ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ও চরম উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার বসেছিল জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। এ বৈঠকেও উত্তেজনা ছড়ায়। চলে উত্তপ্ত বাদানুবাদ। তবে সব ছাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডরোথি শিয়ার ‘ছোট্ট’ একটি ভুল, আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বৈঠকে বক্তব্য দেওয়ার একপর্যায়ে ডরোথি শিয়া বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস ও দুর্ভোগ ছড়াচ্ছে ইসরায়েল।’

আদতে ইরানের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। কিন্তু ভুল করে ‘ইরানের’ জায়গায় ‘ইসরায়েলের’ কথা বলেন তিনি।

মুহূর্তে নিজের ‘ভুল’ বুঝতে পারেন ডরোথি শিয়া। শুধরে নেন দ্রুত। পরে ইরানের নাম উল্লেখ করে তীব্র সমালোচনা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের জন্য ইরানকে দায়ী করে ডরোথি শিয়া বলেন, ‘নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচি সংযত করার জন্য তেহরানের একটি চুক্তিতে রাজি হওয়া উচিত ছিল।’

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদে গতকালের বৈঠকে ইরান ও ইসরায়েল তাদের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘাতের দায় চাপানোর চেষ্টা করে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি ইসরায়েলকে এমন একটি দেশ হিসেবে আখ্যা দেন, যারা নিরপরাধ মানুষ হত্যা ও অন্যান্য দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করে। বক্তব্যের সময় তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানি শিশুদের ছবি তুলে ধরেন।

আরও পড়ুনপাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে আলোচনা ১০ ঘণ্টা আগে

জবাবে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেন, ইরান ‘ভুক্তভোগী সেজে নাটক করছে’।

আরও পড়ুনইরানিদের জীবনযুদ্ধ, যে যুদ্ধে সাইরেন বাজে না১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনইরানের সমর্থনে ইরাক, তুরস্ক, লেবাননসহ বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ১৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুর ও আদাবর থেকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৭ জন গ্রেপ্তার

বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা পুলিশ। তাঁদের মধ্যে মোহাম্মদপুর থেকে ১২ জন এবং আদাবর থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার দিনব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদপুর থানার বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মেহেদী হাসান (২৫), পলাশ (২৩), রানা সরকার (২৫), ইমন (২৪), ইসমাইল (২০), সাব্বির (২২), মোহাম্মদ আলী (২৯), ইশতিয়াক (২৪), আসিফ (২৪), জসীম উদ্দিন (২৫), সাইদুর (৪৪) ও নয়ন ইব্রাহিম খলিল (১৯)। তাঁদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

আদাবর থানার বরাত দিয়ে বলা হয়, মঙ্গলবার আদাবর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. নয়ন (১৯), মো. ওসমান ওরফে রুবেল (২০), মো. হাসান (১৯), মো. সজীব (১৮) ও মো. রাসেল (২৭)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ