রাজধানী ঢাকায় আজ বৃহস্পতিবার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। একাধিক স্থানের এই কর্মসূচিতে যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা গতকাল বুধবার রাতভর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়ে বিএনপির নেতা-নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি চলবে।

কর্মসূচির কারণে কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়, মৎস্য ভবনসংলগ্ন মোড়সহ সংশ্লিষ্ট সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ভোগান্তি পোহাচ্ছেন লোকজন।

একই দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সামনে আজও ইশরাকের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচি হওয়ার কথা। কর্মসূচির কারণে গতকালও নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলছিল। এতে নাগরিক সেবা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ ছাড়া নগর ভবনের সামনের সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। আজও তা হওয়ার আশঙ্কা আছে।

আজ সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল। ছাত্রদলের এই কর্মসূচি হবে সংগঠনটির নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ ন র স মন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে টিসিবির পণ্যের দাম, হতাশ নিম্নআয়ের মানুষ

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও ট্রাকে করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত।

টিসিবির ট্রাক থেকে বিক্রি করা হচ্ছে—চিনি, সয়াবিন তেল ও ডাল। এবার প্রতিটি পণ্যের দামই আগের তুলনায় বেড়েছে। এতে হতাশ হয়েছেন নিম্নআয়ের মানুষরা।

টিসিবি দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতবার চিনি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৭০ টাকায়, এবার সেটি দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকায়। মসুরের ডালের দাম ছিল ৬০ টাকা, এবার বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা লিটার দরে, আগে তা ছিল ১০০ টাকা।

মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের মধ্যে দেখা গেছে ক্ষোভ ও হতাশা। অনেকেই বলছেন, বাজারমূল্যের সঙ্গে টিসিবির পণ্যের দামের ব্যবধান খুব একটা না থাকলে এ পণ্য আর নিম্নআয়ের মানুষের কোনো উপকারে আসবে না।

বৃহস্পতিবার রাজশাহীর হজরত শাহ মখদুম (রহ.) মাজার গেট এলাকায় টিসিবির পণ্য কিনতে আসা মালেকা খাতুন বলেন, “আগে টিসিবির মালামাল কম দামে পেতাম। এখন এসে দেখি, সবকিছুর দাম বেশি। এতে আমাদের মতো গরিব মানুষের কষ্টই বাড়বে। বাজার আর টিসিবির মধ্যে এখন তো তেমন পার্থক্য নেই। হঠাৎ এভাবে দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি।”

আরেক ক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, “সরকার তো আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করছে না। টিসিবির মাল বিক্রির উদ্দেশ্যই হচ্ছে সাধারণ মানুষকে একটু স্বস্তি দেওয়া। তাহলে এই দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা কোথায়? আমরা এটা আশা করিনি।”

টিসিবির রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান বলেছেন, “বাজারে সব পণ্যের দামই বেড়েছে। তাই, আগের দামে পণ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে, তারপরও প্রচণ্ড ভিড়। আমরা সবাইকে ধৈর্য্য ধরে পণ্য নিতে বলছি।”

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ১০টি পয়েন্টে প্রতিদিন (শুক্রবার ও শনিবারসহ) এই ট্রাকসেল চলবে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত। প্রতিটি পয়েন্ট থেকে ৪০ জন করে মোট ৪ হাজার পরিবার ৫১৫ টাকার প্যাকেজে টিসিবির পণ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। ঈদ উপলক্ষে এ বিশেষ ট্রাকসেলের পাশাপাশি প্রতি মাসে টিসিবি কার্ডধারীদের মাঝেও নিয়মিতভাবে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ