রাজনৈতিক বক্তব্যে মন্তব্য নয়, ইসি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে: কমিশনার আবুল ফজল
Published: 21st, May 2025 GMT
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনো মতামত দিতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের ওপর মন্তব্যও করতে চায় না।
ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আন্দোলনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, ইসি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সভা শেষে এই নির্বাচন কমিশনার যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ভবনের প্রবেশমুখে বিক্ষোভ করছিলেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা।
ইসি পুনর্গঠনের দাবির বিষয়টি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো.
কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এনসিপি প্রশ্ন তুলেছে। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের ওপর তাঁরা মন্তব্য করতে চান না। তবে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে, করে যাবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবির বিষয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আ সিকুয়েন্সিং অব ইলেকশন, কোনটা আগে হবে, কোনটা পরে হবে, এটা ইসির হাতে নেই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে কোন নির্বাচন আগে হবে, পরে হবে। ইসির দায়িত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।’
বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রায়ের বিরুদ্ধে ইসি আপিল না করায় তা নিয়ে সমালোচনা চলছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ইসি নির্বাচনী সব ধরনের আইনবিধি পর্যালোচনা করেছে। তাতে দেখা গেছে, এখানে ইসির পক্ষভুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া অতীতেও ইসির স্বপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের পক্ষভুক্ত হওয়ার নজির পাওয়া যায়নি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন উল ল হ র জন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন ছেড়ে যাব না
‘মেয়র হওয়াই মূল লক্ষ্য নয়, পদ পেতে এ আন্দোলন না’ এ মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন। বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। পরে বিএনপির এই তরুণ নেতা তার সমর্থকদের সঙ্গে যমুনার সামনে সড়কে বসে পড়েন। এর আগে বুধবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরাসরি রাজপথে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একটা পদ নিয়েই তারা যা করলো, নির্বাচনে তারা কী করবে তা বোঝাই যাচ্ছে।’ অন্তর্বর্তী সরকারকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্নের আহ্বান জানান বিএনপির এ তরুণ নেতা।
ইশরাক বলেন, ‘নতুন একটি দল নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু সরকারের দু’জন উপদেষ্টা মদদ দিচ্ছেন, যেন বিএনপি নির্বাচনে আসতে না পারে, নির্বাচন করতে না পারে। এ অবস্থায় আসিফ মাহমুদকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। আরেক উপদেষ্টাকেও পদত্যাগ করতে হবে।’
এ উপদেষ্টাদের পদত্যাগ করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা পদত্যাগ করে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করুক। এই সরকারের মধ্যে কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না।’
তিনি বলেন, কোনোদিনও শপথ নেওয়ার উদ্দেশ্য আমার ছিল না। আমার প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে, রায় পেয়েও আমি বসতে পারিনি। তাই এটা কোনো একজনের পদের আন্দোলন নয়, জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন।
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন ছেড়ে কেউ যাব না।’
নির্বাচন কমিশনকে জিম্মি করা হচ্ছে উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, এটার রায় মেনে নিতে হবে।
ইশরাকের মতে, নির্বাচন কমিশনকে জিম্মি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে কি এই ইসি নিরপেক্ষতা রাখতে পারবে? আমরা আরেকটা স্বৈরাচারের জন্ম এই বাংলার মাটিতে হতে দেব না।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি হয়, তবে যেকোনো সময় শেখ হাসিনার পরিণতির মতো উচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।’