মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় নিখোঁজের ১১ দিন পর এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ঠেঙ্গামারা এলাকার ময়নাকাটা নদী থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম এনায়েত শেখ (৩৫)। তিনি শিবচর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নলগোড়া এলাকার ফকু শেখের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২ জুলাই রাত ১০টার দিকে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান এনায়েত শেখ। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। খোঁজাখুঁজির পর ৫ জুলাই তাঁর বড় ভাই ইলিয়াস শেখ শিবচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

শনিবার রাত ১০টার দিকে ময়নাকাটা নদীর তীরে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় লোকজন নৌকায় করে নদীতে খোঁজা শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা একটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেন।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহার আলী বলেন, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। শরীরের বিভিন্ন চিহ্ন দেখে তাঁর পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ বচর

এছাড়াও পড়ুন:

কেউ কেউ শুধু ক্ষমতা চায়, সংস্কার তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়: নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘কেউ কেউ শুধু ক্ষমতা চাইছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল শুধু দ্রুত নির্বাচন চাইছে। সংস্কার তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। দেশের সংস্কারের জন্য যদি কেউ না থাকে, আমরা যারা জুলাই আন্দোলনে রাজপথে নেমেছিলাম, আমাদের আহ্বানে আপনারা যাঁরা নেমেছিলেন, যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। আমরা রাজপথ থেকে সরে যেতে পারি না।’

আজ রোববার দুপুরে পিরোজপুর শহরের কৃষ্ণচূড়া মোড় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এনসিপির পথসভায় এ কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

পুরান ঢাকায় এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এই চাঁদাবাজদের অত্যাচারে ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছে না। ঢাকায় যে বীভৎসতম ঘটনা ঘটেছে, কীভাবে পাথর মেরে আমাদের এক ব্যবসায়ীকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা তার প্রতিবাদ জানাই।’

তাঁরা প্রতিটি জেলায় যাবেন উল্লেখ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, স্বৈরাচার সরকার জোর করে ১৬ বছর ক্ষমতায় টিকে ছিল। মানুষের প্রতি এমন কোনো নির্যাতন নেই যে করেনি। গুম, খুন, নির্যাতন, দুর্নীতি, লুটপাট ভোটাধিকার হরণ, সন্ত্রাস—এমন কোনো অপকর্ম নেই যে ফ্যাসিস্ট সরকার করেনি। তিন–তিনবার দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেননি।

সীমাহীন জুলুম, নির্যাতন, অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিলেন উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শুধু সরকার বা কোনো রাজনৈতিক দল নয়, পুলিশসহ রাষ্ট্রের সব বাহিনী যে জুলুম শুরু করেছিল, এই জুলুম থেকে পরিত্রাণের জন্য রাজপথে নেমে এসেছিলাম। গণ–অভ্যুত্থানের পর আমরা বলেছিলাম রাষ্ট্র সংস্কার লাগবে, আমরা পুরোনো ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। আমরা দুর্নীতির ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। আমাদের আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল বৈষম্য। বৈষম্যগুলো দূর করতে হবে। এই গণ–অভ্যুত্থানের পর আমরা যে সরকার পেয়েছি, আমাদের সবার উচিত সেই সরকারকে সহযোগিতা করা এবং দেশকে নতুন করে গড়ে তোলা।’

পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, মাহমুদা মিতু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্যা রহমাতুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবিনসহ পিরোজপুরের শতাধিক নেতা–কর্মী।

এর আগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জুলাই আন্দোলনে পিরোজপুরের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁদের খোঁজখবর নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ