সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী দোসর ইয়াছিনের ক্যাডার সন্ত্রাসী সরল বিএনপির ছত্রছায়ায় বেপরোয়া
Published: 28th, July 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়ার ক্যাডার সন্ত্রাসী সরল বিএনপির ছত্রছায়ায় দিন দিন বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে।
গত ১৭ বছর আওয়ামী সরকারের ক্ষমতায় থাকা কালীন সময় সন্ত্রাসী সরলের অত্যাচারে অতিষ্ট সাহেবপাড়া, মিতালী মাকের্ট ও সাইনবোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। এমন কোন কাজ নেই যা তার ধারা করা অসম্ভব। হাজী ইয়াসিন মিয়ার শেল্টারে এসব অপকর্ম করেছে।
এদিকে গত ৫ জুলাই আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নাসিক ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবালের বোন জামাই মুক্তারের শেল্টারের আবার বেপরোয়া হয়ে উঠে।
সাহেবপাড়া, মিতালী মাকের্টসহ সাইনবোর্ড রাস্তার উত্তর-দক্ষিনপাড় নিয়ন্ত্রন করে সরল ও তার ভাই নিশাত। তাদের রয়েছে বিশাল একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপ।
রাতের আধারে সাহেবপাড়া, মিতালী মাকের্টসহ সাইনবোর্ড রাস্তার উত্তর-দক্ষিনপাড় ও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে চুরি, ছিনতাই করে বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
সাইনবোর্ড রাস্তার উত্তরপাশে বাস কাউন্টার ও রাস্তার দক্ষিন পাশে সিএনজি, অটো রিক্্রাসহ ফুটপাত দোকার থেকে প্রতিদির চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাহেবপাড়া গামের্ন্ট থেকে জুট ও মিতালী মাকের্টের জুট নিয়ন্ত্রন করে। তাকে কেউ জুট না দিলে তাকে তুলে এনে তার অফিস রুমে আটক করে মারধর করে।
এদিকে সরল ও তার বাহিনীর অত্যাচারে কেউ আইনের আশ্রয় নিতেও সাহস পাচ্ছেনা। স্থানীয় জনগন ও ব্যবসায়ী মহল সন্ত্রাসী সরলের হাত থেকে রক্ষা পেতে যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ স ইনব র ড আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ