দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে অবশেষে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপনে ১০ তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণে পূর্ত কাজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির ২০তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সোহেল বকস বলেন, কক্সবাজারে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপনে পূর্ত কাজ সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, দ্রুতই হাসপাতাল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী।

সরকারের এ সিদ্ধান্তে কক্সবাজার জেলাবাসীর মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি রোহিঙ্গাদেরও চিকিৎসাসেবা দিতে হয়। এ ছাড়াও এখানে লাখ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটে। সব মিলিয়ে ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল। যেখানে নির্ধারিত আসনের চেয়ে তিন থেকে চারগুণ বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তাই কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের অনুমোদন এ অঞ্চলের জন্য আশীর্বাদ হয়ে থাকবে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.

নুরুল আলম বলেন, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যার হাসপাতালের পূর্ত কাজের অনুমোদন দেওয়ার কথা শুনে খুবই ভালো লাগছে। এটি শুধু কলেজের জন্য নয়, পুরো জেলাবাসীর জন্য বর্তমান সরকারের একটি বিশেষ উপহার।

২০০৮ সালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পাশে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম। এর পর দীর্ঘ আন্দোলনের পর ২০১৭ সালে ঝিলংজায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে শুরু হয় শ্রেণি কার্যক্রম। কিন্তু হাসপাতাল না থাকায় শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাস করতে ১০ কিলোমিটার দূরে জেলা সদর হাসপাতালে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কল জ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বজ্রবৃষ্টি হতে পারে দেশের বিভিন্ন এলাকায়

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ বুধবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন সৈয়দপুরে ২১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক ছিল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।

ঢাকায় সূর্যাস্ত আজ সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১৩ মিনিটে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ