সিলেটের পাথরকোয়ারিতে আবারও অভিযান, এবার ৫ জনকে কারাদণ্ড
Published: 22nd, May 2025 GMT
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি-সংলগ্ন সংরক্ষিত বাংকার এলাকায় অবৈধভাবে পাথর তোলার অভিযোগে পাঁচজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত ৩১টি নৌকা ধ্বংস ও ১টি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে টাক্সফোর্সের অভিযান পরিচালনা করে পাথর উত্তোলনকারীদের এ সাজা দেওয়া হয়। এ নিয়ে গত ২৬ দিনের ব্যবধানে ভোলাগঞ্জে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের অভিযোগে ৩১ জনকে দণ্ড দেওয়া হলো। এর মধ্যে ২৬ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকালের অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো.
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি এবং এর সংলগ্ন সংরক্ষিত বাংকার এলাকা ও সাদাপাথর এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে অভিযান চালিয়ে পাথরবোঝাই ৩১টি নৌকা ধ্বংস করা হয়। এ সময় পাথর পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি ট্রাক্টরও জব্দ করা হয়।
অভিযানে পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার ফাটাবগা গ্রামের জসিম উদ্দিন, উজান আজিবপুর গ্রামের তোফাজ্জল ও পর্যাকান্দা গ্রামের আবেদ আলী এবং সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ঢালারপাড় গ্রামের ছালিক মিয়া ও বটেরতল গ্রামের ইরন মিয়া।
আরও পড়ুনসিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ১৪ জনকে কারাদণ্ড২১ মে ২০২৫সহকারী কমিশনার মো. পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি ও এর আশপাশের এলাকা থেকে দেদারে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন চলছে। দিনরাত সমানতালে হাজারো শ্রমিক বারকি ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে পাথর উত্তোলন করছেন। স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালালেও তা থামছে না। অভিযান শেষ হলেই শ্রমিকেরা আবার পাথর উত্তোলন শুরু করেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র এল ক
এছাড়াও পড়ুন:
ধানক্ষেত দখলে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা, আহত ২০
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় একটি পরিবারের পাকা ধানসহ কৃষিজমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার উপজেলার চরচারিয়া গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন ও তাঁর ভাইদের সাত একরের বেশি জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে নেয় বলে তারা জানিয়েছেন। এতে বাধা দিলে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে শরিফ উদ্দিন, নওশী পারভীন, শারমিন, শাহিদা বেগম, মোস্তফা, কাউছার, সাইফুল, হাফিজুর ও সবুজের নাম জানা গেছে। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কৃষক জামাল উদ্দিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সাত একর ২৩ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ভোগদখল করে আসছেন। গ্রামের প্রভাবশালী বাক্কার আলী ও তার সহযোগীরা একটি মামলার সূত্রে এ জমি দখলের চেষ্টা করছিলেন। সোমবার ভোরে শতাধিক লোক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গিয়ে জমির পাকা ধান কেটে নেন। সেখানে অস্থায়ী টিনের চালা ঘর নির্মাণ করেন তারা।
জামাল উদ্দিন বলেন, জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এটি নিষ্পত্তির আগেই প্রতিপক্ষ বেআইনিভাবে জমিতে প্রবেশ করে ঘর তুলতে গেলে তারা বাধা দেন। তখন তারা হামলা চালালে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
ভুক্তভোগী কৃষকের ভাষ্য, সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও জমিটি দখলমুক্ত হয়নি। এ ঘটনায় তাঁর ভাই শহিদুর রহমান বাদী হয়ে ইসলামপুর থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে হামলায় অভিযুক্তদের অনেকে গ্রেপ্তার ও পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
ইসলামপুর থানার ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, জমি দখলচেষ্টা ও সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।