কু‌ড়িগ্রা‌মের উলিপু‌রে ব্রহ্মপুত্র ন‌দে গোসল কর‌তে নে‌মে ইব্রা‌হিম আলী (১২) ও ইমরান হো‌সেন (৮) না‌মে নিখোঁজ হওয়া দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার ক‌রে‌ছেন স্থানীয়রা। 

সোমবার (১২‌ মে) সকাল ৭ টার দি‌কে উপ‌জেলার হা‌তিয়া ইউনিয়‌নের পা‌লের ঘাট এলাকা থে‌কে তা‌দের মর‌দেহ উদ্ধার করা হয়।

উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি)‌ জিল্লুর রহমান জানান, সুরতহাল শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গে‌ছে, ইব্রা‌হিম আলী ও ইমরান হো‌সেন আপন দুই ভাই। গত শ‌নিবার (১০ মে) বেলা ৩ টার দি‌কে উপ‌জেলার বুড়াবু‌ড়ি ইউনিয়‌নের চর জলাঙ্গারকু‌ঠি গ্রা‌মে ব্রহ্মপুত্র ন‌দে গোসল কর‌তে নে‌মে ডু‌বে যায় তারা। ফায়ার সা‌র্ভি‌সের ডুবু‌রি দল অ‌নেক খোঁজাখুঁ‌জি ক‌রেও তাদের সন্ধান পায়‌নি। প‌রে আজ (সোমবার) সকা‌লে ঘটনাস্থল থে‌কে তিন কি‌লো‌মিটার ভা‌টি‌তে হা‌তিয়া ইউনিয়‌নের পা‌লের ঘাট এলাকায় দুই ভাই‌য়ের মর‌দেহ ভাস‌তে দে‌খে উদ্ধার ক‌রেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ৬ বছর পূ‌র্বে শিশু ইমরান ও ইব্রাহি‌মের মা‌য়ের স‌ঙ্গে তাদের বাবার বি‌চ্ছেদ হয়। এরপর তা‌দের মায়ের অন্যত্র বি‌য়ে হ‌লে শিশু‌ দু‌টি চর জলঙ্গারকু‌ঠির নানা বা‌ড়ি‌তে থা‌কতো।

ঢাকা/বাদশাহ্/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণে চাঁদা দাবি সন্ত্রাসীদের

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন প্রশাসনিক-একাডেমিক ভবনের কাজে চাঁদা দাবি করে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে এ দুটি ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছে।  

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে বর্তমানে ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা প্রশাসনিক ভবন ও ১৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণ চলছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভবন দুটির নির্মাণ চলছে। উভয় ভবনের নির্মাণকাজ পেয়েছে চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমই-আরবিজেবি। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সাতজনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে ঢুকে ঠিকাদারের কর্মচারীদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। পরে সন্ত্রাসীরা নির্মাণ শ্রমিকদের থাকার জন্য তৈরি করা টিনশেডের ঘরে ঢুকে তাদের ১০ থেকে ১২টি মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার আগে চাঁদা না দিলে নির্মাণকাজ বন্ধের হুমকি দেয়। চাঁদা না দিয়ে কাজ চলমান রাখলে পরবর্তী সময়ে ক্ষতি হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর ঠিকাদারের লোকজন ও শ্রমিকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়। 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া প্রায় ছয় মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ২৬ জুন রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সাত সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক ধরে হেঁটে ক্যাম্পাসে ঢুকছে। তাদের মধ্যে চারজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখে চেয়ারে বসা নিরাপত্তা প্রহরী অস্ত্রধারীদের দেখে উঠে দাঁড়ান। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। অস্ত্রধারীরা শ্রমিকদের ঘরে ঢুকে কয়েক মিনিট অবস্থান করার পর একই পথে চলে যায়। 

এ ব্যাপারে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছে। পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকেও জানানো হয়েছে বিষয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজে দুইবার চাঁদা দাবি করেছিল। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভবনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
 
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মীর হোসেন জানান, চাঁদা না দেওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের কাউকেই চিনতে পারিনি। এরা কোনো দলের কিনা জানি না। 

কোতোয়ালি থানার ওসি সাহেদ উদ্দীন জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আতিয়ার রহমান এ ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, এর আগে সিসিটিভি ফুটেজ না থাকায় কারা চাঁদা চাইতে এসেছিল জানা যায়নি। তবে এবার কারা এসেছে আমরা জানতে পেরেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ