কাপাসিয়ায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা
Published: 22nd, May 2025 GMT
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মাদক মামলার আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম (৫০) ও থানার বিশেষ আনসার সদস্য মনিরুজ্জামান (৪৬) আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে কাপাসিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেন সিদ্দিকী বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। এর আগে, বুধবার রাতে উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত এসআই মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘মাদক মামলার এজহারভূক্ত আসামি আল-আমিনকে ধরতে সৈয়দপুর গ্রামে গেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় আমার ও এক আনসার সদস্যের মাথা ফেটে গেছে।’’
আরো পড়ুন:
আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক এমপি শম্ভুর ওপর ডিম নিক্ষেপ
টাঙ্গাইলে হাসিনার নামে মামলা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তুলে নেওয়ার আবেদন
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, ‘‘আহতাবস্থায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক ও আনসার সদস্যকে হাসপাতালে আনা হলে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের মাথায় ৮টি সেলাই লেগেছে।’’
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘‘এজাহারভুক্ত আসামিকে ধরতে গেলে আসামি ও তার সহযোগী লোকজনের হামলায় এক এসআই এবং আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।’’
ঢাকা/রফিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আনস র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
থানা-হাইওয়ে পুলিশের ঠেলাঠেলিতে ৯ ঘণ্টা সড়কে পড়ে ছিল লাশ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় শুক্রবার ভোরে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে যায় থানা ও হাইওয়ে পুলিশ। ওই ব্যক্তি কীভাবে মারা গেছেন, তা নিশ্চিত হতে পারছিলেন না তারা। এ কারণে লাশ বুঝে নিতে থানা ও হাইওয়ে পুলিশের মধ্যে ঠেলাঠেলি চলতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রায় ৯ ঘণ্টা পর দুপুরে লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মৌচাক এলাকায় ভোর ৫টার দিকে একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে সেখানে যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও হাইওয়ে পুলিশ। তবে কারা লাশ উদ্ধার করবে, এ নিয়ে ঠেলাঠেলি শুরু হয়। থানা পুলিশ বলে, খুন হয়ে থাকলে তারা উদ্ধার করবে। আর সড়ক দুর্ঘটনা হলে হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার করবে।
এদিকে হাইওয়ে পুলিশ বলে, মৃত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। সে ক্ষেত্রে লাশ উদ্ধার করবে থানা পুলিশ। পরে মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে শুরু করে। ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত দেখে তারা নিশ্চিত হয়, ওই ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এরপর বেলা ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেন হাইওয়ে পুলিশ শিমরাইল ক্যাম্পের এসআই আশরাফ উদ্দিন। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, ভোরে কোনো এক সময় সড়ক দুর্ঘটনায় লোকটি নিহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘লাশ দেখে সড়ক দুর্ঘটনা মনে হচ্ছিল না। লাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটা হত্যাকাণ্ড ভেবে থানা পুলিশকে লাশটি উদ্ধার করতে বলা হয়েছিল।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, ‘লাশটি মহাসড়কে ছিল। তাই হাইওয়ে পুলিশকে উদ্ধার করতে বলা হয়। লাশে আঘাতের দাগ থাকায় তারা উদ্ধার করতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে থানা ও হাইওয়ে পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য শুনে নিশ্চিত হয়, এটি সড়ক দুর্ঘটনা।’
আজ দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিমরাইল ক্যাম্পের এসআই আশরাফ উদ্দিন জানান, ‘লাশ আমাদের হেফাজতে আছে। ময়নাতদন্তের জন্য এখনও হাসপাতালে পাঠানো হয়নি। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। স্বজনদের পাওয়া না গেলে হাইওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।’