কিন্ডারগার্টেনের ফি নেওয়ার নীতিমালা থাকা উচিত: উপদেষ্টা
Published: 19th, June 2025 GMT
বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনগুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেওয়ার বিষয়ে একটি নীতিমালা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, “কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেওয়ার বিষয়ে অবশ্যই একটি নীতিমালা হওয়া উচিত, যাতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো ফি নিতে না পারে। তাদের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি কেমন হবে, তা-ও সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে।”
রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে পিটিআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপদেষ্টা। এতে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক, উপজেলা ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং পিটিআইর ইনস্ট্রাকটররা অংশ নেন।
এ সময় তারা প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন, শ্রেণিকক্ষের আধুনিকায়ন, পাঠদানের মানোন্নয়ন, মিড ডে মিল চালু করা, আইসিটির মানোন্নয়ন, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি এবং বিনামূল্যে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীরা কিন্ডারগার্টেনগুলোকে নীতিমালার মধ্যে আনার বিষয়ে পরামর্শ দেন। পাশাপাশি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের নিজেদের ভাষায় বই পড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয় এবং শিক্ষকদের টিচার্স গাইড অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো.
ঢাকা/কেয়া/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ন ড রগ র ট ন উপদ ষ ট সরক র ন নয়ন
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের দোয়া, বাবার কবর জিয়ারত ও কোহলির প্রেরণা—এই তিনে মিলেই সিরাজ
মোহাম্মদ সিরাজের বাবা মির্জা মোহাম্মদ গাউস ছিলেন অটোরিকশাচালক। ছেলের গায়ে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি তিনি দেখে যেতে পেরেছিলেন। ২০১৭ সালে টি–টোয়েন্টি সংস্করণে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সিরাজের অভিষেক। চার বছর পর ২০২১ সালে সিরাজ অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকতে ৫৩ বছর বয়সে মারা যান গাউস। বিশ্বে তখন করোনা মহামারি চলছিল, অস্ট্রেলিয়ায় কড়া কোয়ারেন্টিন নিয়মের কারণে বাবার শেষকৃত্যে থাকতে পারেননি সিরাজ।
আরও পড়ুনমোহাম্মদ সিরাজ: ওয়ালপেপারে রোনালদো, গুগলের মজা এবং ভাইয়ের গর্ব৬ ঘণ্টা আগেবাবার মৃত্যুর পর থেকে একটি বিষয় সিরাজ মেনে চলেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যেকোনো সফরের আগে ও পরে সিরাজ তাঁর বাবার কবরে যান। সফরে যাওয়ার আগে বাবার কবরে গিয়ে দোয়া করার পাশাপাশি আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। সফর শেষে বিমানবন্দরে নেমে ঘরে ফেরার আগেও একবার বাবার কবরটা দেখে যান।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, গত জুনে ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে সিরাজ ব্যাগ গুছিয়ে তাঁর মাকে বলেছেন, ‘আম্মা, আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি ভালো করতে চাই। ভারতকে জেতাতে চাই।’ এরপর সিরাজ বাবার কবরে গিয়ে দোয়া করে তারপর বিমানবন্দরের পথ ধরেন। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সিরাজের মা শাবানা বেগম আরও বলেছেন, ‘বাবাকে সে খুব ভালোবাসে। বাবাও তাকে খুব ভালোবাসতেন—তার (সিরাজ) জন্য তিনি যেকোনো কিছুই করতেন। সিরাজের জন্য সব সময় দোয়া করি। সৃষ্টিকর্তা আমার সন্তানের ওপর রহম করুন এবং সবকিছুতে সাফল্য দিন।’
ভারত–ইংল্যান্ড সিরিজে প্রায়ই দেখা গেছে সিরাজের উদ্যাপনের দৃশ্য। সর্বোচ্চ উইকেটও তাঁর