নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেত্রী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম সুজন। শুক্রবার (৯ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এই নিন্দা জানান।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জে গুম-খুন-সন্ত্রাসের প্রতীক ছিলো না। এমনকি গত ১৭ বছরে বিএনপি কিংবা বিরোধী মত হিসেবে আমরা যারা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে জানবাজি রাখা লড়াই চালিয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১ টি মামলাও করে নাই। প্রতিপক্ষকে নির্মূল কিংবা দমন-পীড়ন আইভীর রাজনীতি ছিলো না।

২০১১ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আইভীকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দেওয়া হয় নাই। আইভী সেই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। মনোনয়ন না দেবার কারণ হিসেবে শেখ হাসিনা বলেছিল ' আইভী বিএনপিসহ আওয়ামী বিরোধীদের প্রতিহত করতে পারবে না। 

বিএনপিসহ বিরোধী মতকে প্রতিহত করতে শামীমকে লাগবে।' সেই নির্বাচনে আইভী কেবল শামীম ওসমানের বিরুদ্ধেই লড়ে নাই, তার নিজের দল আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধেও লড়তে হয়েছে। হাসিনা যখন দেখেছে আইভী লক্ষাধিক ভোটে তার দলীয় প্রার্থীকে হারিয়েছে এবং নারায়ণগঞ্জের জনসমর্থন আইভীর দিকে তখন দলীয় পদ ফিরিয়ে দিয়েছে।

গত আওয়ামী রেজিমে আইভী বিএনপি-জামাত তো দুরের কথা, বিরোধী জনমতের বিপক্ষে দাঁড়ায় নাই। নারায়ণগঞ্জ একটা গুম-খুন সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছিল। সেই জনপদে আইভী সন্ত্রাসের বিপক্ষে ছিল। বিরোধী দলমত দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ছিল। উল্টো বলা যায়, এই জনপদে আওয়ামীলীগের যে অংশ গুম-খুনের সাথে যুক্ত ছিল, আইভী তাদের ব্যাক্তিগত শত্রুতে পরিণত হয়েছিল। তারা একাধিকবার আইভীকে হত্যার পরিকল্পনাও করেছিলও। 

আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৪ টা মামলা এবং সদর থানায় ১ টা ছাত্র-জনতা হত্যা'র মামলা আছে। আমরা সকলেই জানি, এসকল হত্যা মামলার ভবিষ্যৎ কতদুর! এসব মামলায় কারা টাকা নিয়ে প্রকৃত আসামীদের যুক্ত না করে মামলা বাণিজ্য করেছে। কারা নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে, কারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে এসব মামলায় আসামী হিসেবে নাম যুক্ত করেছে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কেউ দেখাতে পারবে না আইভী এসে আন্দোলনে বাঁধা দিছে কিংবা ছাত্র-জনতার উপর দমন-পীড়ন, গুলি চালিয়েছে। তার দল আওয়ামীলীগ গণহত্যাসহ সমস্ত অপরাধে যুক্ত থাকলেও ব্যাক্তি হিসেবে আইভী এসবের উর্ধে ছিল।

মিথ্যা খুনের মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িতদের "মজলুম" বানিয়ে রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামীলীগকে পুর্নবাসন করার চেষ্টার বিরোধীতা করি। ঢালাও খুনের মামলা বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনবে, এবং আওয়ামী লীগের প্রতিই সহানুভূতি তৈরি করবে।

যারা ছাত্র-জনতার হত্যার সাথে যুক্ত তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ফৌজদারী অপরাধকে যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে হবে, যথাযথ বিচার করতে হবে। বিচারকে অবশ্যই ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। প্রতিপক্ষকে নানান হয়রানী-গায়েবী মামলা দিয়ে দমন-পীড়ন, নির্মূল করার নাম নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: শ ম ম ওসম ন ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আওয় ম ল গ র ন র য়ণগঞ জ ছ ত র জনত র জন ত ক আইভ র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে মামুন মাহমুদের উদ্যোগে ৮ম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদের উদ্যোগে সোনারগাঁয়ে ৮ম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সোমবার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাইকারটেক নবাব হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে ১২শ’ রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।

এতে ২২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেখানে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বিনামূল্যে ঔষধ, চশমা সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও ডায়াবেটিস, রক্তের গ্রুপ, ডেঙ্গু টেস্ট করা হয়েছে।

এর আগের ৭টি ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে ১৬ হাজারের বেশী রোগীর এসব সেবা গত ১৮ দিনে দেওয়া হয়েছে বলে ক্যাম্প পরিচালনায় সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এই ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করতে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সভায় অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আমি এই এলাকায় এমপি-মন্ত্রী হতে আসিনি। মানুষের সেবা করতে এসেছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ৩১ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে সেবার মাধ্যমে তার প্রচারণা করতে এসেছি। 

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী সামসুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এসময়ে আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ডাক্তার মজিবুর রহমান, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, কাইকারটেক নবাব হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো:ওবায়দুর রহমান এবং ধ্রুবতারা যুব সংঘের সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু।

উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা দলের সভাপতি রহিমা শরীফ মায়া, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, মহানগর শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনির মল্লিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাকের আহমেদ সোহান, নাসিক ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির হোসেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন মৃধা প্রমূখ। সভা শেষে তিনি রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
 ‎
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডেঙ্গু প্রতিরোধে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সতর্কতামূলক প্রচারাভিযান 
  • বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদের পক্ষে আনুর নেতৃত্বে ‎শহরে গণসংযোগ
  • ফতুল্লায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা, কথিত বিএনপি নেতাকে কারাগারে প্রেরণ
  • বন্দরে গভীর রাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মশাল মিছিল 
  • নারায়ণগঞ্জে ভাবি ও ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
  • দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রী সালমার স্বপ্নপূরণে ডিসি জাহিদুলের সহায়তা
  • মাসুদ ভাই আপনাদের উন্নয়নে, সমস্ত কর্মকাণ্ডে পাশে থাকবেন : সজল
  • সিদ্ধিরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলার আসামি কারাগারে
  • নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে বালকদের ভলিবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
  • সোনারগাঁয়ে মামুন মাহমুদের উদ্যোগে ৮ম ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত