ক্রিকেট ম্যাচে একজন আম্পায়ার ‘নো’ বলের সংকেত কখন দেন?

হয় বোলার হাত থেকে বল ছোড়ার মুহূর্তে পপিং ক্রিজের বাইরে পা রেখেছেন, নয়তো ব্যাটসম্যানের কোমরের ওপরের উচ্চতায় ফুল টস করেছেন। প্রথম ধরনের ডেলিভারিকে বলা হয় ওভারস্টেপিং, পরেরটিকে বিমার।

বুধবার রাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস-দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে জ্যাকব বেথেল এমন কিছুই করেননি। তবু ‘নো’ বল ডেকেছেন আম্পায়ার। যা নিয়ে অনেকেরই জিজ্ঞাসা, এ আবার কেমনতরো ‘নো’ বল?

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ঘটনাটি দিল্লির ইনিংসের পঞ্চম ওভারের। মুম্বাইয়ের অফ স্পিনার জ্যাকসের তৃতীয় বলটি ‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার। খোলাচোখে এটি বৈধ ডেলিভারি। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢুকেছে, ব্যাটসম্যান বিপ্রজ নিগম রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছেন। বল ডেলিভারির মুহূর্তে জ্যাকসের পা পপিং ক্রিজের ভেতরেও ছিল।

তবু ‘নো’ বল ডাকার কারণ ক্রিকেটের কম প্রচলিত এক নিয়ম। এমসিসি আইন অনুসারে, যা আইপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশনেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেখানে বলা আছে প্রতিটি ডেলিভারির সময় মাঠের দুই দিকে ফিল্ডারের নির্দিষ্ট সীমা মানতে হবে। ২৮.

৪.১ ধারা অনুসারে, বোলার বল ছাড়ার মুহূর্তে মাঠের এক পাশে পাঁচজনের বেশি ফিল্ডার থাকতে পারবেন না।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ ক্রিকেট দল: বিষ নেই তার কুলোপনা চক্কর১ ঘণ্টা আগে

জ্যাকসের ডেলিভারির সময় অন সাইডে ফিল্ডার ছিল ৬ জন, অফ সাইডে ৩ জন। এ ধরনের ফিল্ডিংয়ের অনুমোদন না থাকাতেই ‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার। সব ‘নো’ বলের শাস্তি হিসেবে যা দেওয়া হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রেও সেই ‘ফ্রি হিট’ পেয়ে যান নিগম। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান সুযোগটা কাজে লাগান ছক্কা মেরে। ওই ওভারেই ব্যাট করতে নামা নিগম শুরুতেই অমন হাত খোলার সুযোগ পেয়ে পরের দুই বলে মেরে বসেন চার।

নিগমের ইনিংসটা অবশ্য খুব বেশি বড় হয়নি। টানা তিন বলে ১৪ রান তুললেও মাঠ ছাড়তে হয় ১১ বলে ২০ রান করে। দিল্লিও মুম্বাইয়ের ১৮০ রান তাড়া করতে নেমে আটকে যায় ১২১ রানে।

আরও পড়ুনবাভুমা ও সূর্য যেখানে সমান৫ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন আম প য় র

এছাড়াও পড়ুন:

‘মেসি কাপ’ আয়োজনের ঘোষণা দিলেন মেসি, কারা খেলবে এই টুর্নামেন্ট

নিজের ইনস্টাগ্রামে হ্যান্ডলে চমকপ্রদ এক ঘোষণা দিয়ে সবাইকে অবাক করেছেন লিওনেল মেসি। গতকাল রাতে এই পোস্টে ‘মেসি কাপ’ নামে বিশেষ একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করার কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ের বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে। এতে অংশ নেবে আর্জেন্টিনার রিভার প্লেট, নিওয়েলসসহ ইউরোপের বেশ কিছু ক্লাব।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টে টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণায় মেসি বলেন, ‘আমি অবশেষে বলতে পারছি, প্রতিশ্রুতিশীল যুব খেলোয়াড়দের জন্য একটি বিশেষ টুর্নামেন্ট ডিসেম্বরে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

যেখানে বিশ্বের সেরা কিছু ক্লাব অংশ নেবে। সেই সঙ্গে ওই দিনগুলোতে আরও নানা ধরনের আয়োজন রাখা হবে। এটা পরের প্রজন্মের জন্য। আশা করি, মেসি কাপ সবাই পছন্দ করবে।’

আরও পড়ুনআন্তর্জাতিক ফুটবলে গোল করানোর রেকর্ড মেসির৯ ঘণ্টা আগে

‘মেসি কাপ’ টুর্নামেন্টের প্রথম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হবে মায়ামিতে আগামী ৯ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর আয়োজনে রয়েছে মেসির নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘৫২৫ রোজারিও’। এই আন্তর্জাতিক যুব ফুটবল প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ ক্লাবের অনূর্ধ্ব-১৬ দল অংশ নেবে।

এই টুর্নামেন্টে ৮টি ক্লাব অংশ নেবে। ক্লাবগুলো হলো ইন্টার মায়ামি, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার সিটি, রিভার প্লেট, ইন্টার মিলান, নিওয়েল’স, আতলেতিকো মাদ্রিদ এবং চেলসি।

ছয় দিনের টুর্নামেন্টে মোট ১৮টি ম্যাচ খেলা হবে এবং ম্যাচগুলো ইন্টার মায়ামির চেজ স্টেডিয়াম ও ক্লাবটির অনুশীলন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের ফরম্যাট অনুযায়ী চারটি করে দল দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। এরপর প্লে-অফ এবং ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুনমেসি যেন একটি নদীর নাম০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মেসির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘৫২৫ রোজারিও’–এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফুটবলের ভবিষ্যৎ বিনির্মানই এই টুর্নামেন্টের লক্ষ্য। প্রতিষ্ঠানটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি শুধু একটি টুর্নামেন্ট নয়—এটি এক ধারাবাহিক আয়োজন ও ডিজিটালভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও উদ্ভাবন একসূত্রে মিশেছে।’ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম পাস্তোরে বলেন, ‘মেসি কাপ হলো আজকের ফুটবল আর আগামী দিনের খেলোয়াড়দের মিলনমেলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ