ঢাকায় হামজা-শমিতদের খেলা দেখতে কত টাকা লাগবে
Published: 21st, May 2025 GMT
আগামী ১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। যে ম্যাচ দিয়ে ঘরের মাঠে অভিষেক হবে হামজা চৌধুরী ও শমিত শোমের। আর তাঁদের খেলা দেখতে হলে একজন দর্শককে কমপক্ষে ৪০০ টাক খরচ করতে হবে। টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য ৫ হাজার টাকা।
টিকিটের বিষয়টি দেখভাল করা বাফুফের কম্পিটিশনস কমিটি আজ সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্যই জানিয়েছে।
আগামী শনিবার থেকে অনলাইনে মিলবে সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট। এ বিষয়ে কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস বলেন, ‘২৪ মে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে টিকিফাই ডট লাইভ ওয়েবসাইট (https://tickify.
আর টিকিফাইয়ের কর্মকর্তা ইফতেখার ইফতি টিকিট সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের ওয়েবসাইটে ম্যাচ সম্পর্কিত একটা লিংক থাকবে, সেই লিংকে গিয়ে নাম, মোবাইল ও ইমেইল দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট গ্যালারি ও সিট সিলেক্ট করে পেমেন্ট দিতে হবে। টিকিটের মূল্য ব্যাংক কিংবা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে দিতে পারবেন। পেমেন্ট প্রক্রিয়া শেষ হলে ইমেইলে টিকিটের কপি চলে যাবে।’
সব মিলিয়ে ৯টি ক্যাটাগরির ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট বিক্রি করবে বাফুফে। যার মধ্যে সর্বনিম্ন দাম ধরা হয়েছে সাধারণ গ্যালারি ৪০০ টাকা। আর হসপিটালিটি বক্স, করপোরেট বক্সের প্রতি টিকিটের দাম ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করে। এর বাইরে ভিআইপি-১ বক্সের টিকিটের দাম ৪ হাজার টাকা, ভিআইপি-২ ও ভিআইপি-৩ বক্সের টিকিটের দাম দুই হাজার ৫০০ টাকা। স্কাই ভিউয়ের টিকিটের দাম ৩ হাজার টাকা। ক্লাব হাউজ-১ এর টিকিটের দাম দুই হাজার ৫০০ ও ক্লাব হাউজ-২ এর দাম ২ হাজার টাকা।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। যে ম্যাচ দিয়ে বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ড শুরু করেছিলেন তপু-রাকিবরা। আর নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে সিঙ্গাপুরও। সে জন্য ‘সি’ গ্রুপে থাকা চার দলেরই পয়েন্ট সমান ১ করে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চবিতে ৬ ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, একজনের স্থায়ী বহিষ্কার বহাল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত ১০ ছাত্রীকে বহিষ্কারের ঘটনায় সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর তিন ছাত্রীর বহিষ্কারের মেয়াদ দুই বছর থেকে কমিয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। বাকি এক ছাত্রীর স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে। তিন মাস পর সিদ্ধান্তে পরিবর্তন ও তিন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখার কারণে সমালোচনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন। ছয় মাস বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকা ছাত্রীদের দু’জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স আর একজন মার্কেটিং বিভাগের ছাত্রী। আর স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকা ছাত্রী আইন বিভাগের।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন সমকালকে বলেন, বিজয় ২৪ হলের (পূর্ব নাম জননেত্রী শেখ হাসিনা হল) ঘটনায় যে ১০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, সে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষককে শারীরিক লাঞ্ছনা করা এক ছাত্রীর স্থায়ী বহিষ্কারের আদেশ বহাল থাকছে। ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকি তিনজনের বহিষ্কারাদেশ কমিয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। এই বহিষ্কারের আদেশ ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীদের আবাসিক বিজয় ২৪ হলের সামনে রাখা নৌকা আকৃতির বসার স্থান ভাঙচুর করতে যাওয়া কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিতণ্ডা হয় আবাসিক ছাত্রীদের। এ সময় সহকারী প্রক্টরকে শারীরিক লাঞ্ছনা এবং ও ধর্ম অবমাননার কারণে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ১২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১১ জনই ছাত্রী। এর মধ্যে ১০ জন ছাত্রীকে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতের ঘটনায় বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই বহিষ্কারের ঘটনায় সারাদেশে বিভিন্ন পক্ষের সমালোচনার মুখে ওই ১০ শিক্ষার্থীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীর সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে আজ সিদ্ধান্তে আবারও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় ছাত্রীদের অভিযোগ, তারা নৌকা ভাঙার বিপক্ষে ছিলেন না। বরং প্রশাসন যেন এটি ভাঙে, সে দাবি করেছিলেন। এ জন্য তারা আগেই প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তবে প্রশাসন সেটি ভাঙেনি। উল্টো মধ্যরাতে একদল শিক্ষার্থী সেটি ভাঙতে গিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছে। এসব ঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল বডিকে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন রাতে উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে প্রতিবাদ জানাতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ড. মোহাম্মদ কুরবান আলির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে সহকারী প্রক্টর কোরবান আলীকে শারীরিক লাঞ্ছনা করতে দেখা যায় এক ছাত্রীকে। এ ছাড়া কয়েকটি ভিডিওতে প্রক্টরিয়াল বডির একাধিক সদস্যকে ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
এর মধ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ওই ছাত্রীদের বহিষ্কার করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রক্টর উসকানিমূলক বার্তা দিয়েছেন কিছু শিক্ষার্থীকে। ছড়িয়ে পড়া এসব স্ক্রিনশটে ছিল সহকারী প্রক্টর কোরবান আলী ও নুরুল হামিদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর কথোপকথন।
ফেসবুকের মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তায় দেখা যায়, এই দুই প্রক্টর ওই ১০ ছাত্রীকে বহিষ্কারের জন্য ‘প্রশাসনকে চাপ দিতে’ বলেন।