সুনামগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
Published: 13th, July 2025 GMT
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু আনার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার ভাঙ্গারপাড় সীমান্ত এলাকায় ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিকুল উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাঙাপাড়া গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গরু পারাপারের সময় বিএসএফ চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। চোরাকারবারিরা তাকে দেশে এনে দোয়ারাবাজার হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ২৮ বিজিবির অধিনায়ক এ কে এম জাকারিয়া কাদির জানান, দোয়ারাবাজার সীমান্তের ভাঙারপাড় দিয়ে ১০-১২ জন বাংলাদেশি গরু আনতে ভারতের ৫০০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। গরু নিয়ে আসার সময় বিএসএফ তাদের বাঁধা দেয়। এ সময় বিএসএফকে লক্ষ্য করে চোরাকারবারিরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তখন বিএসএফ ৪-৫ রাউন্ড সাইন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। চোরাকারবারিরা তাতে পিছু না হঠায় বিএসএফ ৩-৪ রাউন্ড গুলি চালায়। ওই গুলিতে চোরাকারবারি শফিকুল গুরুতর আহত হন। অন্য চোরাকারবারিরা আহত শফিকুলকে নিয়ে দেশে চলে আসে। আহত শফিকুলকে পরিবারের সদস্যরা দোয়ারাবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। রাতে তার মৃত্যু হয়। বিএসএফকে পতাকা বৈঠক ও প্রতিবাদলিপি দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ চ র ক রব র র য় ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
পুশইন নিয়ে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেখতে চায় না জনগণ
বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ক্রমাগত ভারতীয় পুশইনের প্রতিবাদে এবং এসব লোকজনকে পুশব্যাক করার দাবিতে রাজধানীতে নাগরিক সমাবেশ হয়েছে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের উদ্যোগে এ নাগরিক সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী কথিত ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ ধরতে অভিযান চলছে ভারতে। ‘অবৈধ অভিবাসী’ সন্দেহে বিভিন্ন রাজ্যে গ্রেপ্তার হওয়া মুসলমান এবং বাংলা ভাষাভাষীদের বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় এনে তাদের তুলে দেওয়া হয় বিএসএফের হাতে। আর বিএসএফ সময় ও সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় তাদের।
৭ মে প্রথম দফায় খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা ও পানছড়িতে ৬৬ এবং কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আরও ৩৬ জনকে দিয়ে শুরু হওয়া ‘পুশইন’ এখনও অব্যাহত রয়েছে। তারা বলেন, শুধু মে মাসেই ১ হাজার ২২২ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারত। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ২৪ দিনে মোট ১ হাজার ২২২ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারত।
বক্তারা বলেন, ভারতবিরোধী বড় বড় কথা বলে সস্তা বাহবা পাওয়া যেতে পারে। অথচ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের জন্য বরাদ্দকৃত ভূমি বাতিল করা হয়নি, তিস্তা প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না, ভেঙে পড়েছে সীমান্ত নিরাপত্তা, অবাধ বিচরণ করছে অবৈধ ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মতো নতজানু পররাষ্ট্রনীতিও লক্ষণীয়। এদেশের জনগণ আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দেখতে চায় না, দেশের মানুষ এখন স্বনির্ভর, জবাবদিহি ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির সম্পূর্ণ নতুন বাংলাদেশ চায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খন্দকার ফরিদুল আকবরের সভাপতিত্বে এবং মো. মোস্তফা আল ইহযাযের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ ও সম্মিলিত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খায়রুল আহসান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান, লে. কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, মেজর (অব.) হারুন আর রশিদ, মুসলিম ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মাসউদুল হাছান, আরজেএফের জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রবিউল হোসেন রবি, ন্যাশনাল কৃষক শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক আব্দুল করিম প্রমুখ।