যতম মাধ্যম। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় দীর্ঘদিন ধরে ঘোড়া সহযোগী ভূমিকা পালন করছে, বিশেষ করে দুর্গম বালুচর তথা উত্তরবঙ্গের তিস্তা নদীর পাড়ে। যেখানে পানিশূন্যতায় তৈরি হওয়া বালুমাটির অঞ্চলে অন্য যানবাহন ব্যবহার করা সম্ভব নয়। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঘোড়ার ব্যবহার অনেক কমে গেছে। কিন্তু এ ঘোড়ার সঙ্গে যারা দীর্ঘদিন জড়িত, তাদের কাছে ঘোড়া অন্নদাতা। এ রকমই একটা কালো ঘোড়ার গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মিত হবে বলে জানিয়েছন নির্মাতা। বর্তমানে চলচ্চিত্রটির প্রি-প্রোডাকশন চলছে। এ বছরের শেষ দিকে মুক্ত দৈর্ঘের এ চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণ শুরু হবে বলে নির্মাতা জানিয়েছেন।

চলচ্চিত্রটি নিয়ে বয়াতি বলেন, ‘তিস্তার অববাহিকায় দীর্ঘদিন ন্যায্য পানি না পাওয়ায় এখানকার মানুষ ফসল ফলাতে পারছে না। আবার পানির অভাবে মাইলের পর মাইল রাস্তা আধুনিক যানবাহন ব্যবহার করা যাচ্ছে না। উত্তরবঙ্গের এসব অঞ্চলে মানুষ ঘোড়া দিয়ে তাদের উৎপাদিত ফসল ও মানুষ পারাপার করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে ও ভৌগোলিক সীমারেখার কারণে প্রকৃতি হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। একটি কালো ঘোড়া চলচ্চিত্রে আমরা এ বিষয়গুলো তুলে ধরতে চাই। এ রকম একটি চলচ্চিত্রে আশীষ খন্দকারের মতে, একজন অভিনেতাকে নিতে চেয়েছি। তিনি এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে রাজি হয়েছেন। আশা করছি, দর্শক ভালো গল্পের একটি সিনেমা উপহার পেতে যাচ্ছেন।’

কাজটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত আশীষ খন্দকার। তিনি বলেন, ‘বয়াতির সঙ্গে ইতোপূর্বে টিয়ার গপ্পো [স্বল্পদৈর্ঘ্য] ও নয়া মানুষ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। পরিশ্রম ও মেধার সমন্বয়ে সে দারুণ কাজ করতে চায়। একটি কালো ঘোড়া তার একটি নিরীক্ষাধর্মী কাজ। এতে থাকছে আমার একক অভিনয়। আমার সঙ্গী একটি ঘোড়া। আমি বিশ্বাস করি, চলচ্চিত্রটিতে সে যে মানবিক বিষয়টি তুলে ধরতে যাচ্ছে, তা দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া ফেলবে।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

পরের মিসাইলটি হয়তো আমার মা-ভাইকে আঘাত করবে: মান্দানা করিমি

ইসরায়েলের বর্বর হামলার পর পাল্টা হামলা চালাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও দেশটিতে হামলা চালিয়েছে। ফলে ভয়ংকর এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইরান।

বলিউড অভিনেত্রী মান্দানা করিমি ইরানের নাগরিক। তার পরিবার এখন ইরানে অবস্থান করছেন। নিজ মাতৃভূমির দুঃখ-দুর্দশা তাকে ভীষণ ভাবিয়ে তুলেছে। মানসিকভাবে ভালো নেই বলেও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বেশ কিছু পোস্ট দিয়েছেন মান্দানা। তাতে এ অভিনেত্রী বলেন,  “আমি ভালো নেই। আমি জানি আমাকে দেখে হয়তো মনে হচ্ছে, আমি সব কাজই করছি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমি ভালো নেই। আমি ঠিক থাকার ভাণ করছি, নিজের জন্য, পরিবারের জন্য।”

আরো পড়ুন:

‘আমার বয়স ৫৯, জীবনে গার্লফ্রেন্ড এসেছে ৪ জন’

বিরতি ভেঙে ফিরলেন আমির: কত টাকা আয় করল ‘সিতারে জমিন পার’?

বিশ্ববাসীর সমালোচনা করে মান্দানা করিমি বলেন, “শিশুদের মৃত্যু দেখেও কীভাবে একজন মানুষ ভালো থাকতে পারে। শুধু প্যালেস্টাইন বা ইরানে নয়; মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন এলাকায় আমেরিকার আর্থিক সহায়তায় বোমা ফেলা হচ্ছে। ইজরায়েল হামলা করছে। আর সারা বিশ্ব নীরবে দেখছে!”

বর্তমানে ইরানে নেই মান্দানা। তবে ইরানের বাড়িতে রয়েছে এ অভিনেত্রীর মা-ভাই। তা জানিয়ে মান্দানা বলেন, “আমি এখন ইউরোপে অবস্থান করছি। এখানকার শান্ত একটি রাস্তায় হাঁটছি। কিন্তু নিজেকে ভূত মনে হচ্ছে! আমার জীবনের একটা অংশ এখন ইরানের বাড়িতে রয়েছে। আমার একটি অংশ আমার মা, ভাই, ভাতিজা-ভাতিজিদের সঙ্গে রয়েছে। প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কে কাটছে। পরের মিসাইলটি হয়তো ওদের আঘাত করবে।”   

নিজের দেশকে পুড়তে দেখে অসহায় বোধ করছেন মান্দানা করিমি। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, “ইরান বলতে সরকার, প্রশাসন নয়। ইরান বলতে সেই দেশের মানুষকেই বুঝি। আমার মায়ের হাতকে বুঝি। সেই ইরানের মৃত্যু হচ্ছে, আমি ভালো নেই।” 

২০১৫ সালে বলিউডে পা রাখেন মডেল-অভিনেত্রী মান্দানা করিমি। ‘রায়’ সিনেমায় আনিতা চরিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে ‘কেয়া কুল হ্যায় হাম ৩’, ‘থর’ সিনেমায় দেখা যায় তাকে। এর আগে ‘বিগ বস ৯’-এ অংশ নিয়ে আলোচনায় ছিলেন। 

চলতি বছরের শুরুতে অভিনয়কে বিদায় জানানোর ঘোষণা দেন মান্দানা করিমি। ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ৩৭ বছরের মান্দানা বলেন, “অভিনয় এমন একটি কাজ ছিল যা কখনো পছন্দ করিনি, এমনকি এই শিল্পও না। আমি সেখানে যে সময় কাটিয়েছি, তার জন্য কৃতজ্ঞ। তবে এটি এমন কিছু ছিল না যার জন্য আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ