ভারতকে সর্বশেষ কবে হারিয়েছে পাকিস্তান, আজ ভারত জিতলেই নতুন ইতিহাস
Published: 21st, September 2025 GMT
ক্রিকেট মাঠে ভারত-পাকিস্তান লড়াই কে না দেখতে চায়!
এই দুই দলের ম্যাচ মানেই যে গ্যালারিঠাসা দর্শক, টেলিভিশন ও অন্যান্য মাধ্যমে খেলা দেখার নতুন রেকর্ড। একটা সময় মাঠেও আগুনে লড়াই হতো। দুই দলের কত কত ম্যাচের পাশেই তো ‘ক্ল্যাসিক’ শব্দটা খুব বেশি না ভেবেই বসিয়ে দেওয়া যায়।
সেই ভারত ও পাকিস্তানের আজকাল বহুজাতিক টুর্নামেন্ট ছাড়া দেখাই হয় না। দেখা যে হয় না, সেটির কারণ রাজনীতি। যখন আবার দেখা হয়, তখন আবার খেলার চেয়ে ভূরাজনৈতিক কারণেই বেশি উত্তেজনা ছড়ায়। ২০২৫ এশিয়া কাপেও যেমন হচ্ছে।
‘অখেলোয়াড়ি’ কারণেই এবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা একটু বেশি। প্রথম পর্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দন করেননি ভারতীয় খেলোয়াড়েরা। তা নিয়েই তোলপাড় কম হচ্ছে না। আজ দুবাইয়ে আবার কী নাটক হয়, কে জানে!
মোহাম্মদ নেওয়াজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেই ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল পাকিস্তান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জকসু নির্বাচন চায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে করার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেন, বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহুল প্রতীক্ষিত জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে একধরনের উত্তেজনা ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তফসিলে নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অনেকাংশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা অভিযোগ করেন, জকসু নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা সারা বছরের একাডেমিক চাপ শেষে ছুটি কাটাতে বাড়ি যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সময় ক্যাম্পাসে থাকে না। নির্বাচনের জন্য এমন সময় নির্ধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে ভোটারদের অংশগ্রহণ সীমিত করা।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে। এমন সময়ে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘একটি সুস্থ ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে থাকবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যা সংকটে জর্জরিত এই ক্যাম্পাসের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে।’