পা সামনে যায়নি, বল কোমরের ওপরেও ওঠেনি—তবু কেন ‘নো’
Published: 22nd, May 2025 GMT
ক্রিকেট ম্যাচে একজন আম্পায়ার ‘নো’ বলের সংকেত কখন দেন?
হয় বোলার হাত থেকে বল ছোড়ার মুহূর্তে পপিং ক্রিজের বাইরে পা রেখেছেন, নয়তো ব্যাটসম্যানের কোমরের ওপরের উচ্চতায় ফুল টস করেছেন। প্রথম ধরনের ডেলিভারিকে বলা হয় ওভারস্টেপিং, পরেরটিকে বিমার।
বুধবার রাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস-দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে জ্যাকব বেথেল এমন কিছুই করেননি। তবু ‘নো’ বল ডেকেছেন আম্পায়ার। যা নিয়ে অনেকেরই জিজ্ঞাসা, এ আবার কেমনতরো ‘নো’ বল?
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ঘটনাটি দিল্লির ইনিংসের পঞ্চম ওভারের। মুম্বাইয়ের অফ স্পিনার জ্যাকসের তৃতীয় বলটি ‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার। খোলাচোখে এটি বৈধ ডেলিভারি। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢুকেছে, ব্যাটসম্যান বিপ্রজ নিগম রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছেন। বল ডেলিভারির মুহূর্তে জ্যাকসের পা পপিং ক্রিজের ভেতরেও ছিল।
তবু ‘নো’ বল ডাকার কারণ ক্রিকেটের কম প্রচলিত এক নিয়ম। এমসিসি আইন অনুসারে, যা আইপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশনেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেখানে বলা আছে প্রতিটি ডেলিভারির সময় মাঠের দুই দিকে ফিল্ডারের নির্দিষ্ট সীমা মানতে হবে। ২৮.
জ্যাকসের ডেলিভারির সময় অন সাইডে ফিল্ডার ছিল ৬ জন, অফ সাইডে ৩ জন। এ ধরনের ফিল্ডিংয়ের অনুমোদন না থাকাতেই ‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার। সব ‘নো’ বলের শাস্তি হিসেবে যা দেওয়া হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রেও সেই ‘ফ্রি হিট’ পেয়ে যান নিগম। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান সুযোগটা কাজে লাগান ছক্কা মেরে। ওই ওভারেই ব্যাট করতে নামা নিগম শুরুতেই অমন হাত খোলার সুযোগ পেয়ে পরের দুই বলে মেরে বসেন চার।
নিগমের ইনিংসটা অবশ্য খুব বেশি বড় হয়নি। টানা তিন বলে ১৪ রান তুললেও মাঠ ছাড়তে হয় ১১ বলে ২০ রান করে। দিল্লিও মুম্বাইয়ের ১৮০ রান তাড়া করতে নেমে আটকে যায় ১২১ রানে।
আরও পড়ুনবাভুমা ও সূর্য যেখানে সমান৫ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন আম প য় র
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র
গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানেরইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।
ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।
ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।