যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক পেতে হলে সরাসরি প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে গেলে ‘রেসিডেনশিয়াল’ ও ‘রোম’ নামের দুটি অপশন দেখাবে।
রেসিডেনশিয়ালে ‘অর্ডার নাউ’ অপশনে গিয়ে নিজের স্থান নির্বাচন করতে হবে। তবে সরকার ‘রোম’, অর্থাৎ ভ্রাম্যমাণ সেবার অনুমোদন এখনো দেয়নি।
এরপর চেকআউট অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও টাকা পরিশোধ করতে হবে। পরে ‘প্লেস অর্ডার’ ক্লিক করতে হবে।
তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরো সেট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে। স্টারলিংক বলছে, গ্রাহক খুব সহজে নিজেই এটি সেট করতে পারবেন।
বাংলাদেশের বাজারে গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্যিক সেবা শুরু করেছে স্টারলিংক। গতকাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানানো হয়। স্টারলিংকও গতকাল এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্টারলিংকের ‘সেটআপ’ সরঞ্জামের জন্য এককালীন খরচ হবে ৪৭ হাজার টাকা। দুটি প্যাকেজ এখন পর্যন্ত চালু করেছে তারা। স্টারলিংক রেসিডেন্সের মাসিক খরচ ৬ হাজার টাকা, রেসিডেন্স লাইটের খরচ ৪ হাজার ২০০ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটা ‘ডিভাইস’ (যন্ত্র) থেকে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ মিটার পর্যন্ত ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। গ্রামে তা ৫০ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত হবে। এক ব্যক্তি কিনে বা একাধিক ব্যক্তি সমিতি আকারে কিনে তা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারবেন।
উচ্চগতির জন্য স্টারলিংক জনপ্রিয়। বলা হয়, প্রত্যন্ত বা দুর্গম অঞ্চল, যেখানে প্রথাগত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছাতে পারে না, সেখানে স্টারলিংক সহজেই সেবা দিতে পারে। স্টারলিংকে সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড) গতিতে আনলিমিটেড (সীমাহীন) ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান ও শ্রীলঙ্কায় স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। স্টারলিংকের মালিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাটজিপিটিতে থাকা গবেষণার তথ্য পিডিএফ আকারে সংরক্ষণ করা যাবে
জটিল কোনো বিষয় ধাপে ধাপে পর্যালোচনা করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গবেষণা ফলাফল তৈরি করতে পারায় চ্যাটজিপিটির ‘ডিপ রিসার্চ’ সুবিধা এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এবার ডিপ রিসার্চে নতুন অপশন যুক্ত করতে যাচ্ছে ওপেনএআই। ‘ডাউনলোড অ্যাজ পিডিএফ’ নামের অপশনটি চালু হলে ডিপ রিসার্চের তৈরি গবেষণা ফলাফল অনলাইন থেকে সরাসরি পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করা যাবে।
ডিপ রিসার্চ সুবিধা মূলত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। প্রম্পট বা নির্দেশ দেওয়া হলে এটি বিস্তৃত প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য শত শত ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট বিষয়ে পরিপূর্ণ প্রতিবেদন তৈরি করে দেয়। বর্তমানে ডিপ রিসার্চের তৈরি করা প্রতিবেদনের তথ্য কপি করে সংগ্রহ করার সুযোগ মিলে থাকে। কিন্তু এতে অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাদ পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতিবেদনের ফরম্যাট পরিবর্তন হয়ে যায়। এই সীমাবদ্ধতা দূর করতেই ডাউনলোড অ্যাজ পিডিএফ অপশন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ওপেনএআই।
বর্তমানে চ্যাটজিপিটির ওয়েব সংস্করণে পরীক্ষামূলকভাবে পিডিএফ ডাউনলোডের সুবিধা ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে এটি কবে নাগাদ সব ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ডিপ রিসার্চ রিপোর্টের নিচে থাকা কপি বাটনের পাশে নতুন এই পিডিএফ ডাউনলোড অপশন যুক্ত করা হবে।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার