‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ‘আউটকাম-বেসড এডুকেশন: এ প্যাথওয়ে টু অ্যাক্রিডিটেশন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎বুধবার (২১ মে) সকালে একাডেমিক ভবন-২ এর ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) এ কর্মশালার আয়োজন করে। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত আউটকাম বেসড এডুকেশন বিষয়ক কর্মশালার প্রথম দিনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক মো.

তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শওকাত আলী।

আরো পড়ুন:

কুবির ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আল্টিমেটাম

রাবিতে বিভিন্ন পদে বহাল আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা

রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবিএম রহমতুল্লাহ।

অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, আইকিউএসি অতিরিক্ত পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ ও মো. আব্দুর রকিব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “সময়ের সঙ্গে বাড়ছে যুগোপযোগী শিক্ষার গুরুত্ব। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করা এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখবে আউটকাম বেসড এডুকেশন। আউটকাম বেসড এডুকেশন একটি রীতিবদ্ধ ধারা।”

তিনি আরো বলেন, “এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য গুণগত পাঠদান, নিত্য নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, ব্যবহারিক দক্ষতা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, বিচক্ষণতা ইত্যাদি নিশ্চিত করা যায়। বর্তমান ও ভবিষ্যত শিক্ষার্থীদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এই কারিকুলাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ