Samakal:
2025-05-07@22:11:26 GMT

শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন

Published: 7th, May 2025 GMT

শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন

ব্যাপক দরপতন চলছে দেশের শেয়ারবাজারে। আজ বুধবার দুপুর ১টায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া প্রায় সব শেয়ারকে দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে।

এতে প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১১৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা যায়। সূচক পতনের হার ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

দুপুর সাড়ে ১২টায় ১২৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ হারিয়ে ৪৮২৩ পয়েন্ট পর্যন্ত নামতে দেখা গেছে। পতনের হার বিবেচনায় ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির পর এটাই সর্বোচ্চ দর পতন। ওই দিন সূচক হারিয়েছিল ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

ব্যাপক দরপতনে আতঙ্ক বিরাজ করছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। গত কয়েক বছর ধরেই শেয়ারবাজারে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে। তবে আজকের পতনের ভালো ব্যাখ্যা মিলছে না।

পেহেলগাম হামলায় ২৬ পর্যটক নিহতের ঘটনায় প্রতিশোধ হিসেবে ভারত ‘অপারেশন সিন্ধুর’ নাম দিয়ে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর পর পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের বেশ ক্ষয়ক্ষতি খবর দিচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা জানান, এ ঘটনার কারণে এমন পতন হতে পারে। 

লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, দুপুর ১টা পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৩৯৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৯৩টির কম-বেশি কেনাবেচা হয়েছে।

এর মধ্যে ৩৭৭টি দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। এ সময় সামান্য  দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল মাত্র ৮ শেয়ার।

দিনের লেনদেনের প্রথম তিন ঘণ্টায় ৩৬৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হতে দেখা যায়।

প্রায় সব শেয়ারের দর পতনে প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স এ সময় ১১৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এ সময়ের সূচক পতনের হার ছিল ২ দশমিক ৩০ শতাংশ।

আজ সকাল ১০টায় দিনের লেনদেন শুরু হয় পতনে। প্রথম ১৮ মিনিটে ডিএসইএক্স প্রায় ৯৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৫৭ পয়েন্টে নেমেছিল। 

ভারত-পাকিস্তানের শেয়ারবাজার

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরুর ফলে উভয় দেশের শেয়ারবাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, যা এশিয়ার অন্যান্য বাজারেও প্রভাব ফেলেছে।

ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের করাচি স্টক এক্সচেঞ্জ এর কেএসই-১০০ সূচক বুধবার সকালে ৬৫০০ পয়েন্ট বা ৫.

৫ শতাংশ পতন হয়। এটি ২০২৩ সালের পর থেকে সবচেয়ে বড় একদিনের পতন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে ভারতের শেয়ারবাজারে প্রথমদিকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, বাজার দ্রুত স্থিতিশীলতা ফিরে পায়। বুধবার সকালে সেনসেক্স সূচক ৬৯২ পয়েন্ট হ্রাস পেলেও পরে তা ২০০ পয়েন্টের বেশি বেড়ে ৮০,৮৪৫ পয়েন্টে পৌঁছায়। নিফটি ৫০ সূচকও প্রাথমিক পতনের পর ২৪,৪৩৮ পয়েন্টে পৌঁছাতে দেখা গেছে।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রভাব এশিয়ার অন্যান্য বাজারেও দেখা গেছে। সিঙ্গাপুরের এসজিএক্স নিফটি সূচক বুধবার সকালে ১ দশমিক ২০ শতাংশ হ্রাস পেলেও পরে তা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হ্রাসে সীমাবদ্ধ থাকে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্ক মনোভাবের প্রতিফলন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র দরপতন র শ য় রব জ র ২ দশম ক ল নদ ন পতন র র পতন

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টা রোববার শেয়ারবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবার পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন। ১১ মে রোববার দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠকের বিষয় ‘পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ’।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ বৈঠক আয়োজনের কথা জানিয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।

চিঠিতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেককে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় আজ বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। লেনদেন হওয়া সিংহভাগ শেয়ারের দাম কমেছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই বড় ধরনের দরপতন হয়। পতনের ধারা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

ঢাকার বাজারের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গতকালের তুলনায় ১৪৯ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৮০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে আজ ৩৮৫ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচু৵য়াল ফান্ডের দাম কমেছে। বেড়েছে ৯টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টির দাম।

এ ছাড়া আজ সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৭০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টির দাম বেড়েছে। কমেছে ১৮৭টির এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুধু অর্থ উপদেষ্টা, বিএসইসি চেয়ারম্যান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণের কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন না প্রধান উপদেষ্টা। যমুনায় রোববার অনুষ্ঠেয় বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), ডিএসই, সিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন, ব্রোকাস৴ অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি সংস্থার প্রতিনিধিদের থাকা উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, সব পক্ষের প্রতিনিধি ছাড়া বৈঠক করলে বাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ নিয়ে একপেশে ও অসম্পূর্ণ ধারণা পাবেন প্রধান উপদেষ্টা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রধান উপদেষ্টা রোববার শেয়ারবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন
  • পুঁজিবাজারে বড় পতনে লেনদেন চলছে
  • যুদ্ধের প্রভাবে সূচক পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজারে, রুপিরও দরপতন