ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে সর্বোচ্চ বহিষ্কার, ২৫ হাজার অনুপস্থিত
Published: 4th, July 2025 GMT
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার চতুর্থ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে অনুপস্থিত ছিলেন ২৫ হাজার ৬৪৫ পরীক্ষার্থী। এদিন পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৯৩ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭৩ জন এইচএসসি, ছয়জন আলিমের এবং ১৪ জন কারিগরির।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মোর্চা বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার এইচএসসির ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডের অধীন ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় ৯ লাখ ৯২ হাজার ১০১ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এতে অনুপস্থিত ছিলেন ১৮ হাজার ৯১৪ পরীক্ষার্থী। ১ হাজার ৬০০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে এদিন সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোয় ৭৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিমে বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় ৭৯ হাজার ৪৪৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। দেশের ৪৫৯টি কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলেন ৪ হাজার ৭০০ জন। অনুপস্থিতির হার ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ছয় পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
অন্যদিকে, কারিগরি বোর্ডে অধীনে এইচএসসিতে (বিএম/বিএমটি) বিজনেস ইংলিশ অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স বিষয়ের পরীক্ষায় পরীক্ষায় ৯৯ হাজার ৩৬৬ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। দেশের ৭৩৩টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ২ হাজার ৩১ জন। অনুপস্থিতির হার ২ শতাংশ। এ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১৪ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিন ৯টি বোর্ডের অনুপস্থিত ছিলেন ১৮ হাজার ৯১৪ জন, যা ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষার চেয়েও বেশি। দেশের সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৬০০টি কেন্দ্রে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ক ষ পর ক ষ র থ ত র পর ক ষ এ পর ক ষ পর ক ষ য়
এছাড়াও পড়ুন:
মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী খুন, বাবা গুরুতর আহত
পটুয়াখালীর বাউফলে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম হোসেন (১৮)। এ ঘটনায় তার পিতা জাকির হোসেন বয়াতিও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার বিকেলে ধলুফকির হাটের পূর্ব পাশে আঞ্চলিক মহাসড়কে চিংগরিয়া এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত ফাহিম বাউফলের নওমালা ইউনিয়নের ভাংরা গ্রামের কৃষক জাকির হোসেনের ছেলে এবং নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ফাহিম ঘরের জন্য মোদী মনোহরী মালামাল কিনতে ধলুফকির বাজারে যায়। এ সময় স্থানীয় মাদক কারবারি শাকিল মীর পিতা আব্দুর রশিদ মীর তার সঙ্গে দেখা করে বন্ধুসুলভ আচরণে ফাহিমকে চিংগরিয়া এলাকায় ডেকে নেয়। সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে শাকিল ফাহিমকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।
খবর পেয়ে ফাহিমের বাবা জাকির হোসেন দৌড়ে গিয়ে ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও ১০-১২টি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় হামলাকারী।
স্থানীয়রা ফাহিম ও তার বাবাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গুরুতর আহত জাকির হোসেনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নিহতের চাচা মস্তফা বয়াতি জানান, “ফাহিম আমাদের পরিবারের বড় সন্তান। ওকে মানুষ করতে ভাই দুজন দিনরাত পরিশ্রম করতাম। শাকিল ঢাকায় থেকে মাঝে মাঝে গ্রামে এসে ফাহিমকে হুমকি দিত। আজ সে-ই আমার ভাতিজাকে হত্যা করেছে। আমি এই খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা ও সদর পটুয়াখালীর সীমান্তবর্তী এ চিংগরিয়া অঞ্চলটি ‘ক্রাইম জোন’ হিসেবে পরিচিত। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এলাকায় মাদক ব্যবসা ও দুষ্কৃতিকারীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে।
বাউফল থানার ওসি আক্তারুজ্জামান বলেন, “ঘটনাটি দশমিনা থানার আওতায় হলেও আমরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছি।” দশমিনা থানার ওসি আব্দুল আলিম জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে শাকিলের চাচা শানু মীরকে আটক করা হয়েছে এবং মূল আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।