অভিযান শুরুর সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সোয়া ১১টায় শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত সাবেক এই মেয়রের বাড়িতে পুলিশ অভিযান শুরু করে। খবর পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থা নেয় এলাকাবাসী। পরে সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে বাড়ির চারপাশে ঘিরে রাখে। অভিযান শুরুর সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সেখানে তাঁর বিপুলসংখ্যক সমর্থক অবস্থান করছিলেন। গাড়িবহর নিয়ে পুলিশও ছিল সতর্ক অবস্থানে।
স্থানীয়রা জানায়, ৫ আগস্টের পর এই প্রথম বিপুল সংখ্যক পুলিশের একটি বহর সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়িতে আসে। এই খবর জেনে বাড়ির চারপাশে অবস্থান নিতে শুরু করে এলাকাবাসী। এসময় আশপাশের মসজিদগুলোয় পুলিশ আসার খবর প্রচার করা হয়। কয়েক শ মানুষ কয়েকটি স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে। তবে রাত দেড়টা পর্যন্ত দেওভোগ সড়কের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি বহরকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, সাবেক মেয়র আইভী স্থানীয়দের কাছে দলমত নির্বিশেষে নারায়ণগঞ্জ নগরীর নানা উন্নয়ন করেছে। তাই স্থানীয়রা এই পুলিশি অভিযান প্রতিহত করতে সড়কে নেমেছেন।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যার চেষ্টাসহ পাঁচটি মামলায় আসামি করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে। এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনো পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কিন্তু পুলিশি অভিযান চলমান।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ বিলুপ্ত করা হলে বাড়িতে অবস্থান নেন আইভী।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ এল ক ব স অবস থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার বিজয় র্যালিতে জেলা বিএনপির বিশাল শোডাউন
ঢাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ৫ই আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির বিজয় র্যালিতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজা হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশাল শোডাউন করে অংশগ্রহন করেছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর দুইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় এ কার্যালয়ের সামনে এই বিজয় র্যালির আয়োজন করা হয়। এতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এদিকে কেন্দ্র ঘোষিত বিজয় র্যালিকে সফল করার লক্ষ্যে দুপুর থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন সুসজ্জিত হয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নটরডেম কলেজের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে। পরে বিশাল মিছিল নিয়ে বিজয় র্যালি অংশগ্রহণ করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহমেদ টুটুল, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু, আঃ হাই রাজু, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চু, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল, সাধারণ সম্পাদক এড. বারী ভূঁইয়া, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম সজিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডাঃ শাহিন, সদস্য সচিব আলম মিয়া, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভূঁইয়া, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, সাধারণ সম্পাদক রুমা আক্তারসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।