সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি-সংলগ্ন সংরক্ষিত বাংকার এলাকায় অবৈধভাবে পাথর তোলার অভিযোগে পাঁচজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত ৩১টি নৌকা ধ্বংস ও ১টি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে টাক্সফোর্সের অভিযান পরিচালনা করে পাথর উত্তোলনকারীদের এ সাজা দেওয়া হয়। এ নিয়ে গত ২৬ দিনের ব্যবধানে ভোলাগঞ্জে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের অভিযোগে ৩১ জনকে দণ্ড দেওয়া হলো। এর মধ্যে ২৬ জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকালের অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো.

পারভেজ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি এবং এর সংলগ্ন সংরক্ষিত বাংকার এলাকা ও সাদাপাথর এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে অভিযান চালিয়ে পাথরবোঝাই ৩১টি নৌকা ধ্বংস করা হয়। এ সময় পাথর পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি ট্রাক্টরও জব্দ করা হয়।

অভিযানে পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার ফাটাবগা গ্রামের জসিম উদ্দিন, উজান আজিবপুর গ্রামের তোফাজ্জল ও পর্যাকান্দা গ্রামের আবেদ আলী এবং সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ঢালারপাড় গ্রামের ছালিক মিয়া ও বটেরতল গ্রামের ইরন মিয়া।

আরও পড়ুনসিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় ১৪ জনকে কারাদণ্ড২১ মে ২০২৫

সহকারী কমিশনার মো. পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি ও এর আশপাশের এলাকা থেকে দেদারে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন চলছে। দিনরাত সমানতালে হাজারো শ্রমিক বারকি ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে পাথর উত্তোলন করছেন। স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালালেও তা থামছে না। অভিযান শেষ হলেই শ্রমিকেরা আবার পাথর উত্তোলন শুরু করেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র এল ক

এছাড়াও পড়ুন:

মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান যে পাঁচজনকে নিয়ে কথা বলেছেন, তাঁরা দেশে আসেননি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের ‘জঙ্গি ট্যাগ’ দেওয়া ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশে যে তিনজনকে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের কেউ জঙ্গি না। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রেস রিলিজও দিয়েছিল। মূলত ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রপ্তানি কার্গো ভিলেজ ও সেখানে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের হিমাগার পরিদর্শন করেছেন। পরে সেখানে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, ‘মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান যে পাঁচজনকে নিয়ে কথা বলেছে—সেই পাঁচজন দেশে আসেনি। তাদের সঙ্গে আমাদের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা তদন্ত করে দেখব। তবে বাংলাদেশে এদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মিডিয়া ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’

গত ১০ মাসে আপনারা জঙ্গিবাদের কোনো তথ্য দিতে পেরেছেন—এমন প্রশ্ন তুলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যখন ছিল, তখন দিয়েছেন। এখন নেই, তাই দিতে পারেন না। বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই।’

রপ্তানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এখান থেকে শাকসবজি, ফলমূল প্রভৃতি বিদেশে রপ্তানি করা হয়। রপ্তানি প্রক্রিয়া দেখার জন্যই তিনি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে আমাদের ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানি করতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। সে সময় আমাদের ব্যবসায়ীদের অনেকেই কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন।’ উপদেষ্টা এ সময় বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেশের রপ্তানির পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে, সেহেতু এখানে যে কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে, সেটিকে আরও বড় করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বীকারোক্তি দেওয়া থেকে পিছিয়ে গেলেন ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’
  • মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান যে পাঁচজনকে নিয়ে কথা বলেছেন, তাঁরা দেশে আসেননি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা