লেখাটা পড়তে গিয়ে এতটাই ভালো লাগল যে চোখে পানি চলে এল
Published: 23rd, June 2025 GMT
রেইনড্যান্স উৎসবে যখন ২ষ-এর যুক্তরাজ্য প্রিমিয়ার হচ্ছে, তখন নতুন খবর দিলেন পরিচালক নুহাশ হুমায়ূন। চরকির অ্যানথোলজি সিরিজটি কানাডার ফ্যান্টাজিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ উৎসবের আয়োজক কর্তৃপক্ষ সিনেমাটির পরিচালক ও তাঁর কাজের জনরা নিয়ে প্রশংসা করেছে। যা পড়ে আবেগাপ্লুত এই তরুণ নির্মাতা।
বিভিন্ন উৎসব থেকে মনোনয়ন পাওয়াটা নুহাশের কাছে নতুন কিছু নয়। প্রায়ই মনোনয়নের খবর পান তিনি। তবে এবার মনোনয়নের সঙ্গে একটি মন ভালো করে দেওয়া চিঠিও পেয়েছেন। উৎসব কর্তৃপক্ষ অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছে, ‘এর আগে নির্মাতা ষ, মশারি ও ফরেনার্স অনলি নির্মাণ করেছেন। তিনিই আবার অবশ্য দ্রষ্টব্য আরেক অ্যানথোলজি নিয়ে এসেছেন। সৃজনশীল কাজে উদ্ভাবনদক্ষ তরুণ নির্মাতা নুহাশ হরর ঘরানার সিনেমাকে বাংলাদেশে নতুন এক দিগন্তে নিয়ে গেছেন। দ্বিতীয় সিজনেও তিনি ভীতিকর গল্প নিয়ে এসেছেন, যা এই গ্রীষ্মে কানাডায় প্রিমিয়ার হবে।’
সিনেমার পোস্টারটি ফেসবুকে ভাগাভাগি করেছেন নুহাশ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হলো রথ উৎসব
উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে শনিবার শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব। এ উপলক্ষে রাজধানী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উল্টো রথটান ছাড়াও পদাবলি কির্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্রী যজ্ঞ, প্রার্থনা, আলোচনা সভা, ধর্মীয় বৈদিক নৃত্য, ভাগবতকথা, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গত ২৭ জুন রথ শোভাযাত্রা, রথের মেলাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবারের রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়েছিল। রথযাত্রার ৯ দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত হয় উল্টো রথযাত্রা।
গতকাল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে স্বামীবাগের ইসকন আশ্রম মন্দির পর্যন্ত বর্ণাঢ্য উল্টো রথের শোভাযাত্রা আয়োজন করে। দুপুরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উল্টো রথযাত্রা উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী।
আলোচনা সভার পর বিকেলে বরণানুষ্ঠান ও পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনটি বিশাল রথে শ্রীশ্রী জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর প্রতিকৃতিসহ উল্টো রথযাত্রা শুরু হয়। ঢাক, কাঁসর, ঘণ্টা ও উলুধ্বনির মধ্যে সব বয়সের শত শত নারী-পুরুষ বর্ণাঢ্য সাজে এতে অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি পলাশীর মোড় থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব, পল্টন, শাপলা চত্বর, টিকাটুলি ও জয়কালী মন্দির হয়ে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
এ ছাড়া পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের জগন্নাথ জিউ ঠাকুর মন্দির, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির এবং শাঁখারীবাজার একনাম কমিটিসহ রাজধানীর অন্যান্য মন্দিরেও উল্টো রথযাত্রা হয়।
এদিকে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রামে নগরীর তুলসীধাম মন্দিরের কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটি, নন্দনকানন শ্রী শ্রী রাধামাধব মন্দির এবং শ্রীকৃষ্ণ ইসকন মন্দিরের উদ্যোগে আলাদা আলাদাভাবে উল্টো রথযাত্রা বের হয়। এসব আয়োজনে অংশ নেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।
সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে এই রথযাত্রার প্রচলন।