আইটেল আনলো সিটি সিরিজের প্রথম স্মার্টফোন, থাকছে ডিপসিক এআই
Published: 21st, May 2025 GMT
নির্ভরযোগ্য স্মার্ট লাইফ ব্র্যান্ড আইটেল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করলো তাদের নতুন সিটি সিরিজের প্রথম স্মার্টফোন CITY 100। ১১,৯৯০ টাকার মূল্যে বাজারে আসা এই স্মার্টফোনটি নতুন প্রজন্মের জন্য তৈরি। অত্যাধুনিক AI প্রযুক্তি, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স- সব মিলিয়ে CITY 100 তরুণদের জন্য দিচ্ছে স্টাইল, স্মার্টনেস ও স্পিডের এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
‘Super Fun, Super Strong’ এই স্লোগান ধারণ করে আসা CITY 100 কেবল একটি ডিভাইস নয়, এটি তরুণদের ডিজিটাল স্টাইল স্টেটমেন্ট। ৭.
আইটেল CITY 100 ফোনটি রাফ ইউজারদের কথা মাথায় রেখে তৈরি। এটি IP64 রেটেড ধুলো ও পানি প্রতিরোধী। ফোনটি ১.৫ মিটার উচ্চতা থেকে ২৫,০০০ মাইক্রো-ড্রপ টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং থাকছে ৬০ মাসের ফ্লুয়েন্সি গ্যারান্টি। এছাড়া লিমিটেড স্টক হিসেবে ফ্রি ম্যাগনেটিক স্পিকার এবং ম্যাগনেটিক ব্যাক কভার পাওয়া যাবে।
৫২০০mAh ব্যাটারির সঙ্গে ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা এবং ৪ বছরের ব্যাটারি হেলথ গ্যারান্টি থাকছে CITY 100-এ, যা নিশ্চিত করে দিনভর ব্যবহার ও দীর্ঘমেয়াদি নির্ভরযোগ্যতা।
CITY 100-এর সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো এটি আইটেলের প্রথম স্মার্টফোন যেখানে রয়েছে DeepSeek R1 AI মডেল। এই প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের দিচ্ছে টেক্সট থেকে ওয়ালপেপার তৈরি, পছন্দের ছবিকে স্টাইলাইজ, ইনস্ট্যান্ট অনুবাদ, ইমেজ-টু-টেক্সট, AI ভয়েস স্ন্যাপ, AI লেখালেখি, কল নয়েজ রিডাকশন এবং এক ক্লিকে অনলাইন খোঁজসহ নানা স্মার্ট ফিচার।
তরুণরা এখন আইটেলের স্মার্টফোনের মাধ্যমে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। প্রযুক্তি কেবল ব্যবহারযোগ্য উপকরণ নয়, তাদের জীবনযাত্রার অপরিহার্য অংশে পরিণত হচ্ছে। আইটেল স্মার্টফোন স্মার্ট লাইফস্টাইলকে সহজ, সাশ্রয়ী এবং সবার জন্য গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইট ল
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্প কীভাবে ‘ম্যাডম্যান তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্ব বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে গত মাসে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইরানে হামলায় তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন কি না। জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এটা করতে পারি। আবার আমি না-ও করতে পারি। আমি কী করতে যাচ্ছি, তা কেউই জানে না।’
ট্রাম্প বিশ্বকে এমনটা বিশ্বাস করতে দিয়েছিলেন যে ইরানকে আলোচনা শুরুর সুযোগ দিতে দুই সপ্তাহ হামলা স্থগিত রাখার বিষয়ে তিনি সম্মত হয়েছেন। কিন্তু পরে এ সময়ের মধ্যেই তিনি হামলা চালিয়ে বসেন।
এ ঘটনায় একটি প্রবণতা সামনে এসেছে, ট্রাম্পের সম্পর্কে সবচেয়ে অনুমেয় বিষয়টি হলো তাঁর অননুমেয় আচরণ। তিনি তাঁর চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করেন। তিনি স্ববিরোধী কাজ করেন। তাঁর কথা আর কাজে মিল নেই।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক পিটার ট্রুবোউইৎজ বলেন, ‘(ট্রাম্প) একটি অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়া তৈরি করেছেন, অন্তত পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে। সম্ভবত (প্রেসিডেন্ট) রিচার্ড নিক্সনের পর থেকে এটিই সবচেয়ে কেন্দ্রীভূত।’ তিনি বলেন, ‘এটি নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলোকে ট্রাম্পের আচরণ, তাঁর পছন্দ ও মেজাজ-মর্জির ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল করে তুলেছে।’
ট্রাম্প তাঁর এই বৈশিষ্ট্যকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে আসছেন। তিনি তাঁর নিজের অননুমেয় আচরণকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ও রাজনৈতিক সম্পদে পরিণত করেছেন। তিনি এই অননুমেয় আচরণকে একটি মতবাদ বা নীতির পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আর এখন যে ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য তিনি হোয়াইট হাউসে নিয়ে এসেছেন, সেটিই পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। এটি বিশ্বব্যবস্থার বিদ্যমান কাঠামো পাল্টে দিচ্ছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এটিকে ‘ম্যাডম্যান থিওরি’ বা ‘খ্যাপাটে তত্ত্ব’ বলে থাকেন। এই তত্ত্বে একজন বিশ্বনেতা তাঁর প্রতিপক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি নিজের মেজাজ-মর্জিমতো যেকোনো কিছু করতে সক্ষম, যাতে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা যায়। সফলভাবে ব্যবহার করা হলে এটি একধরনের জবরদস্তি বা চাপ প্রয়োগের কৌশল হতে পারে। ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, এটি সুফল দিচ্ছে এবং এর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের তাঁর পছন্দমতো অবস্থানে নিয়ে আসতে পারছেন।
কিন্তু এটি কি এমন পদ্ধতি, যা শত্রুদের বিরুদ্ধেও কাজে দেবে? আর এর ত্রুটি কি এমনটি হতে পারে যে এটি প্রতিপক্ষকে বোকা বানানোর জন্য তৈরি করা একটি কৌশল না হয়ে বরং সুপ্রতিষ্ঠিত ও সুস্পষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে গঠিত, যার ফলে তাঁর আচরণ আরও সহজে অনুমানযোগ্য হয়ে ওঠে?
কথার আক্রমণ, অপমান ও কাছে টানা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কাছে টেনে আর আমেরিকার মিত্রদের কথার আক্রমণের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করেন। তিনি কানাডাকে অপমান করে বলেছিলেন, দেশটির যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাওয়া উচিত।
ট্রাম্প বলেছিলেন, গ্রিনল্যান্ডকে (আমেরিকার মিত্র ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগের কথা বিবেচনা করতে তিনি প্রস্তুত। তিনি আরও বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত পুনরায় পানামা খালের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।
সামরিক জোট ন্যাটো সনদের ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রতিটি সদস্যদেশ অন্য দেশকে রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের এ অঙ্গীকারকে সংশয়ের মধ্যে ফেলে দেন। যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, ‘আমি মনে করি, (ন্যাটো সনদের) ৫ অনুচ্ছেদ লাইফ সাপোর্টে আছে।’
ন্যাটো সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (প্রথম সারিতে বাঁ থেকে চতুর্থ) ও বিশ্বনেতারা