গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মাদক মামলার আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম (৫০) ও থানার বিশেষ আনসার সদস্য মনিরুজ্জামান (৪৬) আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে কাপাসিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেন সিদ্দিকী বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। এর আগে, বুধবার রাতে উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত এসআই মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘মাদক মামলার এজহারভূক্ত আসামি আল-আমিনকে ধরতে সৈয়দপুর গ্রামে গেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় আমার ও এক আনসার সদস্যের মাথা ফেটে গেছে।’’

আরো পড়ুন:

আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক এমপি শম্ভুর ওপর ডিম নিক্ষেপ

টাঙ্গাইলে হাসিনার নামে মামলা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তুলে নেওয়ার আবেদন

কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, ‘‘আহতাবস্থায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক ও আনসার সদস্যকে হাসপাতালে আনা হলে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের মাথায় ৮টি সেলাই লেগেছে।’’

কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘‘এজাহারভুক্ত আসামিকে ধরতে গেলে আসামি ও তার সহযোগী লোকজনের হামলায় এক এসআই এবং আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।’’

ঢাকা/রফিক/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আনস র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৬৪ নেতা-কর্মীকে দুই মামলা থেকে অব্যাহতি

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় করা দুটি পৃথক মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদসহ ৬৪ জন নেতা-কর্মী। আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম সামছুন্নার এ আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বাবর জহির উদ্দিন ব্যাপারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত করতে না পারায় সব আসামিকে দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেন বিচারক।

অব্যাহতি পাওয়া উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্যাহ সেলিম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান আকাশ ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০–দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ রাতে চাঁদপুর-হাইমচর আঞ্চলিক সড়কে ট্রাকে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা হয়। এ মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয়ে ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুল হক।

অন্যদিকে ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের বকুলতলা রোড–সংলগ্ন রেললাইন এলাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ও উসকানিমূলক স্লোগানের অভিযোগ এনে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রামপুরার খাল থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার
  • গাজীপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় আহত পুলিশ ও আনসার সদস্য
  • চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৬৪ নেতা-কর্মীকে দুই মামলা থেকে অব্যাহতি