ইরানের ভূগর্ভে নির্মিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হানতে সক্ষম এমন একমাত্র বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমাটির মালিক যুক্তরাষ্ট্র। এর নাম ‘জিবিইউ-৫৭এ/বি ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর’ (এমওপি)। এটি নন-নিউক্লিয়ার ‘বাঙ্কার ব্লাস্টার’ বোমা, যা মাটির নিচের বাঙ্কার ধ্বংস করে ফেলতে পারে।
এই ধরনের বোমার দিক থেকে এটি পৃথিবীতে সবচেয়ে বড়। নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ৩০ হাজার পাউন্ড বা ১৩ হাজার ৬০০ কেজি।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ‘জিবিইউ-৫৭এ/বি’ প্রায় ছয় মিটার লম্বা। এটি মাটির প্রায় ২০০ ফুট (৬১ মিটার) গভীরে প্রবেশ করে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হয়। আর যদি ধারাবাহিকভাবে একের পর এক বোমা ফেলা হয়, তবে এটি মাটির আরও গভীরে প্রবেশ করতে পারে। এমওপি বোমা নির্মাণ করেছে বোয়িং।
বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের স্টিলথ বম্বার বি-২ স্পিরিট বিমান এই এমওপি বোমা বহনে সক্ষম। অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘নর্থরপ গ্রুম্যান’ কোম্পানির নির্মিত এই বিমান মার্কিন বিমানবাহিনীর সর্বাধুনিক বিমান।
নাতাঞ্জের পর ফর্দো হলো ইরানের দ্বিতীয় পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণকেন্দ্র। তেহরান থেকে প্রায় ৬০ মাইল (৯৫ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পশ্চিমে কোম শহরের কাছে একটি পর্বতের নিচে এর অবস্থান। ২০০৬ সালে এর নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০০৯ সালে এটি কার্যকর হয়। ওই বছরই তেহরান প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ফর্দোর অস্তিত্ব স্বীকার করে। এই স্থাপনাটি প্রায় ৮০ মিটার (২৬০ ফুট) পাথর ও মাটির গভীরে অবস্থিত এবং ইরান ও রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচিকে ধ্বংস করাই হলো ইরানে হামলার মূল উদ্দেশ্য। আর এই হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু হলো ফর্দো, জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। ইসরায়েলের যুক্তরাষ্ট্র দূত ইয়েখিয়েল লেইটার ফক্স নিউজকে বলেছেন, এই পুরো অভিযানের লক্ষ্য হলো ফর্দো নিশ্চিহ্ন করা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
বাঙ্কার ব্লাস্টারের আদ্যোপান্ত
ইরানের ভূগর্ভে নির্মিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হানতে সক্ষম এমন একমাত্র বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমাটির মালিক যুক্তরাষ্ট্র। এর নাম ‘জিবিইউ-৫৭এ/বি ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর’ (এমওপি)। এটি নন-নিউক্লিয়ার ‘বাঙ্কার ব্লাস্টার’ বোমা, যা মাটির নিচের বাঙ্কার ধ্বংস করে ফেলতে পারে।
এই ধরনের বোমার দিক থেকে এটি পৃথিবীতে সবচেয়ে বড়। নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ৩০ হাজার পাউন্ড বা ১৩ হাজার ৬০০ কেজি।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ‘জিবিইউ-৫৭এ/বি’ প্রায় ছয় মিটার লম্বা। এটি মাটির প্রায় ২০০ ফুট (৬১ মিটার) গভীরে প্রবেশ করে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হয়। আর যদি ধারাবাহিকভাবে একের পর এক বোমা ফেলা হয়, তবে এটি মাটির আরও গভীরে প্রবেশ করতে পারে। এমওপি বোমা নির্মাণ করেছে বোয়িং।
বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের স্টিলথ বম্বার বি-২ স্পিরিট বিমান এই এমওপি বোমা বহনে সক্ষম। অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘নর্থরপ গ্রুম্যান’ কোম্পানির নির্মিত এই বিমান মার্কিন বিমানবাহিনীর সর্বাধুনিক বিমান।
নাতাঞ্জের পর ফর্দো হলো ইরানের দ্বিতীয় পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণকেন্দ্র। তেহরান থেকে প্রায় ৬০ মাইল (৯৫ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পশ্চিমে কোম শহরের কাছে একটি পর্বতের নিচে এর অবস্থান। ২০০৬ সালে এর নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০০৯ সালে এটি কার্যকর হয়। ওই বছরই তেহরান প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ফর্দোর অস্তিত্ব স্বীকার করে। এই স্থাপনাটি প্রায় ৮০ মিটার (২৬০ ফুট) পাথর ও মাটির গভীরে অবস্থিত এবং ইরান ও রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচিকে ধ্বংস করাই হলো ইরানে হামলার মূল উদ্দেশ্য। আর এই হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু হলো ফর্দো, জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। ইসরায়েলের যুক্তরাষ্ট্র দূত ইয়েখিয়েল লেইটার ফক্স নিউজকে বলেছেন, এই পুরো অভিযানের লক্ষ্য হলো ফর্দো নিশ্চিহ্ন করা।