আমার নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তিশা
Published: 23rd, June 2025 GMT
সময়মতো কর পরিশোধ না করায় দেশের বেশ কয়েকজন তারকার ব্যাংক হিসাব জব্দ (ফ্রিজ) করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই তালিকায় থাকা ‘নুসরাত ইয়াসমিন তিশা’ নামের একজনকে ঘিরে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। অনেকে সেই নামকেই ধরে নেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। এবার বিষয়টি খোলাসা করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।
রোববার রাতে ফেসবুকে একটি পোস্টে তিশা লিখেছেন, ‘আমি নুসরাত ইমরোজ তিশা। সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যম ভিন্ন একজনের আয়কর সংক্রান্ত তথ্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি একেবারেই মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি নুসরাত ইমরোজ তিশা, সবসময় নিয়ম মেনে কর দিয়ে এসেছি এবং একজন পেশাদার শিল্পী হিসেবে সততার সঙ্গে কাজ করি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি আশা করি সাংবাদিক বন্ধুরা ভবিষ্যতে তথ্য যাচাই করে আরও দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশ করবেন।’
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১২ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে কয়েকজন তারকা রয়েছেন তারা হলেন মৌসুমী, রেজাউল করিম (বাপ্পারাজ), নুসরাত ফারিয়া, সাবিলা নূর, নুসরাত ইয়াসমিন তিশা, শবনম পারভীন ও আহমেদ শরীফ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রোমান সম্রাজ্ঞী মেসালিনাকে যেকারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো
রোমান সম্রাজ্ঞী ভ্যালেরিয়া মেসালিনা ছিলেন ‘ভয়ংকর সুন্দরী’। তার সময়ে সময়ে রাজনীতিতে একজন নারীর হস্তক্ষেপ ভালোভাবে দেখা হতো না। কেউ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করলে তাকে নিয়ে নানা সরল ব্যাখ্যা তৈরি হয়ে যেতো।
ইতিহাসবিদ রবার্ট গ্রেভস বলেছেন, ভ্যালেরিয়া মেসালিনার উচ্চ রাজনৈতিক জ্ঞান ছিলো এবং তিনি ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিতেন। অথচ তিনি ইতিহাসে একজন কুখ্যাত রোমান সম্রাজ্ঞী। ভ্যালোরিয়া মেসালিনা ছিলেন রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের তৃতীয় স্ত্রী। বলা হয়ে থাকে তিনি আলোচনায় রয়েছেন তার ক্ষমতা লিপ্সা, নৃশংসতা এবং চরম যৌন স্বেচ্ছাচারিতার জন্য।
আরো পড়ুন:
সকালে গোসল করার উপকারিতা
ময়ূর সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?
ভ্যালেরিয়া মেসালিনা সম্রাট নিরোর চাচাতো বোন, সম্রাট ক্যালিগুলার দ্বিতীয় চাচাতো বোন এবং সম্রাট অগাস্টাসের প্রপৌত্রী ছিলেন। ৩৮ বা ৩৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ক্লডিয়াসকে বিয়ে করেন। ৪১ খ্রিস্টাব্দে ক্যালিগুলা নিহত হলে ক্লডিয়াস সম্রাট হন এবং মেসালিনা সম্রাজ্ঞী হিসেবে ক্ষমতা লাভ করেন।
ভ্যালেরিয়া মেসালিনা প্রায় এক দশক ধরে রোমের অন্যতম প্রভাবশালী নারী ছিলেন এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। নিজের অবস্থান ধরে রাখতে তিনি রাজনৈতিক বিরোধীদের নির্বাসন এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন।
তার সম্পর্কে প্রচলিত গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি রাতের বেলা গোপনে পতিতালয়ে যেতেন এবং সেখানে সেচ্ছাচারিতা করতেন। এমনকি তিনি নামকরা পতিতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করতেন। এক রাতে তিনি ২৫ জন পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হয়েছিলেন!
৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি সম্রাট ক্লডিয়াসের অনুপস্থিতিতে তার প্রেমিক গাইয়াস সিলিয়াসের সাথে প্রকাশ্যেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কাজ। পরে ক্লডিয়াস তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন এবং তার নাম ও মূর্তি মুছে ফেলার জন্য ‘ড্যামনেশিও মেমোরি’ ঘোষণা করা হয়। রাজনীতিতে সরাসরি এক দশক প্রভাব রাখা সম্রাজ্ঞী ইতিহাসে একজন কলঙ্কিত নারীর তকমা পেয়ে যান।
তথ্যসূত্র: এনসিয়েন্ট ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন
ঢাকা/লিপি