যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান-ইসরায়েল ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২ দশমিক ৬৯ ডলার বা ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৭৯ ডলারে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২ দশমিক ৭০ ডলার বা ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫ দশমিক ৪৬ ডলারে।

আরো পড়ুন:

আলজাজিরার বিশ্লেষণ: ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের বৈশ্বিক প্রভাব

ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে কী কী ঘটতে পারে?

মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলোও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধান সূচকগুলোও ঊর্ধ্বমুখী।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ‘পূর্ণ ও সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি’ বিষয়ে সম্মতি হয়েছে। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।

তিনি বলেন, ‘তবে ইসরায়েল যদি তেহরানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৪টার মধ্যে ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবৈধ আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে আমরা আর পাল্টা হামলা চালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা রাখি না।’

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে কত বাড়বে, সে হিসাব চলছে

সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম বাড়াতে সরকারকে চাপ দিয়েছে ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর মালিকপক্ষ। কিন্তু ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটারে যত টাকা দাম বাড়ানোর দাবি তুলেছেন, সরকার তাতে রাজি নয়।

তবে সরকারও কিছুটা দাম বাড়াতে রাজি। কতটা দাম বাড়ানো যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) মাধ্যমে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন প্রতি লিটারে মূল্যবৃদ্ধির চূড়ান্ত হিসাব করছে।

কারখানার মালিকেরা দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা পর্যালোচনা করছি। দাম বাড়তে পারে ঠিক। তবে তা লিটারে কত টাকা, সেই হিসাব করা হচ্ছে।বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান

সচিবালয়ে গতকাল সোমবার বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

বিটিটিসি চেয়ারম্যান মইনুল খান, বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান ও বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা ও ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিক—কোনো পক্ষই সাংবাদিকদের কিছু জানায়নি।

বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ