র্যাবকে নতুন উদ্যমে কাজ করার কথা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 21st, May 2025 GMT
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী অতীত ভুলে র্যাব সদস্যদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তরে বাহিনীটির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, র্যাবকে আইন মেনে ও মানবাধিকার সমুন্নত রেখে কাজ করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুশাসন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার র্যাবের কার্যক্রম পুনর্মূল্যায়ন, সংস্কার এবং পুনর্গঠনে কাজ করছে। আশা করি, জনগণ শিগগিরই এর সুফল ভোগ করবে।’
র্যাবকে যখন থেকেই রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে, বিশেষ করে প্রতিপক্ষকে দমন ও নিপীড়নের স্বার্থে ব্যবহার করা শুরু হয়, তখন থেকে বাহিনীটির বিরুদ্ধে গুম, খুনসহ বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে, যা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, র্যাবকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান। এতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে র্যাবের কার্যক্রম সম্পর্কে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
এক লাখ হেক্টর নতুন বনায়ন হয়েছে, বাড়ছেজীববৈচিত্র্য
এখন পর্যন্ত এক লাখ তিন হাজার ৯৬০ হেক্টর বনভূমি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এতে পাহাড়, শালবন ও উপকূলীয় অঞ্চলে দেশীয় উদ্ভিদের বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের টেকসই বন ও জীবিকা (এসইউএফএলএল) প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহায়তা মিশনের সমাপনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা বলেন, এসইউএফএলএল প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে বন পুনরুদ্ধার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বননির্ভর জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। বন অধিদপ্তরে ড্যাশবোর্ড ব্যবহার করে সাইট-সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা টুল সফলভাবে চালু করা হয়েছে, যা তথ্যভিত্তিক বন পরিকল্পনাকে ত্বরান্বিত করছে।
এক হাজার প্রজাতির উদ্ভিদের লাল তালিকা মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পাঁচটি সংরক্ষিত অঞ্চলে আক্রমণাত্মক বিদেশি উদ্ভিদ প্রজাতির ব্যবস্থাপনার কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শিল্প খাতে ভূগর্ভস্থ পানি বিনামূল্যে উত্তোলনের প্রথা বন্ধে সরকার চূড়ান্ত নীতিমালা প্রণয়নের পথে এগোচ্ছে। বর্তমানে করপোরেট সেক্টর ভূগর্ভস্থ পানিকে একটি ফ্রি রিসোর্স হিসেবে ব্যবহার করছে, যা পরিবেশ ও পানি নিরাপত্তার জন্য হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তনের এই যুগে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন আর চলতে পারে না।