রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো মতামত দিতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের ওপর মন্তব্যও করতে চায় না।

ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আন্দোলনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, ইসি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভা শেষে এই নির্বাচন কমিশনার যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ভবনের প্রবেশমুখে বিক্ষোভ করছিলেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা।

ইসি পুনর্গঠনের দাবির বিষয়টি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো.

সানাউল্লাহ বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে চাই না।’

কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এনসিপি প্রশ্ন তুলেছে। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের ওপর তাঁরা মন্তব্য করতে চান না। তবে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে, করে যাবে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবির বিষয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আ সিকুয়েন্সিং অব ইলেকশন, কোনটা আগে হবে, কোনটা পরে হবে, এটা ইসির হাতে নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে হবে, পরে হবে। ইসির দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।’

বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রায়ের বিরুদ্ধে ইসি আপিল না করায় তা নিয়ে সমালোচনা চলছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ইসি নির্বাচনী সব ধরনের আইনবিধি পর্যালোচনা করেছে। তাতে দেখা গেছে, এখানে ইসির পক্ষভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া অতীতেও ইসির স্বপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের পক্ষভুক্ত হওয়ার নজির পাওয়া যায়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ন উল ল হ র জন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি

জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও ৩ কোটি টাকা পাবেন নিগাররা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ