সিলেটে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিলেট জেলা পাথর–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় দাবি পূরণ না হলে সব পাথর কোয়ারিতে কর্মবিরতি, পণ্য পরিবহন ও গণপরিবহনে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

কর্মসূচিতে তিনটি ধাপে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে ২৮ জুন (শনিবার) সিলেটের সব পাথর কোয়ারি থেকে লোড-আনলোড পয়েন্টে মালিক-শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতি। দাবি পূরণ না হলে ৩০ জুন থেকে সিলেটের সব পণ্য পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি ও ২ জুলাই থেকে সিলেটে জেলার সব ধরনের পণ্য পরিবহন ও গণপরিবহনে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরিতি।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরের আম্বরখানা এলাকা থেকে পাথর–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল করে নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হন। পরে সেখানে বিভিন্ন ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে বেলা দেড়টায় চৌহাট্টা এলাকা থেকে বন্দরবাজার মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল হয়।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা পাথর–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল জলিল। সিলেটের বিমানবন্দর থানা পাথর ব্যবসায়ী ও স্টোন ক্রাশার মালিক সমিতির সহসভাপতি শাব্বির আহমদের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরের আমির ফখরুল ইসলাম, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, জাতীয় নাগরিক পার্টি সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দীন সাহান, যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে মেজর (অব.

) মোস্তফা আনওয়ারুল আজিজ সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দিলু মিয়া, কার্যকরী সভাপতি আবদুস সালাম, সদস্য আলী আহমদ।

আরও পড়ুন‘পাথরের সাম্রাজ্যে’ অভিযান, ৮৭ পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন১৮ জুন ২০২৫

আরও বক্তব্য দেন জাফলং বল্লাঘাট স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম পারভেজ, বিছনাকান্দি পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন, সিলেট সদর পাথর বালু ও স্টোন ক্রাশার মালিক সমবায় সমিতির সদস্য মন্তাজ আলী ও নাজিম উদ্দিন, সালুটিকর পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি দিলু মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি শওকত আলী, সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজির আহমদ, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ খান প্রমুখ।

মানববন্ধন কর্মসূচির একপর্যায়ে সিলেটের জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়কের এক পাশ বন্ধ রাখা হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, পরিবেশের দোহায় দিয়ে পাথর উত্তোলনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কারণ, তাঁদের নিকটাত্মীয়রা পাথর আমদানির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। ভিন্ন দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের গরিব মানুষকে মারার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনকোয়ারি থেকে পাথর তুললে কী ক্ষতি হয়২০ জুন ২০২৫

বক্তারা আরও বলেন, দেশের বেশির ভাগ পাথর কোয়ারি লিজ দেওয়া হলেও সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি লিজ দেওয়া হচ্ছে না। কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই, কোনো বিশেষজ্ঞদের মতামত ছাড়াই সিলেটের পাথর কোয়ারি বন্ধ রাখা হয়েছে। এ জন্য সিলেটের পাথর–সংশ্লিষ্ট লাখ লাখ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। এখন স্টোন ক্রাশারগুলোর বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গরিব অসহায় মানুষের পেটে আবার লাথি মারা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

নান্দাইলের ইউএনও’র দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সদ্য সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ওঠা ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে ৫ কোল পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন

উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা গত ২৮ মার্চ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করেন। 

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীনও সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। যা নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে সারমিনা সাত্তার যোগ দেন। এরপর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ইজারা, পাথর কেলেঙ্কারি, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ, নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ভুয়া প্রকল্প থেকে টাকা উত্তোলনসহ নানা দুর্নীতি করেছেন।

বক্তব্যে ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজ বলেন, ‘‘সারমিনা সাত্তার শুধু অনিয়ম-দুর্নীতিতে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণসহ মিথ্যা মামলার হুমকিও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি।’’  

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন খারুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস কদ্দুস মুন্সি, বাচ্চু মিয়া, শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহজাহান প্রমুখ। 

এ বিষয়ে জানতে সারমিনা সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/মিলন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি থেকে প্রার্থী দেওয়ার দাবিতে হরিপুরে বিক্ষোভ–মানববন্ধন
  • সিলেট চেম্বারের নির্বাচন দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন
  • বিএনপি নেতা শহিদুলকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ
  • বাংলালিংক পরিদর্শনে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
  • তিন দশক পর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অ্যালামনাইয়ের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি
  • অনলাইন জুয়ায় জড়িতদের মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি সীমিত করার চিন্তা
  • নান্দাইলের ইউএনও’র দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন
  • রাজশাহীতে ৫ কোল পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন