সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে যৌথ অভিযানে ইরানের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। অন্যদিকে তেহরান জানিয়েছে, হুমকির মুখে থাকা অবস্থায় তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবে না।

স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতিতে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ইরানের কোম শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় ইরানি বিপ্লবী গার্ডের বিদেশি শাখা কুদস ফোর্সের ফিলিস্তিন কর্পসের নেতৃত্বদানকারী সাইদ ইজাদি নিহত হয়েছেন। তাকে হত্যার ঘটনাকে ‘ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিমান বাহিনীর জন্য একটি বড় অর্জন’ বলে অভিহিত করেছে তেলআবিব। খবর রয়টার্সের।

কাৎজ ওই বিবৃতিতে বলেন, সাইদ ইজাদি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামলার আগে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে অর্থায়ন ও সামরিক সহযোগিতা করেছেন। গাজায় যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল মূলত ওই সময়ই।

ইরানি মিডিয়া বলছে, দেশটির বিপ্লবী গার্ড জানিয়েছে যে খোরামাবাদে হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা সাইদ ইজাদির নাম উল্লেখ করেনি।

শনিবার ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েল কোমে একটি ভবনে হামলা চালিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সেখানে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নুর নিউজ জানিয়েছে, ১৩ জুন ইসরায়েল তাদের আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইরানে কমপক্ষে ৪৩০ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

তেলআবিবের দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে ছিল। যদিও ইরান বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রাজাকার’ লেখা কুশপুত্তলিকা দাহ, মশালমিছিল

ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ