ফতুল্লার মুসলিম নগর নয়াবাজার এলাকার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকার সর্বস্তরের জনগন।  

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকালে মুসলিম নগর এলাকায় অনুষ্ঠিত  মানববন্ধনে একাত্মতা ঘোষণা করে অংশ গ্রহন করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার। এরআগে তারা মুসলিম নগর এলাকার জ্বলাবদ্ধতা পরিদর্শন করেন। 

মানববন্ধনে মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ বলেন, বিগত দিনে যারা জন প্রতিনিধি ছিলো তারা এই এলাকার মানুষকে বঞ্চিত করেছে। তারা যদি যথাযথ ভাবে কাজ করতো তাহলে এই জন দূর্ভোগ সৃষ্টি হতোনা। 

আবদুল জব্বার বলেন দায়িত্বশীল কর্তা ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অতি দ্রুত এই এলাকার জ্বলাবদ্ধতা দূর করতে হবে। আমরা সব সময় জনগনের খেদমতে জনগনের সাথে থাকতে চাই, আমরা চাই একটি কল্যাণ রাস্ট্র। আপনারা আমাদের যদি সুযোগ দেন ইনশাআল্লাহ একটি ইনসাফ পূর্ণ দেশ উপহার দেবো। 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবু সাঈদ মুন্না, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মাওলানা আবদুল মোমিন  সহ অনেক সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য দীর্ঘদিন যাবত মুসলিম নগর এলাকা জ্বলাবদ্ধতার জন্য প্রায় পাচ লাখ মানুষের যাতায়াতের রাস্তা জ্বলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পরেছে এলাকার সর্বস্তরের জনগন

আব্দুল মোমিন বলেন আগামী পনের দিনের মধ্যে যদি দৃশ্যমান কাজের কোন অগ্রগতি না দেখি এর চেয়ে কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

অন্যান্যের মধ্যে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন মফিজুল ইসলাম, সালেহ আহমদ, মোক্তার হোসেন ডাক্তার আবুল হোসেন, মহিউদ্দিন, আলম, প্রমুখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ এল ক র র এল ক

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে আইনজীবী হত্যায় ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শামসুল ইসলাম চৌধুরী হত্যা মামলায় তার ছেলেসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার সকালে সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন প্রামাণিক ১৪ বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনছারুজ্জামান জানান।

দণ্ডিতরা হলেন- আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না (৪৫), তার সহযোগী জাহের আলী (৩৫) ও আনসার আহমদ (২৫) ।

মামলার বরাতে পিপি আনছারুজ্জামান বলেন, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে নামাজরত অবস্থায় সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে তার ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না পেছন থেকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে শামসুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

পরে তাকে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অচেতন অবস্থায় গাড়িতে তুলে সুনামগঞ্জের ছাতকের মল্লিকপুর এলাকার সুরমা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। কয়েকদিন পর সুনামগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে সুরমা নদীতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় মুন্নাকে গাড়িচালকসহ তিনজন সহযোগিতা করেন।

মামলার রায়ে গাড়িচালক বোরহান উদ্দিনকে তিন বছরের সাজা দেয় আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন। মামলার ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জন সাক্ষ্য দেন বলে জানান আনছারুজ্জামান জানান।

তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম চৌধুরীর চার মেয়ে ও দুই ছেলের জনক ছিলেন। তার বড় ছেলে মাহমুদ আহমদ চৌধুরী এই মামলার বাদী। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, অ্যাডভোকেট গোলাম এহিয়া চৌধুরী সোহেল।

সিলেটে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিভাগীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, পৃথিবীতে বাবা-ছেলের মধুর সম্পর্ক থাকে। বৃদ্ধ বয়সে এসে বাবা ছেলের সহায়তা চেয়ে থাকেন। সে অবস্থায় আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে জমিসংক্রান্ত জের ধরে হত্যা করা হয়। এই রায়ের মাধ্যমে নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা সাজা পাবেন।

সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পেশকার মো. আহমদ আলী বলেন, মুন্না তার বাবাকে বলেছিলেন, মীরবক্সটুলার বাসার সামনের অংশ তার নামে লিখে দিতে। কিন্তু শাহাদত হোসেন তাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মুন্না প্রায়ই তাকে মানসিক নির্যাতন করতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবিতে গবেষণা পদ্ধতিবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • ঢাবিতে বিশ্বকবির ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
  • বিএসএফের ‘পুশ-ইন’ ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি খেলাফত মজলিসের
  • ফতুল্লায় জ্বলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন 
  • আমাদের মাঝে মায়া-মমতা কমে যাচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
  • চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
  • ঢাবিতে পঞ্চম জাইকা চেয়ার লেকচার অনুষ্ঠিত
  • সাংবাদিক মিলন ও হাবিবের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • সিলেটে আইনজীবী হত্যায় ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ