ব্র্যাড পিট বর্তমানে ব্যস্ত ‘এফ-১’ সিনেমা নিয়ে। ২৭ জুন মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। অন্যদিকে এখনও ‘মিশন: ইম্পসিবল- দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এর রেশ কাটেনি টম ক্রুজের। এরইমাঝে হয়ে গেল এই দুই তারকার পূণর্মিলন।
‘এফ-১’ সিনেমার প্রিমিয়ারে ২৩ জুন লন্ডনে মিলিত হলেন দুজন। ৩১ বছর পর দেখা! তাদের শেষ দেখা হয়েছিল ১৯৯৪ সালে হরর ক্লাসিক ‘ইন্টারভিউ উইথ দ্য ভ্যাম্পায়ার’-এ একসাথে অভিনয় করার সময়।
এদিকে বন্ধুর সিনেমার প্রিমিয়ারে হাজির হয়ে আপ্লু টম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই অভিনেতা পিটের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘চমৎকার সময় কাটলো আমার বন্ধুর সঙ্গে।’
বলা প্রয়োজন, জুনের শুরুতে ‘এফ-১’-এর মেক্সিকো প্রিমিয়ারে ব্র্যাড পিট বলেছিলেন যে, তিনি আবার ক্রুজের বিপরীতে অভিনয় করতে আগ্রহী। যদিও ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’ অস্কার বিজয়ী, ক্রুজের আকাশচুম্বী স্টান্টের সাথে তাল মেলাতে আগ্রহী নন।
টম এবং পিট দুজনেই এখন শিরোনামে। মে মাসে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মিশন: ইম্পসিবল-দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এ ক্রুজ ইথান হান্টের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যা বিশ্বব্যাপী ২০০ মিলিয়ন ডলার আয় করে ফ্র্যাঞ্চাইজি ওপেনিং উইকএন্ডে রেকর্ড গড়েছে। প্যারামাউন্ট-সমর্থিত এই অ্যাকশন সিনেমাটি তখন থেকে এখন পর্যন্ত ৫৪০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে এবং আয় বেড়েই চলেছে।
এদিকে, পিট অ্যাপল এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্সের রেসিং মুভি ‘এফ-১’-এর জন্য বর্তমানে আলোচনায়। এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন টম ক্রুজ অভিনীত ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’-এর পরিচালক জোসেফ কোসিনস্কি কর্তৃক পরিচালিত। সূত্র: ভ্যারাইটি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: টম ক র জ
এছাড়াও পড়ুন:
ফুলবাড়ী সীমান্তে পাচারচক্রের ভারতীয় সদস্যসহ আটক ৬
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সীমান্তে সংঘবদ্ধ পাচারচক্রের এক সদস্য ভারতীয় নাগরিকসহ বাংলাদেশি ছয় জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলবাড়ী ব্যাটালিয়ন (২৯ বিজিবি) সীমান্তের রসুলপুর বিওপির একটি টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে।
বিজিবি জানায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত হতে প্রায় ১৪০ গজ ভেতরে রসুলপুর গ্রামের মৃত জাহিরুল চৌধুরীর বাড়িতে বাংলাদেশি কয়েকজন ও একজন সন্দেহভাজন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে, এমন তথ্য পেয়ে টহলদল বাড়িটি ঘেরাও করে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে ছয় জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ভারতীয় নাগরিক নেপাল বর্মন (২৯) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মারগ্রামের বাসিন্দা ও সংঘবদ্ধ পাচারচক্রের সক্রিয় সদস্য, জলি রাণী (৩০) নওগাঁ, তনুশ্রী রাণী (১০) নওগাঁ, রাজশ্রী রাণী (৩) নওগাঁ, শ্রী বিজন কুমার দাস (৫৫) নওগাঁ, শ্রীমতি লিপি রাণী দাস (৪৭) নওগাঁ।
জিজ্ঞাসাবাদে ভারতীয় নাগরিক নেপাল বর্মন জানায়, ২০২২ সাল থেকে বৈধ পাসপোর্টে বাংলাদেশে আসা-যাওয়ার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানব, নারী ও শিশু পাচারে জড়িত তিনি।
গত ২২ অক্টোবর বাংলাদেশে প্রবেশ করে নওগাঁর দুই সন্তানের জননী জলি রাণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ২৬ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেন নেপাল। পরে পাচারের উদ্দেশ্যে জলি রাণী, তার দুই সন্তান এবং শ্রী বিজন কুমার দাস ও তার স্ত্রীকে ভারতের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে রসুলপুরে নিয়ে যান তিনি।
নেপাল বর্মন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ নভেম্বর বৈধভাবে ভারতে গিয়ে পাচারের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। পরদিন ৫ নভেম্বর আবার হিলি আইসিপি দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে ভুক্তভোগীদের ভারতে পাচারের প্রস্তুতিকালেই বিজিবির হাতে ধরা পড়ে।
ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লে কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, নেপাল বর্মন বাংলাদেশের পাচারকারী চক্রের সদস্য মো. ভোলা (বিরামপুর), মো. রোস্তম এবং মো. শহিদুলের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মানব ও নারী-শিশু পাচার করে আসছিল।
তিনি আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং প্রতিপক্ষ বিএসএফ ব্যাটালিয়নকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
ঢাকা/মোসলেম/এস