Samakal:
2025-06-19@15:24:55 GMT

কম খরচে ঘর সাজানোর উপায় 

Published: 19th, June 2025 GMT

কম খরচে ঘর সাজানোর উপায় 

নিজের ঘর সুন্দর করে সাজাতে কার না মন চায়? কিন্তু ঘরকে নতুন এবং শৌখিন করতে প্রথমেই মনে পড়ে খরচের কথা। অনেকেই হয়তো জানেন না ঘর সাজানো মানেই দামি আসবাবপত্র বা ডিজাইনার জিনিসপত্র নয়। একটি বাড়ি স্মার্ট টিপস এবং কৌশল দিয়ে সুন্দরভাবে সাজানো যায়। যেমন-

সিলিংয়ের গুরুত্ব : ঘরগুলো ছোট দেখালে সিলিংয়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ মানুষই তাদের ঘরের ছাদ সাদা রং করে এবং দেয়াল অন্য কোনও রঙে রাঙিয়ে দেন। এমন হলে ঘরটি ছোট দেখায়। যদি ঘরটি বড় দেখাতে চান তাহলে পরের বার যখন আপনি ঘরটি রাঙিয়ে দেবেন, তখন দেয়াল এবং সিলিংয়ের রং একই রাখুন।

দেয়ালের রং: আজকাল, ঘরের দেয়ালে গাঢ় রঙের তুলনায় হালকা রং বেশি ট্রেন্ড করছে। একই সাথে, কিছু মানুষ দেয়ালে কোনও রং করেন না এবং সাদা রংই রাখতে পছন্দ করেন। সাদা রং দেখতে মার্জিত এবং ঘরের আসবাবপত্রের সাথে সৃজনশীল হতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
একটি ফোকাল পয়েন্ট তৈরি করুন : যদি আপনার ঘরের দেয়ালে সাদা রং করা ঠিক মনে না হয় তাহলে আপনি দেয়ালে একটি সুন্দর ওয়ালপেপার লাগাতে পারেন। অন্যদিকে, আপনি যদি বসার ঘরে ওয়ালপেপার লাগানোর কথা ভাবেন তাহলে বড় নকশার পরিবর্তে ছোট কাজের নকশা বেছে নিতে পারেন।
একটি গ্যালারি ওয়াল তৈরি করুন : ঘরের একটি দেয়ালকে গ্যালারি দেয়াল তৈরি করুন। সেখানে নিজের, পরিবারের সদস্যদের ছবি, পেইন্টিং এবং থ্রিডি জিনিসপত্র  রাখতে পারেন। এতে ঘরটি দেখতে আকর্ষণীয় লাগবে।

ঘরে পার্টিশন: যদি আপনার বসার ঘরটি খুব লম্বা হয়, তাহলে মাঝখানে দরজা বা পর্দা ঝুলানোর পরিবর্তে, আপনি এটিকে নকশার উপাদান দিয়ে ভাগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে একটি ছোট সাইড টেবিল বা ফ্রিঞ্জের সাহায্য নিতে পারেন।

ঘরের গাছপালা : ঘরের ভেতরে গাছপালা রাখলে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এগুলো কেবল ঘরের চেহারাই পাল্টে দেয় না, বরং এগুলোর উপস্থিতি ঘরে ইতিবাচকতাও বয়ে আনে। ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ হয়। 

অন্যান্য : যদি আপনার ঘরের দেয়াল হালকা বা সাদা রং করে থাকেন, তাহলে ঘর সাজাতে রঙিন আসবাবপত্র বেছে নিতে পারেন। একটি উজ্জ্বল রঙের সোফা কিনতে পারেন। যদি সোফা বা আসবাবপত্র কেনার কথা না ভাবেন, তাহলে উজ্জ্বল রঙের একটি কার্পেট কিনে বিছিয়ে দিতে পারেন। গাঢ় রঙের কার্পেট ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে পারে। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আসব বপত র স ন দর

এছাড়াও পড়ুন:

তিন ফসলি জমি রক্ষা গোবিন্দগঞ্জে ইপিজেড স্থাপন পরিকল্পনা স্থগিতের দাবি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তিন ফসলি কৃষিজমি রক্ষায় ইপিজেড স্থাপন পরিকল্পনা স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ১৪টি সংগঠন। সেইসঙ্গে সাঁওতাল নৃগোষ্ঠী ও কিছু বাঙালি কৃষিজীবী পরিবারের পূর্বপুরুষদের জমি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে তারা। 

 আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গাইবান্ধায় সাঁওতালদের পূর্বপুরুষের জমিতে বৈধ অধিকারের স্বীকৃতি এবং তিন ফসলি কৃষি জমি সুরক্ষার দাবিতে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা। 

সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এএলআরডি, নিজেরা করি, টিআই-বি, ব্লাস্ট, বেলা, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন, বারসিক, নাগরিক উদ্যোগ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, এইচডিআরসি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কাপেং ফাউন্ডেশন এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ ১৪টি সংগঠন।

সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির বলেন, ‘দেশে আইন-নীতিমালা যখন প্রয়োগ হয় না তখন দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ জনগণকে। আমরা পূর্ববর্তী সরকারের আমলে গোবিন্দগঞ্জের বাগদা ফার্মে ইপিজেড নির্মাণের বিপরীতে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। হুকুম-দখলে সরকারি নীতিতে আছে অধিগ্রহণকৃত জমি যদি নির্ধারিত কাজে ব্যবহৃত না হয়, তা হলে যাদের জমি তাদের ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাস্তবতা ভিন্ন। চিনি কল ২০০৪ সালে বন্ধ হয়ে গেলেও সেই জমি সাঁওতালদের ফেরত দেওয়া হয়নি। বরং ২০১৬ সালে তাদের ওপর নিপীড়ন চালানো হয় এবং ৩ জন আদিবাসী তৎকালীন পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনের দমন-পীড়নে নিহত হন। আমরা এই পরিস্থিতিতে নতুন করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রস্তাবিত ইপিজেড নির্মাণের সরকারি সিদ্ধান্ত ও প্রক্রিয়াকে প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানাই।’ 

ঢাবির অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘এটা স্পষ্ট, জমি ফেরত না দিয়ে সেখানে ইপিজেড স্থাপন শিল্পায়নের ভুল ব্যাখ্যা। কৃষিজমি ধ্বংস করে ইপিজেড করার যুক্তি নেই। বিশ্বে এখন বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ হচ্ছে। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থেই তিন ফসলি জমি ধ্বংস কোনো ভালো সিদ্ধান্ত নয়।’ 

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এত জায়গা থাকতে সাঁওতালপল্লীতে কেন ইপিজেড করতে হবে?’ 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী সাইদুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ