পুলিশের গাড়িতে আইভী সমর্থকদের হামলার চেষ্টা : প্রতিহত করল যুবদল
Published: 9th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেত্রী ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে আইভীকে গ্রেপ্তার শেষে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়িবহরে হামলা মামলায় আইভীর সমর্থক ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা তাদেরকে প্রতিহত করে পুলিশের গাড়িকে নিরাপদে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়।
জানাগেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সাবেক মেয়র আইভী গ্রেফতার করে পুলিশ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দিকে নিয়ে যেতে চাইলে শহরের কালীবাজার গ্রীন্ডলেজ ব্যাংকের মোড়ে পৌঁছালে আইভীর মুক্তি চেয়ে মিছিল করে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণসহ অতর্কিত হামলা চালায় আইভীর সমর্থক ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
এসময়ে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। আইভী সমর্থক ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে অতর্কিত হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ জন আহত হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের নেতৃত্বে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা রোধে শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।
যাতে করে আইভীকে গ্রেফতারের পর শহরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী না কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। তার জন্য তারা শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থানে এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিছিল বের করেন।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র -জনতার হত্যা মামলার আসামি সাবেক মেয়র আইভীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে গেলে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার বাড়ি চারপাশ ঘিরে রাখে। এবং তারা শহরে অরাজগতা ও বিশৃঙ্খলা করার করবে বলে আমরা জানতে পারি।
তারপর থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা আমরা রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অবস্থান নেই এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলি। শহরে আমাদের মহানগর যুবদলের অবস্থান দেখে তারা কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা করার সাহস পাইনি।
তিনি আরও বলেন, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎ করে আইভীর মুক্তি চাই স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীরা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়।
এসময় যুবদলের নেতাকর্মীরা তাদেরকে প্রতিহত করে পুলিশের গাড়িকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। আমাদের যুবদলের নেতাকর্মীদের পুলিশের গাড়িকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করেছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ল গ র ন ত কর ম ও আওয় ম অবস থ ন ত র কর আইভ র আইভ ক শহর র
এছাড়াও পড়ুন:
শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির প্রস্তুতিমূলক সভা
আসন্ন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এক প্রস্তুতিমূলক ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় শহরের আমলাপাড়া হোসিয়ারী সমিতির কমিউনিটি সেন্টারের নিচতলায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সারা বাংলাদেশের জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় তিনি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছেন—দেশের যেকোনো স্থানে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কেউ যদি দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বা উসকানিমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্গোৎসব শুরু হয়ে ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। দুর্গা বিসর্জনের দিন পর্যন্ত প্রতিটি পূজা মণ্ডপে বিএনপির পক্ষ থেকে কমপক্ষে ১০ জন করে কর্মী সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বন্দর উপজেলা সহ মোট ৮২টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে। আমরা প্রতিটি মণ্ডপে নজরদারি নিশ্চিত করব যাতে পূজার আনন্দ বিন্দুমাত্র বিঘ্নিত না হয়।
প্রস্তুতিমূলক ও কর্মীসভায় মহানগর বিএনপির বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভার সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. মোঃ সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. মোঃ আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. মোঃ আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় একইভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্গাপূজার সময় পাহারার দায়িত্ব পালন করবেন।
বিগত বছরগুলোতেও আমরা এভাবে পূজার নিরাপত্তায় পাশে ছিলাম। এ বছরও আমরা শেষ পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থেকে তাদের উৎসব সফল ও আনন্দঘন করতে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখব।
প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ১০ জন করে স্থায়ী পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি মহানগরের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবেন। বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।
সভায় নারায়ণগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপির নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আপনারা যেভাবে আমাদের আগলে রেখেছেন তা অনন্য দৃষ্টান্ত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আসন্ন ২৮ সেপ্টেম্বর দুর্গোৎসব শুরু হবে সে সময়ও আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। পাশাপাশি পূজা মণ্ডপে আপনাদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ ও দাওয়াত রইল।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সানিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি সভাপতি, মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব শাহেন শহ্ আহম্মেদ।বন্দর থানা, সাধারণ সম্পাদক, জনাব নাজমুল হক রানা (বাবু)। সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১নং সিনিয়র সদস্য, এড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। সিনিয়র সদস্য ড. মজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য শিপলো, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিরা সরদার, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ১৮নং ওয়াড বিএনপি মোঃ আল-আরিফ, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক, মাহাবুব রহমান। ১২ওয়াড বিএনপির বরকতউল্লাহ লালু।
আরো উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শ্রী শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন,সহ-সভাপতি তিলোত্তমা দাস, মহানগরের সভাপতি শ্রী বিষ্ণু পদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, সহ-সভাপতি উত্তম কুমার সাহা,তপন সাধু প্রচার সম্পাদক জেলার, সুমন দে দপ্তর সম্পাদক মহানগরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।