মারা গেছেন অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস
Published: 13th, July 2025 GMT
তেলেগু অভিনেতা ও পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত কোটা শ্রীনিবাস রাও মারা গেছেন। হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় আজ রোববার সকালে হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসের ফিল্মনগরের নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় এ অভিনেতার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মাত্র তিন দিন আগেই উদ্যাপন করেছিলেন নিজের জন্মদিন।
চার দশকের বেশি সময় ধরে সিনেমায় সক্রিয় থাকা কোটা শ্রীনিবাস রাও তেলেগু, তামিল, কন্নড়, হিন্দি—মোট চারটি ভাষায় ৭৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর অভিষেক ঘটে ১৯৭৮ সালে তেলেগু ছবি ‘প্রাণম খরিদু’র মাধ্যমে। খলনায়ক, কমেডি কিংবা পার্শ্বচরিত্র—সব ধরনের চরিত্রেই ছিলেন সমান দক্ষ। ২০০৫ সালে বলিউডে অভিষেক ঘটে রাম গোপাল ভার্মার ‘সরকার’ ছবিতে ‘সিলভার মনি’ চরিত্রের মাধ্যমে।
তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য ছবি হলো ‘আহা না পেল্লান্তা!’, ‘প্রতিঘাতনা’, ‘খাইদি নাম্বার ৭৮৬ ’ ও ‘শিবা’। অসাধারণ অভিনয় তাঁকে এনে দেয় পদ্মশ্রী (২০১৫), ৯টি নন্দী অ্যাওয়ার্ডসহ বহু সম্মাননা।
রাজনৈতিক অঙ্গনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে বিজয়ওয়াড়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০০৪ পর্যন্ত।
শ্রীনিবাস রাওয়ের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ তেলেগু চলচ্চিত্রজগৎ। সহকর্মী, ভক্ত ও রাজনৈতিক নেতারা শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অভিনেতা বিষ্ণু মানচু এক্সে লিখেছেন, ‘শব্দের ঊর্ধ্বে এক কিংবদন্তি। শ্রীকোটা শ্রীনিবাস গারুর মৃত্যু আমার হৃদয় ভারাক্রান্ত করেছে। একজন অসাধারণ অভিনেতা, বিরল প্রতিভাধর মানুষ; যিনি প্রতিটি চরিত্রকে প্রাণ দিয়েছেন অনন্য দক্ষতায়। আমি তাঁর সঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করেছি, তাঁর অভিনয় দেখে বড় হয়েছি। তাঁর শিল্প, হাসি, আত্মা আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নিজের সঙ্গে যে কাণ্ড ঘটালেন যুবক
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় নিজের গোপনাঙ্গ এবং গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে মাজেদুল ইসলাম (৩০) নামে এক পোশাক শ্রমিকের বিরুদ্ধে। পরিবারের ভাষ্য, মানসিক বিকারগ্রস্ত এই যুবক আগেও কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া হাজিপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। মাজেদুল একই গ্রামের নুরল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মাজেদুল একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে সংসার চালাতেন। সম্প্রতি তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তিনি আগেও কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেও বেঁচে যান। গত বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি পাঁচতলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার (২৪ অক্টোবর) মাজেদুলকে লালমনিরহাটে আনা হয়। রবিবার সকালে খাবার শেষে মাজেদুল পাশের চাচা ইংরেজ আলীর ফাঁকা বাড়িতে যান। সেখানে ছুরি দিয়ে প্রথমে নিজের গোপনাঙ্গ এবং পরে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাজেদুলের চাচা সিরাজুল ইসলাম বলেন, “স্ত্রী ও মেয়ে নিয়ে মাজেদুল ঢাকায় থাকত। মানসিক বিকারগ্রস্ত হওয়ায় সে কয়েক দফা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তার আচরণে আমরা আতঙ্কিত।”
চিকিৎসাধীন মাজেদুলের সঙ্গে থাকা তার শ্যালক (স্ত্রীর বড় ভাই) রিপন মুঠোফোনে বলেন, “মানসিক বিকারগ্রস্ত মাজেদুল কয়েক দফা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। সে গোপনাঙ্গের প্রায় পুরো অংশ এবং গলার প্রায় অর্ধেকাংশ কেটেছে। এমনকি সে চিকিৎসাও নিতে চাইছে না। চিকিৎসকরা অনেকটা জোর করে তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। গলার সমস্যার কিছুটা সমাধান হলেও গোপনাঙ্গে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।”
আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরনবী বলেন, “গলা ও গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্নসহ মাজেদুল এসেছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।”
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আকবর বলেন, “ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আত্মহত্যা করার জন্যই তিনি এমনটি করেছেন।”
ঢাকা/সিপন/মাসুদ