বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের আমন্ত্রণে সিলেটে বিগত দিনের আন্দোলন–সংগ্রামের কারান্তরিণ নেতা-কর্মীদের নিয়ে স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠান হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিলেট নগরের দরগারগেইট এলাকার একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে এ আয়োজন হয়।

অনুষ্ঠানে কারা নির্যাতনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা।

সিলেট নগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী স্মৃ‌তিচারণা করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা বিএনপির রাজনীতি করায় এমন কোনো ধারা নেই, যে ধারায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। কখনো কারাগারে বন্দী, কখনো আবার আদালতপাড়ায় ঘুরে কেটে গেছে ১৭টি বছর। কারাগারে যে দিকে তাকিয়েছি, শুধু আমাদের নেতা-কর্মীই চোখে পড়েছে। দিনের পর দিন আমাদের আটকে রাখা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে বাড়িতে হামলা ও পরিবারকে নির্যাতন করেছে।’

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শাকিল মোর্শেদ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আফছর খানের যৌথ সঞ্চালনায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির জানান, যাঁরা দেশকে এবারের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাঁরা এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। যাঁরা কারাগারে গিয়েছেন, তাঁরা এই দেশের জন্যই কারাবরণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন–সংগ্রামের কারণে আমরা স্বৈরাচার হটিয়ে আবার একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। জুলাই যোদ্ধা হিসেবে যাঁরা স্বীকৃতি পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আপনাদের নাম থাকা ন্যায়সংগত।’

খন্দকার আবদুল মুক্তাদির আরও বলেন, প্রত্যেকের মনে ব্যক্তিগত দুঃখ ও কষ্ট আছে, কিন্তু যাঁরা কষ্টের বর্ণনা করেছেন, তাঁরাও এই কষ্টের স্বার্থকতা অনুভব করেছেন। সবারই সাধারণ একটি প্রত্যাশা, এই দেশ একটি স্বাভাবিক বাসযোগ্য দেশ হিসেবে দেখতে চান। এই দেশে যে বা যাঁরা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বিএনপির নাম কালো করার চেষ্টা করবেন, তাঁরা কেউ বিএনপির পদধারী নন। দল ও দেশের জন্য তাঁদের কোনো আত্মত্যাগ নেই, সে জন্যই তাঁরা বিএনপির নাম ব্যবহার করতে চান। যে বা যাঁরাই এ ধরনের অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকবেন, তাঁদের প্রতিহত করা হবে। খন্দকার মুক্তাদির বলেন, ‘এই দেশকে আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লালিত বাংলাদেশে পরিণত করে ছাড়ব।’

স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে সভাপ‌তিত্ব করেন নগর বিএন‌পির ভারপ্রাপ্ত সভাপ‌তি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। বক্তব্যে দেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান (পাপ‌লু), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল আহাদ খান (জামাল), জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবের আহমদ, সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন (দিনার), মহানগর মহিলা দলের সভাপতি নিগার সুলতানা (ডেইজি), সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা আহাদ (কুমকুম), জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতিমা জামান (রুজি), সহদপ্তর সম্পাদক জাহারা রুবিন, আবদুল ওয়াদুদ মিলন, আনোয়ার হোসেন, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র ন এই দ শ দল র স আবদ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস শনাক্তকরণ কর্মসুচি

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ