আগামী ১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। যে ম্যাচ দিয়ে ঘরের মাঠে অভিষেক হবে হামজা চৌধুরী ও শমিত শোমের। আর তাঁদের খেলা দেখতে হলে একজন দর্শককে কমপক্ষে ৪০০ টাক খরচ করতে হবে। টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য ৫ হাজার টাকা।

টিকিটের বিষয়টি দেখভাল করা বাফুফের কম্পিটিশনস কমিটি আজ সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্যই জানিয়েছে।

আগামী শনিবার থেকে অনলাইনে মিলবে সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট। এ বিষয়ে কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস বলেন, ‘২৪ মে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে টিকিফাই ডট লাইভ ওয়েবসাইট (https://tickify.

live/) থেকে দর্শকেরা টিকিট কিনতে পারবেন।’

আর টিকিফাইয়ের কর্মকর্তা ইফতেখার ইফতি টিকিট সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের ওয়েবসাইটে ম্যাচ সম্পর্কিত একটা লিংক থাকবে, সেই লিংকে গিয়ে নাম, মোবাইল ও ইমেইল দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট গ্যালারি ও সিট সিলেক্ট করে পেমেন্ট দিতে হবে। টিকিটের মূল্য ব্যাংক কিংবা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে দিতে পারবেন। পেমেন্ট প্রক্রিয়া শেষ হলে ইমেইলে টিকিটের কপি চলে যাবে।’

সব মিলিয়ে ৯টি ক্যাটাগরির ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট বিক্রি করবে বাফুফে। যার মধ্যে সর্বনিম্ন দাম ধরা হয়েছে সাধারণ গ্যালারি ৪০০ টাকা। আর হসপিটালিটি বক্স, করপোরেট বক্সের প্রতি টিকিটের দাম ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা করে। এর বাইরে ভিআইপি-১ বক্সের টিকিটের দাম ৪ হাজার টাকা, ভিআইপি-২ ও ভিআইপি-৩ বক্সের টিকিটের দাম দুই হাজার ৫০০ টাকা। স্কাই ভিউয়ের টিকিটের দাম ৩ হাজার টাকা। ক্লাব হাউজ-১ এর টিকিটের দাম দুই হাজার ৫০০ ও ক্লাব হাউজ-২ এর দাম ২ হাজার টাকা।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। যে ম্যাচ দিয়ে বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ড শুরু করেছিলেন তপু-রাকিবরা। আর নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে সিঙ্গাপুরও। সে জন্য ‘সি’ গ্রুপে থাকা চার দলেরই পয়েন্ট সমান ১ করে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিতের ঘোষণায় শোকজ, পরে ক্ষমা প্রার্থনা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্দরে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক সিবিএ নেতা হুমায়ুন কবীর। 

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর অকশন শেড সংলগ্ন শ্রমিক দলের কার্যালয়ে এক কর্মীসভায় ওই সাবেক সিবিএ নেতা উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন। তবে পরে এমন বক্তব্য ভুলবশত, অনিচ্ছাকৃত এবং অজ্ঞতাবশত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করে উপদেষ্টার কাছে এক কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন হুমায়ুন কবীর। 

ওই সাবেক সিবিএ নেতার এমন বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়ে গত ১ জুলাই  কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তাকে এর উত্তর জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে নোটিশের জবাবে হুমায়ুন কবীর ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

মো. হুমায়ুন কবীর চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও পরিদর্শন বিভাগের সুপারিন্টেনডেন্ট অডিট হিসেবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এনসিটি বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সর্বশেষ এক কর্মসূচিতে উপদেষ্টাকে নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ