বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকার কাকরাইলে সড়ক অবরোধ করেছেন তার সমর্থকরা। এছাড়া, একই দাবিতে নগর ভবনের সামনেও অবস্থান করছেন তার সমর্থকরা।

বুধবার (২১ মে) বেলা ১১টার পর মৎস্য ভবন মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করা হয়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

মেয়র হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া না হলে ঢাকা অচল করার হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা। ইশরাকের পক্ষে রায় না আসলে তারা হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। 

এদিকে, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট স্থগিতের আবেদন করা একটি রিটের আদেশ আজ। 

বুধবার (২১ মে) দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি মো.

আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। আদালতের রায় দেখে নগর ভবনের সামনে থেকে কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে বলে আন্দোলনকারীরা জানান। 

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সবশেষ নির্বাচন হয়। তাতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাককে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।

এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে তার শপথ অনুষ্ঠান এখনও হয়নি। এ কারণে সমর্থকরা অবস্থান কর্মূসচি পালন করে আসছেন। এদিকে, মঙ্গলবার সাভারে এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, আইনি জটিলতা থাকায় ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো যাচ্ছে না।

ঢাকা/আসাদ/রায়হান/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইশর ক

এছাড়াও পড়ুন:

পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় বিশৃঙ্খলা করেছেন নূর: ডিএনসিসি

পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেওয়ায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ করেছে ডিএনসিসি।

বুধবার (২১ মে) ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারজানা ববি স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করা হয়েছে। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৮ মে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে ফোন করে নূর তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। প্রকৌশলী আরিফুর রহমান তখন নূরকে জানান, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ও বিধিমালার বাইরে গিয়ে কোনো নিয়োগ বা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনগত ব্যাখ্যা সত্ত্বেও নূর চাপ প্রয়োগ করে তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিতে বলেন এবং তা না মানলে নগর ভবনের দরজায় তালা লাগানোর হুমকি দেন। এর পরদিন ২০ মে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে নূরের নেতৃত্বে কিছু লোক গুলশান-২ এ ডিএনসিসির নগর ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ শুরু করে। ‘গণঅধিকার পরিষদ’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ চলাকালে ডিএনসিসি প্রশাসকের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।

ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ একে ‘সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক সেবার বিরুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

এ অভিযোগের বিষয়ে নুরুল হক নূরের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ