ফতুল্লার লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা
Published: 28th, July 2025 GMT
গত দুদিনের টানা বৃস্টিতে ফতুল্লার লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়েছে। প্রতিটি রাস্তা-ঘাট, অলি-গলি হাটু সমান পানির নীচে তলিয়ে গেছে।
বিভিন্ন বাসা বাড়ী এমনকি মসজিদের ভিতরে পানি ঢুকেছে। যা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটচ্ছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগের সৃস্টি হয়েছে। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে সমস্যা হচ্ছে।
মসজিদে পানি ঢোকার কারণে মুসল্লিরা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারছেন না, যা তাদের ধর্মীয় কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
সরেজমিনে মসজিদটি ঘুরে এবং মুসুল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুদিনের টানা বৃস্টিতে মসজিদের নীচতলায় পানি উঠে গেছে। ফলে নিচতলায় নামাজ আদায় করতে পারছেনা মুসল্লিরা।
শুধু তাই নয় মসজিদে প্রবেশের রাস্তা কমর সমান পানি নীচে তলিয়ে গেছে। বৃস্টিতে ভরে যাওয়া ড্রেন থেকে উঠে আসা নোংরা পানি দিয়ে মসজিদে আসা সম্ভব হয়ে উঠছেনা মুসুল্লিদের।
ফতুল্লার লালপুর ও পৌষাপুকুর পাড় এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভ্যানগাড়ী চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সামান্য পথ পাড়ি দিতেও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
আরেকটু পানি বৃদ্ধি পেলে নৌকা ছাড়া চলাচল অসম্ভব হয়ে দাড়াবে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়ার পাশাপাশি ভোগান্তি চরমে পৌছাবে। পায়ে হেটে চলাতো দুরের কথা মটর রিক্সা, মিশুক ও চলাচল করতে পারছেনা রাস্তা দিয়ে।
স্থানীয়দের অনেকেই ক্ষোভ থেকে বলেন,সরকার পরিবর্তন হয় ঠিকই কিন্ত লালপুর -পৌষাপুকুর এলাকাবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন হয়না। ১৬ বছর যাবৎ কোনো সংস্কার নেই এ এলাকায়। যত দিন যাচ্ছে সাধারণ মানুষরে ভোগান্তি ততই বাড়ছে । এই এলাকার সংস্কার যে কবে হবে একমাত্র আল্লাহ জানে।
এখন আমরা প্রত্যাশা করি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এই লালপুরের ড্রেনগুলো ও রাস্তা দ্রুত সংস্কার করে লালপুরবাসীর ভোগান্তি লাঘব হবে। হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী নিজ অর্থায়নে ড্রেন পরিস্কার ও পাম্পকে সচল করে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করেছে।
তাই অন্যান্যবারের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। কিন্ত গত দুদিনের টানা বৃস্টিতে এলাকার রাস্তা, বাড়ীঘরসহ মসজিদেও পানি ঢুকেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজী মাঈনুদ্দিন জানান, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ও শাহ আলম সাহেবের অর্থায়নে সচল হওয়া তিনটি পাম্প একযোগে চালু করা হয়েছে। কিন্ত বৃস্টির কাছে আমরা অসহায় হয়ে পরেছি।
এভাবে আরো কয়েক ঘন্টা বৃস্টি হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকারে রুপ নিবে। আল্লাহই এখন আমাদের একমাত্র ভরসা। তিনিই পারেন লালপুর- পৌষাপুকুর পাড় এলাকাবাসীকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করতে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার প্রত্যাশা
আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই জুলাই সনদকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২১তম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
আলী রীয়াজ বলেছেন, আজসহ হাতে আছে মাত্র তিন দিন। এ সময়ের মধ্যে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করে আমরা জুলাই সনদের খসড়া চূড়ান্ত করতে চাই।
আজ আলোচনার সূচিতে ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের প্রস্তাব, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগ-সংক্রান্ত বিধান।
আলী রীয়াজ বলেছেন, ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) পর্যন্ত তাদের মতামতের জন্য অপেক্ষা করা হবে।
তিনি বলেছেন, যেসব বিষয়ে ইতোমধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলো একত্র করে এবং দলগুলোর মন্তব্য যুক্ত করে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই আমরা একটি গ্রহণযোগ্য সনদের কাঠামো উপস্থাপন করতে পারব বলে আশা করছি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে নতুন প্রস্তাব আসছে
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো নিয়ে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে নতুন নতুন প্রস্তাব এসেছে। গতকাল থেকে এ ইস্যুতে আলোচনা জোরালো হয়েছে। কয়েকটি দলের নতুন মতামত ও সুপারিশ এসেছে। সেগুলো সমন্বয় করে সম্মিলিত প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে।
আলী রীয়াজ বলেন, আমরা চাই, প্রত্যেকটি দলের অবস্থান বিবেচনায় রেখে একটি ভারসাম্যপূর্ণ রূপরেখা হাজির করতে। কারণ, বাস্তবতা হলো— সব দলেরই নিজস্ব অবস্থান রয়েছে। সেগুলো সমন্বয় করেই আগাতে হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. আইয়ুব মিয়া।
আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
ঢাকা/এএএম/রফিক