২ / ১২সারা দেশ থেকে আসা রূপবিশেষজ্ঞরা অংশ নেন কার্নিভ্যালে। একেকজন মডেলের সাজের দায়িত্বেও ছিলেন একেকজন রূপবিশেষজ্ঞ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শিগগির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান না ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি কোনো বৈঠক হচ্ছে না। গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিন রাতেই পাল্টাপাল্টি ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এতে ইউক্রেনে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন।

পুতিনের সঙ্গে সোমবার ফোনালাপ করেন ট্রাম্প। ওই ফোনালাপে হাঙ্গেরিতে দুজনের মধ্যে বৈঠকের বিষয়ে ঐকমত্য হয়। ক্রেমলিন থেকে জানানো হয় যে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। মূলত রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে এই বৈঠকের কথা ছিল। এর আগে আলাস্কায়ও সরাসরি বৈঠক করেছিলেন দুই নেতা।

ফোনালাপের পরদিন হোয়াইট হাউস জানায়, পুতিনের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের। কারণ, তিনি ব্যর্থ কোনো বৈঠক করতে চান না। এ বিষয়ে মস্কোর মতও একই। তবে এমন বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, বৈঠকের কোনো দিন নির্ধারণ হয়নি। আর প্রস্তুতির জন্য সময় প্রয়োজন।

ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে শিগগিরই বৈঠকের বিষয়টি নাকচ করা হলেও, মস্কোর দিক থেকেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেননি রাশিয়ার পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ। রয়টার্সকে তিনি বলেন, বৈঠকের প্রস্তুতি এখনো নেওয়া হচ্ছে। তাঁরা বড় কোনো বাধা দেখতে পাচ্ছেন না। এটি একটি কঠিন প্রক্রিয়া। তবে এটাই কিন্তু কূটনীতিকদের কাজ।

বৈঠক বিলম্বিত হওয়ার খবর এমন সময় এল, যখন ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তিচুক্তির জন্য নিজেদের পুরোনো শর্তগুলোর ওপর আবার জোর দিচ্ছে মস্কো। শর্তগুলোর একটি হলো ইউক্রেনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলজুড়ে থাকা পুরো দনবাস এলাকা রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়া। যদিও যুদ্ধক্ষেত্রে সম্মুখসারি বরাবর সংঘাত থামানোর যে প্রস্তাব ট্রাম্প দিয়েছেন, তারও বিরুদ্ধে যায় এসব শর্তগুলো।

এদিকে ট্রাম্প–পুতিন বৈঠকের পেছানোর খবর আসার পর মঙ্গলবার রাতে পাল্টাপাল্টি ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা আজ বুধবার জানিয়েছেন, রাশিয়ার হামলায় রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। হামলায় অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ