চালের পাত্রে পোকা ধরেছে? সমাধান মিলবে যেভাবে
Published: 13th, July 2025 GMT
বর্ষাকালে ঘরের মধ্যে একটা স্যাঁতস্যাঁতে থাকে। পিঁপড়া, আরশোলাসহ নানা ধরনের পোকার উপদ্রব দেখা দেয়। তখন অনেকে নানা ধরনের ওষুধ ব্যবহার করেন। কিন্তু চালে পোকা হলে তাতে কোনও রকম বিষাক্ত পদার্থ মেশানো যাবে না। আবার পোকা ধরা চাল রান্না করাও ঠিক নয়। সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। লবঙ্গের ঝাঁজে চালের পোকা দূর হবে। চালের পাত্রে কয়েক গোটা লবঙ্গ রেখে দিন। কিছু দিনের মধ্যে পোকা চলে যাবে।
২.
৩. রোদে চাল রেখে দিলেই পোকা চলে যাবে। কিন্তু বর্ষায় রোদে চাল রাখা বেশ কঠিনই। চালের মধ্যে শুকনো হলুদ রাখতে পারেন। কোনও সুতির কাপড়ে শুকনো হলুদ মুড়েও চালের পাত্রে রাখতে পারেন। এতে চাল দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে। পোকা হবে না।
৪. শুকনো মরিচ রাখতে পারেন চালের পাত্রে। কয়েকটা শুকনো মরিচ নিয়ে চালের পাত্রে গুঁজে রাখুন। মরিচের ঝাঁজে পোকা দূর হবে।
৫. চালের পাত্র থেকে পোকা তাড়াতে খোসাসহ কয়েকটা রসুন চালের ড্যামে পুঁতে রাখুন। চালের মধ্যে রসুন থাকলে একটা পোকাও থাকবে না।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিটফোর্ডে খুন হওয়া ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু বানিয়ে ছাড়লো ভারতীয় সংবাদমাধ্যম
রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে খুন হওয়া ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) হিন্দু বানিয়ে ছেড়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। রবিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডের সংবাদমাধ্যমটির শিরোনাম ছিল, “বাংলাদেশে হিন্দু ব্যবসায়ীকে কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে পিটিয়ে হত্যা; হামলাকারীরা শরীরের উপর নাচছে।” এই প্রতিবেদনের সঙ্গে গত বছর সংখ্যালঘুদের একটি বিক্ষোভ সমাবেশের ছবি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে একদল সন্ত্রাসী পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তার মৃতদেহের ওপর পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এই নৃশংস ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের বান্দরগাছিয়ায় জানাজা শেষে সোহাগের লাশ দাফন করা হয়।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনটির শিরোনামে সোহাগকে হিন্দু দাবি করা হলেও পুরো প্রতিবেদনের ভেতরে কোথাও তার ধর্মপরিচয় কিংবা বিস্তারিত পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।
প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ১০ জুলাই দেওয়া একটি মন্তব্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে ৩৩০ দিনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দুই হাজার ৪৪২টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। সহিংসতার ধরণগুলোর মধ্যে রয়েছে হত্যা, গণধর্ষণসহ মহিলাদের উপর নির্যাতন, উপাসনালয়ে আক্রমণ, ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর উপর আক্রমণ এবং বিভিন্ন সংগঠন থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগ।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অসংখ্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আসছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
ঢাকা/শাহেদ