কুমিল্লা বোর্ডে ইংরেজি ও গণিতে ফল বিপর্যয়, কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
Published: 10th, July 2025 GMT
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে গণিত ও ইংরেজিতে ফল বিপর্যয় হয়েছে। এ কারণে কমেছে পাসের হার, জিপিএ-৫ এবং শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় বোর্ড মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণার সময় সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শামছুল ইসলাম। এ বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ছিল ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.
এদিকে ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯০২, গত বছর জিপিএ-৫ ছিল ১২ হাজার ১০০। গত বছর শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান ছিল ৯৮, এ বছর শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান মাত্র ২২টি। এ বছর একটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। একজনও পাস না করা ওই স্কুল কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ইসলামপুর উচ্চবিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ের ৩২ জনের সবাই ফেল করেছে।
পাসের হারের দিক থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গড় পাসের ৮৮ দশমিক ০১, মানবিকে ৪৬ দশমিক ৭৭ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৫৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে আছে মেয়েরা। মেয়েদের গড় পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৬ এবং ছেলের ৬২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মেয়েদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৯৫ জন এবং ছেলেদের মধ্যে পেয়েছে ৪ হাজার ৪০৭ জন। পাসের হারে মেয়েরা ৬৪ দশমিক ২৬ এবং ছেলেরা ৬২ দশমিক ৬৯ শতাংশ পেয়েছে।
ফলাফল ঘোষণার সময় বোর্ডের সচিব অধ্যাপক খোন্দকার ছাদেকুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাছরীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে অধিক পরীক্ষার্থী ফেল করার বিষয়ে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শামছুল ইসলাম সমকালকে বলেন, এ দুটি বিষয়ে দক্ষ শিক্ষকের বিকল্প নেই। তাই, দুটি বিষয়ে আমরা শিক্ষকদের আরও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করার পরিকল্পনা আছে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানে অধিক শিক্ষার্থী ফেল করেছে এবং একটিতে সবাই ফেল করেছে ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসএসস ফ ল কর ছ গত বছর দশম ক এ বছর ইসল ম ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে নির্মাণকাজের সময় গ্যাস লাইনে ছিদ্র, সরবরাহ বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে গ্রাহক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার লেন মহাসড়কের নির্মাণকাজের সময় এক্সকাভেটরের (খননযন্ত্র) আঘাতে গ্যাসের সংযোগ লাইন ছিদ্র হয়ে যায়। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (বিজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ। এতে জেলা শহরের প্রায় ১৫ হাজার আবাসিক-বাণিজ্যিক গ্রাহকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে শহরের উলচাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করেছে বিজিডিসিএলের কারিগরি দল। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
বিজিডিসিএলের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপমহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিকেল চারটার দিকে শহরের ভাদুঘর থেকে উলচাপাড়া রোডের গ্যাস সঞ্চালনের ৬ ইঞ্চি লাইন ছিদ্র হয়ে যায়। গ্যাসের সঞ্চালন লাইন সচল রেখে মেরামত করলে ওই স্থানে আগুন ধরে যাবে। তাই সদর উপজেলার ঘাটুরা অংশ থেকে সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দক্ষিণ দিকে জেলা শহরের সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গ্রাহকদের ভোগান্তির কথা ভেবে কারিগরি দল দ্রুত মেরামতকাজ শুরু করেছে। ২০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে শহরের মধ্যেই প্রায় ১৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। গ্যাস সরবরাহ পেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগবে।
বাখরাবাদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া চার লেন মহাসড়কে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। আজ বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উলচাপাড়া অংশে খননযন্ত্র দিয়ে কাজ চলছিল। সে সময় ওই যন্ত্রের আঘাতে গ্যাস সঞ্চালন লাইনের ৬ ইঞ্চি পাইপ ছিদ্র হয়ে গ্যাস বের হতে থাকে। বিষয়টি বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তাদের কারিগরি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গ্যাসের সংযোগ লাইন মেরামত করতে সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকায় থাকা গ্যাস সঞ্চালন লাইন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরসহ পৌর এলাকায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
কালাইশ্রীপাড়ার মনির হোসেন বলেন, ‘বিকেল চারটার পর থেকে গ্যাস নেই। রান্নার কাজ বন্ধ রয়েছে। শিশুদের জন্য কোনো খাবার রান্না করতে পারছেন না আমার স্ত্রী।’
কাজীপাড়ার বাসিন্দা তমালিকা দেবনাথ বলেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার নাশতা বানাতে রান্নাঘরে যাই। গিয়ে দেখি চুলায় গ্যাস আসছে না। কবে আসবে জানি না। রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। ছোট বাচ্চারা খাবারের জন্য কান্নাকাটি করছে।’
বিজিডিসিএলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার রাজস্ব বিভাগের উপব্যবস্থাপক গোলাম মোক্তাদির প্রথম আলোকে বলেন, ‘উলচাপাড়ায় গ্যাসের লাইন ছিদ্র হয়ে গেছে। তাই ঘাটুরা থেকে গ্যাসের সঞ্চালন লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে পুরো শহরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে আমাদের কারিগরি দল কাজ শুরু করেছে।’