বন্দরে পিকআপ-অটো ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে : আহত ৫
Published: 22nd, May 2025 GMT
বন্দরে পিকআপ ও অটো ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ অটো যাত্রী আহত হয়েছে। আহত ৫ জনের মধ্য ৩ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকি ২ জনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতরা হলো বন্দর থানার সোনাচড়া এলাকার আব্দুল রশিদ মিয়ার ছেলে আকাশ (৩০) নবীগঞ্জ উত্তর নোয়াদ্দা এলাকার রায়হান পুলক (৪৩) সোনাচড়া এলাকার মোজাম্মেল (৩৫)।
আহত ৫ জনের মধ্যে স্থানীয়রা ৩ জনকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। বাকি ২ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সোয়া ৮টায় বন্দর উপজেলার মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কের তালতালস্থ গ্লাস ফ্যাক্টরির সামনে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্দর উপজেলা ধামগড় ইউনিয়নের মদনপুর টু মদনগঞ্জ সড়কের তালতলা এলাকায় ঢাকা মেট্রো ন ২৩-৩১১৭ নাম্বারের একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে অটো ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওই সময় অটোর ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তা আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ধামগড় ফাঁড়ি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে র্দূঘটনা কবলিত গাড়ীটি তাদের হেফাজতে নেয়।
এ ঘটনায় বন্দর থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে ভাতিজাদের বিরুদ্ধে চাচাকে প্রাননাশের হুমকির অভিযোগ
বন্দরে একটি ভবনের রুম নিয়ে বিরোধের জের ধরে বৃদ্ধ চাচাকে প্রান নাশের হুমকি ঘটনায় পাষান্ড ভাতিজাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী চাচা আলাউদ্দিন দেওয়ান বাদী হয়ে হুমকির ঘটনার ওই দিন দুপুরে পাষান্ড ভাতিজা কলিমুল্লাহ ও মোহাম্মদ উল্লাহকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বন্দর থানার মদনগঞ্জ লক্ষারচর উত্তরপাড়া এলাকায় এ হুমকির ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার মদনগঞ্জ ১০২নং এম এন ঘোষাল রোড এলাকার মৃত হাজী আব্দুল আলী দেওয়ানের ছেলে আলাউদ্দিন দেওয়ানের পৈতৃক দুই তলা বিশিষ্ট একটি ভবন রয়েছে।
অভিযোগের বাদী পিতা মারা যাওয়ার পর ১০জন ওয়ারিশগণ পারষ্পরিক বন্টন করে উক্ত বাড়িতে ৬ ভাই ২টি করে রুম প্রাপ্ত হয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে।
উক্ত বিল্ডিং এর নিচ তলার একটি রুম অভিযোগের বাদী দীর্ঘ দিন ধরে স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতা অভিযোগের বাদী ছেলেদের সংসার হবার কারণে স্টোর রুমটি পরিষ্কার করে বাদী ছেলে জন্য বসবাসের জন্য প্রস্তুত করে।
ওই সময় একই এলাকার মৃত শাহাদাত হোসেনের ২ ছেলে অভিযোগের বাদী ভাতিজা কলিমুল্লাহ ও মোহাম্মদ উল্ল্যাহ উক্ত রুমে জোরপূর্বক একটি কাঠের খাট ঢুকিয়ে কক্ষটি বাইরে থেকে তালা মেরে দেয়।
এ ঘটনায় অভিযোগের বাদী কি কারনে তালা মেরে রেখেছে তা উল্লেখিত দুই ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলে ওই সময় উল্লেখিতরা নিরিহ চাচাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মারমুখী আচরণ করে জনসম্মুখে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী চাচা গণমাধ্যমকে আরো জানান, সন্ত্রাসী কলিমুল্লাহ ও মোহাম্মদ উল্লাহ অনৈতিক কর্মকান্ডে আমিসহ আমাদের ওয়ারিশগন চরম ভাবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
উল্লেখিত দুই ভাই আমাকে ও আমার পরিবারকে সম্মানহানী করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। পাষান্ড ভাতিজাদের অমানবিক অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নিরিহ চাচা আলাউদ্দিন দেওয়ান ও তার পরিবার।