গাড়ির নতুন ব্যাটারি বাজারে আনল ওয়ালটন
Published: 9th, July 2025 GMT
বাজারে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির জন্য নতুন সাতটি মডেলের ব্যাটারি (কার ব্যাটারি) বাজারে এনেছে ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশন। গ্রাভিটন সিরিজের এই ব্যাটারি ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার), মাইক্রো বাস, পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশায় (সিএনজি) ব্যবহার উপযোগী।
সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটনের করপোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন মডেলের ব্যাটারির বাজারজাত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংগীতশিল্পী তাহসান খান। এ সময় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম মাহবুবুল আলম, পরিচালক জাকিয়া সুলতানা, ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিশাত তাসনিমসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সরবরাহকারী ও পরিবেশকেরা উপস্থিত ছিলেন।
বাজারে আসা ওয়ালটনের কার-ব্যাটারির নতুন মডেলগুলো হলো গ্রাভিটন এন৫০জেড, গ্রাভিটন এন৫০জেডএল, গ্রাভিটন এনএস৪০জেডএল, গ্রাভিটন এনএস৬০এল, গ্রাভিটন এনএস৭০, গ্রাভিটন এএক্স১২০-৭ ও গ্রাভিটন এনএক্স১২০-৭ এল। ওয়ালটনের তৈরি প্রিমিয়াম শ্রেণির এসব গাড়ির ব্যাটারি ৮ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে ১৫ হাজার ৬০০ টাকা দামের মধ্যে পাওয়া যাবে। সারা দেশে ওয়ালটনের পরিবেশক ও সরবরাহকারীদের বিক্রয়কেন্দ্র থেকে এসব ব্যাটারি কিনতে পারবেন গ্রাহকেরা।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাইটেকের এমডি এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ‘স্মার্ট ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ—সব ক্ষেত্রেই ওয়ালটন এখন দেশের গর্ব। নিজস্ব কারখানায় তৈরি সিলড মেইনটেন্যান্স ফ্রি কার ব্যাটারি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ওয়ালটনের নিরন্তর এ অগ্রযাত্রায় আরেকটি গৌরবময় অধ্যায় যুক্ত হলো। এটি আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা, গবেষণা দক্ষতা ও গ্রাহকের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন।’ ভবিষ্যতে লো মেইনটেন্যান্স কার ও কমার্শিয়াল ভেহিকেল ব্যাটারি, সোলার ও আইপিএস ব্যাটারি বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের সিইও নিশাত তাসনিম জানান, দেশে গাড়ির ব্যাটারির বার্ষিক চাহিদা প্রায় পাঁচ লাখ ইউনিট। এটির বাজারের আকার ৩০০ কোটি টাকার বেশি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র ভ টন র হক র করপ র
এছাড়াও পড়ুন:
আবাসন সংকটসহ ৫ দাবি রাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের খাদ্য ও আবাসনের সংকট নিরসনে পাঁচ দফা দাবি করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
বুধবার (৯ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে বেলা ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উত্থাপন করেন তারা।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের অভিযোগ, প্রশাসন হল ডাইনিং বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের খাদ্য নিরাপত্তার দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। এতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেসের উচ্চমূল্যের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে। পাশাপাশি আবাসন সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ গণরুম বা বাইরের মেসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে আবাসনের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীর ৪ উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
ঢাবি ক্লাবে তালা মারার হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের
তাদের দাবি, গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষাবান্ধব প্রশাসনের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বরং পূর্বের সংকটগুলো এখনো বহাল রয়েছে।
দাবি বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট আগামী সাত দিনব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এছাড়াও তারা পাঁচ দফা প্রধান দাবি উত্থাপান করেছে।
তাদের দাবিগুলো হলো- নতুন হল নির্মাণ ও শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করা; বৈধ সিট বণ্টন চালু ও গণরুম ব্যবস্থা কার্যকর করা; ডাইনিংয়ে ভর্তুকি দিয়ে মানসম্মত খাবার সরবরাহ, ক্যাম্পাস ও আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাসমূহ সংস্কার; মেডিকেল সেন্টারে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা চালু, প্রয়োজনীয় জনবল ও ওষুধ সরবরাহ; গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করে রাকসু নির্বাচন আয়োজন ও বিভিন্ন হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে হবে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, “শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি শতভাগ আবাসনসহ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। কিন্তু এ বিপ্লবী প্রশাসন ভর্তুকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করার বদলে ডাইনিং বন্ধ করিয়ে শিক্ষার্থীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব অস্বীকার করছে।”
তিনি আরো বলেন, “সম্প্রতি বেশকিছু সংগঠন শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া নিয়ে কাজ করলেও তাদের কাজে রাকসু নির্বাচনের জনসংযোগের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল কিনা তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সে প্রশ্ন উঠেছে। নিরাপদ খাদ্য ও শিক্ষার পরিবেশবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিত করতে উপরিউক্ত পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্য সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী