সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু আনার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার ভাঙ্গারপাড় সীমান্ত এলাকায় ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শফিকুল উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাঙাপাড়া গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, গরু পারাপারের সময় বিএসএফ চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে শফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। চোরাকারবারিরা তাকে দেশে এনে দোয়ারাবাজার হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ২৮ বিজিবির অধিনায়ক এ কে এম জাকারিয়া কাদির জানান, দোয়ারাবাজার সীমান্তের ভাঙারপাড় দিয়ে ১০-১২ জন বাংলাদেশি গরু আনতে ভারতের ৫০০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। গরু নিয়ে আসার সময় বিএসএফ তাদের বাঁধা দেয়। এ সময় বিএসএফকে লক্ষ্য করে চোরাকারবারিরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তখন বিএসএফ ৪-৫ রাউন্ড সাইন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। চোরাকারবারিরা তাতে পিছু না হঠায় বিএসএফ ৩-৪ রাউন্ড গুলি চালায়। ওই গুলিতে চোরাকারবারি শফিকুল গুরুতর আহত হন। অন্য চোরাকারবারিরা আহত শফিকুলকে নিয়ে দেশে চলে আসে। আহত শফিকুলকে পরিবারের সদস্যরা দোয়ারাবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। রাতে তার মৃত্যু হয়। বিএসএফকে পতাকা বৈঠক ও প্রতিবাদলিপি দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ চ র ক রব র র য় ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে কুপিয়ে ও তীর মেরে ৩ বাংলাদেশিকে হত্যা

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই এলাকায় কুপিয়ে ও তীর মেরে তিন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (৫৫ বিজিবি) পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

‘সাজিদ হত্যার ৯০তম দিন, এরপর কি আমি?’

দুই স্ত্রীর বিবাদে প্রাণ গেল যুবদল নেতার

নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার আলীনগর গ্রামের আশ্বব আলীর ছেলে জুয়েল মিয়া (৩২), বাসুল্লা গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে পতি মিয়া (৪৫) ও কবিলাশপুর গ্রামের কদ্দুস মিয়ার ছেলে সজল মিয়া (২০)।  

ত্রিপুরার স্থানীয় দৈনিক সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক আশীষ চক্রবর্তী জানান, বুধবার সকালে খোয়াই জেলার বিদ্যাবিল এলাকায় পাহাড়ি আদিবাসীরা তিন বাংলাদেশিকে কুপিয়ে ও তীর মেরে হত্যা করে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে খোয়াই থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে।  

চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তারেকুর রহমান বলেন, “রাতে বিজিবি নিহতদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে ভারতে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে পাঠানো লাশের ছবিতে জুয়েল, পতি ও সজলকে শতভাগ শনাক্ত করা গেছে।”  

৫৫ বিজিবির (হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন) ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান বুধবার রাত ১২টায় বলেন, ‍“মরদেহগুলো বাংলাদেশি তিনজনের। বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলছে।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতে হত্যার শিকার ৩ বাংলাদেশির লাশ ফেরত
  • ত্রিপুরায় গরুচোর সন্দেহে ৩ বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা
  • ভারতে কুপিয়ে ও তীর মেরে ৩ বাংলাদেশিকে হত্যা