বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর বিষয়ে তাঁর সমর্থকদের দেওয়া আল্টিমেটামে সাড়া দেয়নি সরকার। এ জন্য নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করার পাশাপাশি মৎস্য ভবন মোড় অবরোধ করেছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা।

এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইশরাক হোসেনের হাজারো সমর্থক কাকরাইল মোড়ে যমুনার প্রবেশপথের কাছাকাছি অবস্থান নেন। এর অন্তত ২০ মিনিট আগে যমুনার দিকে যাওয়ার পথ আটকে দেয় পুলিশ।

আজ বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ইশরাক হোসেনের পক্ষে চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচির সমন্বয়কারী সাবেক সচিব মশিউর রহমান।

মঙ্গলবার বিকেলে ৬ষ্ঠ দিনের অবস্থান কর্মসূচি থেকে মশিউর রহমান বলেন, আমরা বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এর মধ্যে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না আসলে আবারও সকাল ১০টায় একত্রিত হয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি করব। একই সঙ্গে ঢাকা অচলেরও হুমকি দেন তিনি।

এ সময় এই আন্দোলন এবং দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বস্তরের কর্মচারী ইউনিয়ন। তারা দাবি মেনে নেওয়া না হলে নাগরিক সেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন।

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আল্টিমেটামে সাড়া না দিলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এরই অংশ হিসেবে মৎস্য ভবন মোড় অবরোধ করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১০টার কিছু সময় পর মৎস্য ভবন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা। ঢাকাবাসীর ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন। সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান নিলে এই পথ হয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় দেখা গেছে, মৎস্য ভবন মোড় অবরোধ করার কারণে আশপাশের এলাকায় ইতিমধ্যে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সামনেও ইশরাকের পক্ষে বিক্ষোভ হচ্ছে। সেখানকার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা।

করপোরেশনের কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজও নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলছে। এ জন্য নাগরিক সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কর্মকর্তারা অঘোষিত ছুটিতে আছেন। নগর ভবনে স্থানীয় সরকার বিভাগেরও কার্যালয় রয়েছে। সেখানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়াও অফিস করতেন। গত ১৪ মে ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরুর পর স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয়ও বন্ধ রয়েছে। ওই দিন থেকে সেখানে আর যাননি উপদেষ্টা আসিফ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মৎস য ভবন ম ড় অবর ধ ইশর ক হ স ন র নগর ভবন অবস থ ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুতে এআই ব্যবহারে থাকবে শিথিলতা, তবে অপব্যবহার করা যাবে না: নির্বাচন কমিশন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহারে শিথিলতা থাকবে। তবে এর অপব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য জুলফিকার মাহমুদ।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫-এর আচরণবিধিবিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদের এক দাবির জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধির ৭–এর ঘ ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করা যাবে না। আমরা যারা ছোট সংগঠন, আমাদের তহবিল সীমিত। আমরা নির্বাচনী প্রচারের জন্য এআই ব্যবহার করে দু-এক মিনিটের ভিডিও বানিয়ে প্রচার কার্যক্রম চালাতে চাই। আমাদের দাবি, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যেন শিথিল নীতি গ্রহণ করে।’

মুরাদ আরও বলেন, বিগত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কিছু ত্রুটি লক্ষ করা গেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনকে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও বিতর্কমুক্ত রাখার জন্য যতগুলো ভোটকক্ষ থাকবে, সব কটি সিসিটিভি ফুটেজের আওতায় রাখতে হবে। সবার জন্য সেই সিসিটিভি ফুটেজ উন্মুক্ত রাখতে হবে। ভোট গ্রহণকে স্বচ্ছ রাখার জন্য ভোটকক্ষের ভেতরে জাতীয় গণমাধ্যমকে সরাসরি সম্প্রচার করার অনুমতি দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জকসুর নির্বাচন কমিশনার জুলফিকার মাহমুদ বলেন, ‘এআই ব্যবহার করে বিভিন্নজনের চরিত্র হনন করা হয়, অপপ্রচার চালানো হয়। সেদিক থেকে চিন্তা করে এআই ব্যবহার নিষিদ্ধ রেখেছিলাম। তোমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এআই ব্যবহারে শিথিলতা থাকবে প্রচার–প্রসারে, তবে অপব্যবহার করা যাবে না। আর সরাসরি সম্প্রচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আলোচনা করে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ