কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজে একটি ৫০০ শয্যার হাসপাতালের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি। কলেজ প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালটির চূড়ান্ত অনুমোদন হয়। এতে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি খুশি কক্সবাজারের বাসিন্দারা।

৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের দাবিতে পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও কলেজটির শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি শেষে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপিও পাঠানো হয়।

ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন কক্সবাজারের সভাপতি মো.

আলী হিশাম বলেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এত দিন কলেজ থেকে আট কিলোমিটার দূরে শহরের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে ক্লিনিক্যাল ক্লাস করে আসছেন। তা ছাড়া ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের ওপর জেলার ২৮ লাখ মানুষ নির্ভরশীল। আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গারাও হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নেন। ৫০০ শয্যার হাসপাতালটি বাস্তবায়ন হলে সদর হাসপাতালের ওপর রোগীদের চাপ কমবে এবং কক্সবাজারবাসীর দুর্ভোগেরও লাঘব হবে।

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ। কলেজটির অধ্যক্ষ সোহেল বক্স প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলার মানুষ খুবই উচ্ছ্বসিত। আমরা দ্রুত হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শুরু করতে চাই।’

কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে ৫০০ শয্যার হাসপাতালটি নির্মিত হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত নার্স ও অন্যান্য পদের সৃষ্টি হবে। হাসপাতালকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসন–সুবিধাও বাড়বে। মানুষও স্বল্প খরচে মানসম্মত চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।

কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী–বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় হাসপাতালের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার খবরে জেলার সর্বস্তরের মানুষ উচ্ছ্বসিত। কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কয়েক লাখ রোহিঙ্গা ও পর্যটকেরাও স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ কল জ র শ ক ষ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

২ কেজির ইলিশ বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়

সারাদেশে ইলিশের দাম নিয়ে যখন হইচই তখন জেলেরা ভুগছেন ইলিশ সংকটে আর ক্রেতারা হতাশ দাম নিয়ে। এ অবস্থায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জামাল মাতুব্বর নামের এক জেলের জালে ধরা পড়লো ২ কেজির এক ইলিশ যা বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়। 

রোববার বিকেলে উপজেলার আশাখালী মাছ বাজারে ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটিকে ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন জেলে। মাছটি কেনেন বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম।

জেলে জামাল মাতুব্বর বলেন, গত কালকে সমুদ্রে মাছ ধরতে নেমে আজকে আবহাওয়া খারাপ হওয়া তীরে চলে এসেছি৷ ইলিশ মাছ কম তবে একটি ইলিশ আমি ৭ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেছি। যে কারণে কম মাছ পেলেও খুব ভালো লাগছে। এর চেয়েও বড় ইলিশ সমুদ্রে পাওয়া যায় তবে এখন দাম অনেক হওয়ায় যা দাম এসেছে তাতে পুষিয়ে যায় আমাদের।

বন্ধন ফিসের মালিক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, গত ১১ জুন ৬০ দিনের অবরোধ শেষ হওয়ার পর কয়েকবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় জেলেরা ঠিকমতো মাছ ধরতে পারছেন না। তবে আজকে জেলে জামাল একটি মাছ প্রায় ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। এটা তার জন্য অনেক আনন্দের। মাছটি আমি কিনে ঢাকায় পাঠিয়েছি।

উপজেলার বেশ কয়েকটি মাছের বাজারে কথা বলে জানা যায়, ইলিশ সংকট হওয়ায় তার দাম আকাশচুম্বী। আজকে এক কেজির উপরের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে এক লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৯৫ থেকে ৯৮ হাজার টাকায়, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ ৭০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকায়, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৬৫ থেকে ৬৮ হাজার টাকায়, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। 

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ৬০ দিনের অবরোধ সঠিকভাবে পালন হওয়ায় সাগরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা ঠিকমত মাছ ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন। তবে আবহাওয়া ঠিক হলে মাছের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে আর দামও নাগালে চলে আসবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ