সিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ১৪ জনকে কারাদণ্ড
Published: 21st, May 2025 GMT
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি-সংলগ্ন পর্যটনকেন্দ্র সাদা পাথর এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের অভিযোগে ১৪ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত ৬০টি নৌকা ধ্বংস করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করে পাথর উত্তোলনকারীদের এ সাজা দেওয়া হয়। এ নিয়ে গত ২৫ দিনের ব্যবধানে ভোলাগঞ্জে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের অভিযোগে ২৬ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকালের অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, সাদা পাথর এলাকায় অবাধে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে—এ সংবাদ পেয়ে সেখানে টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পাথরবোঝাই ৬০টি ইঞ্জিনচালিত ও বারকি নৌকা জব্দ করে সেসব ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে ১৪ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁদের দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন পিযুষ কুমার দাস, রিপন মিয়া, মুসা মিয়া, আরিফ মিয়া, মোবারক হোসেন, হজরত আলী, রাসেল মিয়া, জসিম মিয়া, সামছুল হক, শফিকুল ইসলাম, আলী হোসেন, রাজীব হোসেন, ফয়সল আহমদ ও দেলোয়ার হোসেন।
এদিকে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরে সিলেটে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এর সঙ্গে ভারতের উজান থেকে নেমে আসছে পাহাড়ি ঢল। এ সুযোগে হাজারো মানুষ ইঞ্জিনচালিত ও বারকি নৌকা নিয়ে অবাধে পাথর উত্তোলন শুরু করেছেন। ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের পাথর দেদারে লুট চলে। গতকাল সকালে পাথর লুটপাটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ফেসবুকে পাথর লুটের ভিডিওর লাইভও করেন। এরপর স্থানীয় প্রশাসন টাক্সফোর্সের অভিযান চালায়।
এর আগে ১০ মে ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি-সংলগ্ন বাংকার এলাকায় পাথর লুটের সময় ৩ জন এবং ২৬ এপ্রিল সাদা পাথর এলাকায় পাথর লুটের সময় ৯ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিতের ঘোষণায় শোকজ, পরে ক্ষমা প্রার্থনা
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্দরে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক সিবিএ নেতা হুমায়ুন কবীর।
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর অকশন শেড সংলগ্ন শ্রমিক দলের কার্যালয়ে এক কর্মীসভায় ওই সাবেক সিবিএ নেতা উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন। তবে পরে এমন বক্তব্য ভুলবশত, অনিচ্ছাকৃত এবং অজ্ঞতাবশত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করে উপদেষ্টার কাছে এক কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন হুমায়ুন কবীর।
ওই সাবেক সিবিএ নেতার এমন বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়ে গত ১ জুলাই কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তাকে এর উত্তর জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে নোটিশের জবাবে হুমায়ুন কবীর ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
মো. হুমায়ুন কবীর চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও পরিদর্শন বিভাগের সুপারিন্টেনডেন্ট অডিট হিসেবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এনসিটি বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সর্বশেষ এক কর্মসূচিতে উপদেষ্টাকে নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি।