মেট্রোরেলে যাতায়াতকারীদের মধ্যে যারা সাইকেল ব্যবহার করে স্টেশনে যান তাদের জন্য স্টেশনে সাইকেল পার্কিয়ের ব্যবস্থার পরিকল্পনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ফেসবুক পেজে এ কথা জানানো হয়েছে। 

পোস্ট বলা হয়, ডিএনসিসির ইনোভেশন ল্যাব বর্তমানে ঢাকার মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে সাইকেল পার্কিং স্টেশন তৈরির সম্ভাবনা অনুসন্ধান করছে। এজন্য একটি জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে। সেই জরিপে অংশ নেওয়ার জন্য এই ঠিকানায় (https://ee.

kobotoolbox.org/x/uhwlzT4u) তথ্য জানাতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়।

বিষয়টি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এজাজ আহমেদও তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে উল্লেখ করেছেন। জরিপে জানতে চাওয়া হয়েছে-ব্যবহারকারীর বয়স, জেন্ডার, পেশা, বর্তমানে কোন এলাকায় বসবাস করছেন, কতবার মেট্রোরেল ব্যবহার করেন, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন এলাকায়, সাইকেল চালাতে পারেন কিনা, সাইকেল আরোহীদের জন্য ঢাকায় কীভাবে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা যায় এমন পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, মূলত তারা এই জরিপ পরিচালনা করে যদি দেখেন, মানুষ সাইকেল ব্যবহার করে মেট্রোরেল স্টেশনে যেতে চান এবং সেখানকার পার্কিংয়ে সাইকেল রেখে মেট্রোতে করে কর্মক্ষেত্রে যাবেন, আবার ফিরে এসে সেই পার্কিং থেকে সাইকেল নিয়ে বাসায় যাবেন- তাহলে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে নির্দিষ্ট ফি’র মাধ্যেমে সাইকেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এতে মানুষ সাইকেল চালিয়ে যাতায়াতে অভ্যস্ত হবেন বলে জানানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিতের ঘোষণায় শোকজ, পরে ক্ষমা প্রার্থনা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্দরে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক সিবিএ নেতা হুমায়ুন কবীর। 

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর অকশন শেড সংলগ্ন শ্রমিক দলের কার্যালয়ে এক কর্মীসভায় ওই সাবেক সিবিএ নেতা উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন। তবে পরে এমন বক্তব্য ভুলবশত, অনিচ্ছাকৃত এবং অজ্ঞতাবশত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করে উপদেষ্টার কাছে এক কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন হুমায়ুন কবীর। 

ওই সাবেক সিবিএ নেতার এমন বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়ে গত ১ জুলাই  কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তাকে এর উত্তর জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে নোটিশের জবাবে হুমায়ুন কবীর ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

মো. হুমায়ুন কবীর চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও পরিদর্শন বিভাগের সুপারিন্টেনডেন্ট অডিট হিসেবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এনসিটি বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সর্বশেষ এক কর্মসূচিতে উপদেষ্টাকে নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ