পদ্মায় ভাসছিল অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ, ৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার
Published: 18th, May 2025 GMT
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের বিপরীতে পদ্মা নদীর চরের কিনারে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, লাশটি দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের বিপরীতে নদীর বালুচরের ধারে ভেসে ছিল। ওই ব্যক্তির বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছর। গতকাল বেলা ১১টার দিকে কয়েকজন জেলে নদীতে মাছ ধরার সময় প্রথম লাশটি ভাসতে দেখেন। তবে কেউ বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাননি। পরে সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় লোকজন নৌফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশের ধারণা, গত শুক্রবার বিকেলের দিকে ঝড়ের সময় ফেরি বা লঞ্চ থেকে পড়ে গিয়ে ওই ব্যক্তি মারা যেতে পারেন। তবে তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল গতকাল রাত ১০টার দিকে এসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। আজ রোববার ফরিদপুর থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল আসার কথা আছে। তারা প্রযুক্তিগতভাবে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করবে। এরপর লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা প্রথম আলোকে বলেন, রাত আটটার দিকে স্থানীয় মানুষের সহায়তায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, নিহত ব্যক্তির পরনে ছিল হাফহাতা চেক শার্ট, শেওলা-কালো ফুলপ্যান্ট ও পায়ে ছিল বেল্টসহ স্যান্ডেল। প্যান্টের পকেটে পাওয়া গেছে ৪৫০ টাকা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৪০০ বছরের পুরোনো যৌনপল্লির গল্পে ‘রঙবাজার’, আসছে দুর্গাপূজায়
চারশো বছরের পুরোনো যৌনপল্লি এক রাতেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়-এই বাস্তবতাকে কেন্দ্র করেই নির্মিত হয়েছে রাশিদ পলাশ পরিচালিত সিনেমা ‘রঙবাজার’। তামজিদ অতুলের গল্প অবলম্বনে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন গোলাম রাব্বানী। দুর্গাপূজা উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।
লাইভ টেকনোলজিস প্রযোজিত ‘রঙবাজার’-এর শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। সিনেমার অধিকাংশ দৃশ্যধারণ হয়েছে দেশের অন্যতম প্রাচীন ও আলোচিত যৌনপল্লি দৌলতদিয়ায়। নির্মাতা বলেন, ‘‘রঙবাজার’ দীর্ঘদিন ধরেই মুক্তির অপেক্ষায় ছিল। তবে এটি সব শ্রেণির দর্শকের জন্য নয়, একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মনস্তত্ত্বকে কেন্দ্র করেই নির্মাণ। তাই সঠিক সময় বেছে নেওয়ার জন্যই অপেক্ষা করা হচ্ছিল।’
দুর্গাপূজার সময়টিকে নিজের জন্য ‘বিশেষ’ উল্লেখ করে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘গত বছর মুক্তির পরিকল্পনা থাকলেও দেশের সামগ্রিক অবস্থা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়। এবার পূজায় মুক্তি দিতে চাই। কারণ, এই উৎসবেই আমার “পদ্মাপুরাণ” মুক্তি পেয়েছিল। সে সময় দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছিলাম, এবারও তেমনটাই আশা করছি।’
সিনেমার গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যৌনপল্লি নিয়ে এ দেশে খুব বেশি চলচ্চিত্র তৈরি হয়নি। এই পেশাকে আমাদের সমাজ আজও অন্ধ চোখে দেখে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পেশারও রং বদলেছে। টানবাজার উচ্ছেদের সময় যা ঘটেছিল, তার পরিণতি আজও টের পাওয়া যায়। সিনেমায় আমরা সেই সময়টাকে তুলে ধরেছি-এই পেশা কি উচ্ছেদের পর বিলুপ্ত হয়েছে, নাকি সমাজের ভেতরে আরও ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে?’
‘রঙবাজার’-এ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শম্পা রেজা, তানজিকা আমিন, নাজনীন হাসান চুমকি, জান্নাতুল পিয়া, শাহজাহান সম্রাট, মৌসুমী হামিদ, মানিক সাহা, লুৎফুর রহমান জর্জ ও মাহমুদুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
নির্মাতা ও কলাকুশলীদের প্রত্যাশা, দর্শক এ সিনেমায় বাস্তবতাকে নতুনভাবে দেখবেন। সমাজের এক প্রান্তে পড়ে থাকা একটি আলো-আঁধারির পেশার মানুষদের গল্প হয়তো নতুন আলোচনার জন্ম দেবে।