গণতন্ত্রই অধিকার নিশ্চিতের একমাত্র পথ: আলী রীয়াজ
Published: 14th, May 2025 GMT
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই কেবল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ জনগণের দোরগোড়ায় সুবিচার পৌঁছে দিতে পারে।”
বুধবার (১৪ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা রবার্ট এফ.
বৈঠকে কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরির জাতীয় প্রয়াস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটি শক্তিশালী, জবাবদিহিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র গঠনে একটি জাতীয় সনদের খসড়া তৈরির কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, সব পক্ষের অংশগ্রহণেই এই সনদ বাংলাদেশের ভবিষ্যতের রূপরেখা নির্ধারণে সহায়ক হবে।”
তিনি জানান, কমিশন ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা প্রায় শেষ করেছে। শিগগিরই দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপে প্রবেশ করবে কমিশন।
বৈঠকে আর.এফ.কে হিউম্যান রাইটস-এর প্রেসিডেন্ট ক্যারি কেনেডি, সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের স্টাফ অ্যাটর্নি ক্যাথরিন কুপার এবং আন্তর্জাতিক পরামর্শ ও বিচারিক কার্যক্রমের ভাইস-প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেলিটা ব্যায়েন্স উপস্থিত ছিলেন।
ক্যারি কেনেডি কমিশনের উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যৎ পথচলায় সফলতা কামনা করেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাইয়ের মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্যের সনদ হতে পারে: আলী রীয়াজ
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপ ইতিবাচক অগ্রগতির দিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘জুলাই মাসের মধ্যেই একটি যৌথ সমঝোতার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্যের সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।’’
রবিবার (২৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘গত সাত দিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। যদিও আমরা এখনো চূড়ান্ত আশাবাদের জায়গায় পৌঁছাইনি, তবে আলোচনার ধারা ইতিবাচক। আমরা চাই না অতীতের সেই দুঃসহ রাজনৈতিক অচলাবস্থায় ফিরে যেতে। এই প্রক্রিয়ার গতি এবং এর ফলই বলে দেবে আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের পথে যাচ্ছি কি না।’’
তিনি জানান, ৭০ অনুচ্ছেদ, জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটি, উচ্চকক্ষ গঠন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের মতো কয়েকটি মূল ইস্যুতে পক্ষগুলোর পর্যালোচনা ও প্রস্তাব সংশোধনের মাধ্যমে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চকক্ষ গঠন নিয়ে দুটি ভিন্নমত আলোচনার টেবিলে এলেও শেষ পর্যন্ত একটি ‘সংশোধিত কাঠামোগত রূপরেখা’ গৃহীত হয়েছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির একক মনোনয়ন নয়, বরং ১০০ সদস্যের একটি পৃথক উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।
রীয়াজ বলেন, ‘‘এতে করে অংশগ্রহণমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ সংসদীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হবে।’’
এছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং সংবিধানের কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় ঐকমত্যের লক্ষ্যে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী কাজ এগিয়ে চলেছে জানিয়ে রীয়াজ বলেন, ‘‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল আবু সাঈদের শাহাদাৎবার্ষিকীতে দলগুলোর স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই সনদ প্রকাশ করা। যদিও নির্ধারিত সময়ে তা সম্ভব হচ্ছে না, তবে জুলাইয়ের মধ্যেই আমরা একটি কার্যকর চূড়ান্ত খসড়ায় পৌঁছাতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’’
এএএম//