মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে ‘ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে অর্থনীতি বিভাগের সেমিনার হলে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক মো.

মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

আরো পড়ুন:

সাবেক উপাচার্যের দুর্নীতি তদন্তে অসহযোগিতা রাবি প্রশাসনের

প্রশাসনিক কাজেও বিরত থাকার ঘোষণা কুয়েট শিক্ষক সমিতির

বিশেষ অতিথি ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. নাজমুস সাদেকীন ও অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সাহা। রিসোর্স পার্সন হিসেবে ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. মাহবুবুল হাকিম।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, “বর্তমানে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থনীতি বিভাগে এই শিক্ষাব্যবস্থার বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। কারণ শিক্ষার্থীদের শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জন নয়, বরং তাদের দক্ষতা, আচরণ এবং নৈতিকতার উন্নয়ন নিশ্চিত করাই ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য।”

তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন শিক্ষার্থী তৈরি করা, যারা শুধু ভালো ফলাফল করবে না, বরং জ্ঞান, দক্ষতা এবং মূল্যবোধে হবে সমৃদ্ধ। আমি সবসময় চেষ্টা করি, আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যেন সময়োপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারে। ফলভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।”

ঢাকা/কাওছার/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফলভ ত ত ক শ ক ষ ব যবস থ র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিতের ঘোষণায় শোকজ, পরে ক্ষমা প্রার্থনা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্দরে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক সিবিএ নেতা হুমায়ুন কবীর। 

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর অকশন শেড সংলগ্ন শ্রমিক দলের কার্যালয়ে এক কর্মীসভায় ওই সাবেক সিবিএ নেতা উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন। তবে পরে এমন বক্তব্য ভুলবশত, অনিচ্ছাকৃত এবং অজ্ঞতাবশত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করে উপদেষ্টার কাছে এক কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন হুমায়ুন কবীর। 

ওই সাবেক সিবিএ নেতার এমন বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়ে গত ১ জুলাই  কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তাকে এর উত্তর জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে নোটিশের জবাবে হুমায়ুন কবীর ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

মো. হুমায়ুন কবীর চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও পরিদর্শন বিভাগের সুপারিন্টেনডেন্ট অডিট হিসেবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এনসিটি বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সর্বশেষ এক কর্মসূচিতে উপদেষ্টাকে নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ