ফরিদপুরে এমএ আজিজ গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জেলার সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের পশরায় এমএ আজিজ হাই স্কুল মাঠে বেলুন উড়িয়ে খেলার উদ্বোধন করা হয়।

‘ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল, মাদক ছেড়ে মাঠে চল’ এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি এ.

কে. আজাদ এর বাবা মরহুম আলহাজ এম.এ আজিজ এর নামে জেলা পর্যায়ে এই গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।

উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ খেলা উপভোগ করতে মাঠে আসেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে ১৬টি দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী খেলায় নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতী একাদশ ও সদর উপজেলার গোয়ালকান্দার দ্যা ফাইনাল চ্যাপ্টার দল অংশগ্রহণ করে। খেলায় দ্যা ফাইনাল চ্যাপ্টার দল ৪-৩ গোলে ফুলসুতী একাদশকে পরাজিত করে।

এম.এ আজিজ গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ আব্দুল খালেক ডিগ্রি কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক দিলীপ কুমার বিশ্বাস, স্থানীয় গেরদা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু, এম.এ. আজিজ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সাইফুদ্দীন,  স্থানীয় বাসিন্দা সামাদ মোল্যা, লতিফ শেখ, সালাম মাতুব্বর, রতন মন্ডল, আব্দুল হালিম শেখ, জাসদ মিয়া, মনিরুজ্জামান ঝন্টু প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক প ফ টবল ট র ন ম ন ট এ আজ জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইলিশের দাম এত বেশি কেন, জানতে চেয়ে ‘ভালো উত্তর’ পাননি মৎস্যসচিব

ইলিশ মাছ উৎপাদনে পোনা ছাড়তে হয় না, খাবার দিতে হয় না, তা–ও এত বেশি দাম কেন—সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে কোনো ‘ভালো উত্তর’ এখনো পাননি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। তিনি বলেছেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই আমার মনে প্রশ্ন ছিল—ইলিশের এত দাম কেন।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে বিশ্ব খাদ্য দিবসের এক অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন তিনি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এই সেমিনারে আয়োজন করে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, ইলিশের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বলা হয় মাছ ধরতে খরচ বেশি। আবার মধ্যস্বত্বভোগীদের জন্য দাম বেড়ে যায়। ঢাকা এলে দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। গবেষকদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বিষয় জেনেছি। এসব নিয়ে আরও কাজ করার আছে।

আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, এখন ধানের জমিতে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে কোনো মাছ হয় না। এগুলোর ব্যবহার কমানো নিয়ে গবেষণা করা দরকার। প্রাণী খাদ্যের দামের কারণে মাছ ও দুধ ডিমের দাম বেড়ে যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রথম আলোর সংবাদ উদ্ধৃত করে সচিব বলেন, পত্রিকায় দেখলাম এখন বিড়ালের জন্যও বছরে ৪০০ কোটি টাকার বিদেশি খাদ্য আমদানি করতে হয়। কিন্তু আমাদের সময়ে বিড়ালের জন্যে বাজার থেকে খাবার আনতে হতো না। এসব খাবার এখন দেশেই তৈরি করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, দেশের কৃষি উৎপাদনের সাফল্যের পেছনে প্রধান ভূমিকা কৃষক ও কৃষিবিদদের। উৎপাদনকারীদের সঙ্গে বাজারের সংযোগ খুবই সামান্য। তাই কৃষকদের অবস্থা এখন এখন হাসন রাজার ‘পরের জায়গা পরের জমি’ গানের মতো।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী খন্দকার মো. ইফতেখারুদ্দৌলা বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রায় ৭৬ শতাংশ জমি মোটামুটি অনুর্বর ধরনের, যার পরিমাণ বাড়ছে। বছরে মাথাপিছু খাদ্যের অপচয় আবার গড়ে ৮২ কেজি। তাই দুর্যোগপ্রবণ এই দেশে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সব সময় প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কোনো একক প্রতিষ্ঠান বা কারও একার পক্ষে এটা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ জন্য শিক্ষক, গবেষক, সরকার, কৃষক সবাই মিলে কাজ করতে হবে।

এর আগে সেমিনারের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এইচ এম সাইফুল ইসলাম। বক্তব্য দেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দিয়া সানো। অনুষ্ঠান শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ